শুক্রবার, ১৪ জুন, ২০১৯ ০০:০০ টা

চার স্তরে কার্যকর ভ্যাট আইন

নিজস্ব প্রতিবেদক

দীর্ঘ প্রতীক্ষিত ভ্যাট আইন, ২০১২ আগামী অর্থবছর থেকে ৫, ৭.৫, ১০ ও ১৫ শতাংশ- এই চার স্তরে বাস্তবায়নের ঘোষণা দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। ওষুধ ও পেট্ট্রোলিয়ামে হ্রাসকৃত হারে ভ্যাট আদায়ের ঘোষণা দিয়ে মন্ত্রী বলেছেন, ‘এ আইনটির যথাযথ বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় জনবলসহ আনুষঙ্গিক সবরকমের সহায়তা আমরা নিশ্চিত করব। আমরা করের বোঝা চাপিয়ে দেওয়ার বিপক্ষে। কর আদায়ে আমাদের নীতি হবে “রাজহাঁস থেকে পালক ওঠাও যতটা সম্ভব ততটা, তবে সাবধান রাজহাঁসটি যেন কোনোভাবেই ব্যথা না পায়”।’ গতকাল জাতীয় সংসদে বাজেট উপস্থাপন করতে গিয়ে নতুন ভ্যাট আইন বাস্তবায়নের ঘোষণা দিয়ে এসব কথা বলেন অর্থমন্ত্রী মুস্তফা কামাল। তিনি বলেন, ভ্যাট একটি আধুনিক পরোক্ষ করব্যবস্থা। রাজস্বের মধ্যে ভ্যাটের অবদান সবচেয়ে বেশি। মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) ও সম্পূরক শুল্ক আইন, ২০১২ আন্তর্জাতিক উত্তম চর্চার ভিত্তিতে প্রণীত। নতুন ভ্যাট আইনের সুবিধা তুলে ধরে অর্থমন্ত্রী বলেন, নিবন্ধন ও তালিকাভুক্তি সনদ গ্রহণ, রিটার্ন দাখিল, কর পরিশোধ, রিফান্ড ও প্রত্যর্পণ সমন্বয় ইত্যাদি কার্যক্রম অনলাইনে করার সুযোগ রয়েছে। যেসব ক্ষেত্রে ১৫ শতাংশ ভ্যাট প্রযোজ্য, সে ক্ষেত্রে দাখিলপত্রের মাধ্যমে উপকরণ কর রেয়াত গ্রহণ করা যাবে।

প্রস্তাবিত বাজেটে নতুন ভ্যাট আইনের সংস্কার ও সহজীকরণ প্রসঙ্গে বলা হয়, ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক ব্যবসায়ীদের ভ্যাটজালের বাইরে রাখার জন্য বার্ষিক টার্নওভার ৫০ লাখ টাকা পর্যন্ত অব্যাহতি প্রদান করা হবে। ভ্যাট নিবন্ধনসীমা ৮০ লাখ থেকে বাড়িয়ে ৩ কোটি টাকায় উন্নীত করা হয়েছে। পণ্যের সংবেদনশীলতা বিবেচনায় বিশেষ ব্যবস্থা হিসেবে ওষুধ ও পেট্রোলিয়ামজাত পণ্যের ক্ষেত্রে বর্তমানের মতো স্থানীয় ব্যবসায়ী পর্যায়ে ভ্যাটের হার যথাক্রমে ২.৪ ও ২ শতাংশ অব্যাহত রাখা হয়েছে। নতুন ভ্যাট আইন অনলাইনভিত্তিক হওয়ায় দোকান ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে ইলেকট্রনিক ফিসক্যাল ডিভাইস বা ইএফডি ও সেলস ডাটা কন্ট্রোলার বা এসডিএস স্থাপন বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।

সর্বশেষ খবর