শনিবার, ১৫ জুন, ২০১৯ ০০:০০ টা

পাচার বন্ধে কালো টাকা সাদার সুযোগ

বাজেটোত্তর সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

নিজস্ব প্রতিবেদক

পাচার বন্ধে কালো টাকা সাদার সুযোগ

বাজেটোত্তর সংবাদ সম্মেলনে গতকাল প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট একটি জনকল্যাণমূলক বাজেট। বাজেট পেয়ে সাধারণ মানুষ খুশি হয়েছে কিনা, বাজেটে তাদের উপকার হচ্ছে কিনা, সেটাই বড় কথা। প্রধানমন্ত্রী গতকাল রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বাজেটোত্তর সংবাদ সম্মেলনে কথা বলছিলেন। রীতি অনুযায়ী এ অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের থাকার কথা। কিন্তু অসুস্থতাবশত তিনি আসতে পারেননি। তাই প্রধানমন্ত্রী নিজেই সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, অর্থ পাচার ঠেকাতে এবং বিনিয়োগের স্বার্থেই বাজেটে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। অনেকের হাতেই কালো টাকা রয়েছে। সেগুলো কে কোথায় গুঁজে রেখেছেন তা আমরা সব সময় জানতে পারি না। কিন্তু পরে সে টাকা বিদেশে পাচার হয়ে যায়। এ পাচার ঠেকিয়ে ওই অর্থ অর্থনীতির মূলধারায় নিয়ে আসতেই এ সুযোগ দেওয়া হয়েছে। তিনি আরও বলেন, দেশকে অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ করে গড়ে তোলার জন্য যে যুদ্ধ, সেটাই সোনালি যুদ্ধ।

শেখ হাসিনা বলেন, অর্থ পাচার ঠেকাতে আলাদা কমিটি আছে। বাংলাদেশ ব্যাংক, দুদক, অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয় সবাইকে মিলিয়েই কমিটি আছে। আন্তর্জাতিক কমিটিও আছে। সবাই মিলে ব্যবস্থা নেওয়ার কারণে অর্থ পাচার যেখানেই হচ্ছে ধরা পড়ছে। এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। দেশ থেকে যেন অর্থ পাচার হয়ে না যায়, সে কারণে অপ্রদর্শিত অর্থ প্রদর্শনের সুযোগও দেওয়া হচ্ছে। অনেকেই অপ্রদর্শিত অর্থ পাচার করতে চায়। এটা বন্ধ করার জন্যই বিনিয়োগের সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। এটা আমরাই কেবল নই, এর আগের সব সরকারই এ সুযোগ দিয়েছে। আমরাও এর আগে এ সুযোগ দিয়েছি। এখনো দিচ্ছি। মাঝে মাঝে সেই সুযোগ বন্ধও করেছি। তবে কালো টাকার স্তূপ যেন গড়ে না ওঠে, তাই এ টাকা প্রদর্শন করার সুযোগও দেওয়া হয়েছে। তিনি আরও বলেন, অপ্রদর্শিত টাকা যেন বিনিয়োগ করার সুযোগ থাকে, তাই আমরা দেশের বিভিন্ন এলাকায় অর্থনৈতিক অঞ্চল তৈরি করে দিয়েছি। চাইলে সেখানে বিনিয়োগ করার সুযোগ থাকবে। তবে সেখানে বিনিয়োগ করতে চাইলেও সুনির্দিষ্ট হারে চার্জ বা সুদ দিতে হবে। এই সুনির্দিষ্ট হারের অতিরিক্ত চার্জ বা ফি জমা দিয়েই কালো টাকার মালিকরা বিনিয়োগ করতে পারবেন। আর এ ধরনের বিনিয়োগ করলে তাকে আর প্রশ্ন করা হবে না। ভবিষ্যতে যেন এ বিষয়ে কোনো প্রশ্ন না করা হয়, সে ব্যবস্থাও নেওয়া হবে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশে কর্মসংস্থানের সুযোগ আছে বলেই ধান কাটার লোক পাওয়া যায় না। ২০৩০ সালের মধ্যে ৩ কোটি মানুষের কর্মসংস্থান হবে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, কর্মসংস্থান মানে শুধু চাকরি নয়, যে কোনো একজন মানুষকে প্রশিক্ষণ দিয়ে প্রশিক্ষিত করে তোলার পর সে যদি কর্ম করে খাওয়ার সুযোগ পায় সেটাই কর্মসংস্থান। ১৬ কোটি মানুষকে তো চাকরি দেওয়া সম্ভব নয়। কিন্তু সবার জন্য কাজের ব্যবস্থা করা হবে। এজন্য বাজেটে ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দও রাখা হয়েছে। নিজের কর্ম নিজেকেই সৃষ্টি করার তাগিদ দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, সরকার যে ১০০ অর্থনৈতিক অঞ্চল করেছে সেসব অঞ্চলে চাকরি ছাড়াও নানাভাবে মানুষের কর্মসংস্থান হবে। তখন দেশে ৩ কোটি বেকার যুবকের কর্মসংস্থান হবে। প্রস্তাবিত বাজেটকে ইতিহাসের সর্ববৃহৎ বাজেট আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, এ বাজেট জনকল্যাণমূলক। সরকারের বিগত দুই মেয়াদে ১০ বছরে যে অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে তাতে সরকারের প্রতি জনগণের আস্থা বেড়েছে। তার প্রতিফলন ঘটেছে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার দেশকে দারিদ্র্যমুক্ত করতে, উন্নত করতে, সমৃদ্ধিশালী করতে এবং স্বাধীনতার সুফল যেন দেশের মানুষের ঘরে পৌঁছায় সেই লক্ষ্য নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। এজন্য বিনিয়োগ বাড়ানোর জন্য এবং দেশীয় শিল্প সুরক্ষায় উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সরকারের লক্ষ্য ২০৩০ সাল নাগাদ দেশে ৩ কোটি কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা। এ ছাড়া ২০২৩-২৪ অর্থবছরের মধ্যে প্রবৃদ্ধি ডাবল ডিজিটে উন্নীত করার পরিকল্পনা রয়েছে। কালো টাকা সাদা করে মূলধারায় আনার সুযোগ দেওয়া হয়েছে; যাতে দেশ থেকে টাকা পাচার না হয়ে বিনিয়োগ হয়। এ ছাড়া ব্যাংক ঋণের সুদহার সিঙ্গেল ডিজিটে নামিয়ে আনার ব্যাপারে কঠোর অবস্থান নেওয়া হয়েছে। সর্বোপরি দেশকে সোনার বাংলারূপে গড়ে তোলার জন্য সমৃদ্ধ ও কল্যাণ রাষ্ট্রে পরিণত করার উদ্যোগ রয়েছে। সেই লক্ষ্যে যথেষ্ট অগ্রগতি আমরা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছি। বাইরে গেলে আগে যারা মনে করত আমরা ভিক্ষুকের জাত হিসেবে যাচ্ছি, এখন আর কেউ তা মনে করে না। এটাই হচ্ছে আমাদের সব থেকে বড় অর্জন। একটি বেসরকারি গবেষণা সংস্থার- প্রস্তাবিত বাজেটে অপশাসনের সুবিধাভোগীরা সুবিধা পাবে- এমন মন্তব্যের প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভালো না লাগা পার্টি যারা তাদের কোনো কিছুতেই ভালো লাগবে না। আমাদের দেশে কিছু লোক থাকে যাদের একটা মানসিক অসুস্থতা থাকে, তাদের কিছুই ভালো লাগে না। আপনি যত ভালো কাজই করেন, তারা কোনো কিছুতেই ভালো খুঁজে পায় না। যখন দেশে একটা গণতান্ত্রিক পদ্ধতি থাকে, যখন দেশে অর্থনৈতিক উন্নতি হয়, সাধারণ মানুষের উন্নতি হয়; তখন তারা কোনো কিছুই ভালো দেখে না। সবকিছুতেই খারাপ খোঁজে। যাদের গবেষণা করার কথা তারা কী গবেষণা করে আমি জানি না। তার পরও তাদের একটা কিছু বলতে হবে। সেটা ভালো। আবার এত সমালোচনা করেও তারা বলবে আমরা কথা বলতে পারি না। এ রোগটাও আছে আবার।

শেখ হাসিনা বলেন, বাজেটের সুফলটা কিন্তু একেবারে গ্রামের মানুষের কাছে পৌঁছাবে। আর এ ভালো না লাগা পার্টি যারা, তাদের কোনো কিছুতেই ভালো লাগবে না। তারা গবেষণা করে কী আনতে পারল দেশের জন্য তা আমি জানি না। এ নিয়ে আমার বেশি একটা মাথাব্যথা নেই। আমি এটুকু বলব, দেশকে দারিদ্র্যমুক্ত করা, উন্নত করা, সমৃদ্ধিশালী করা এবং স্বাধীনতার সুফলটা যেন দেশের প্রতিটি মানুষের ঘরে পৌঁছায় সেটাই আমাদের লক্ষ্য। সে লক্ষ্য নিয়েই কাজ করে যাচ্ছি। এ ব্যাপারে আমি মনে করি, আমরা যথেষ্ট অগ্রগতি আনতে সক্ষম হয়েছি।

পুঁজিবাজার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমরা পুঁজিবাজারে সুশাসন দেখতে চাই। একটি শক্তিশালী অর্থনীতির পাশাপাশি আমরা দেখতে চাই একটি বিকশিত পুঁজিবাজার। শিল্পে বিনিয়োগে দীর্ঘমেয়াদে ঋণ সংগ্রহের আদর্শ মাধ্যম হচ্ছে পুঁজিবাজার। এজন্য দীর্ঘমেয়াদের ঋণ সংগ্রহে ঋণগ্রহীতাদের উৎসাহ প্রদানে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। ব্যাংক খাতের খেলাপি ঋণ নিয়ন্ত্রণে বাজেটে কোনো সুস্পষ্ট নির্দেশনা আছে কিনা- এ প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, পত্রিকার মালিকরা কে, কোন ব্যাংক থেকে কত টাকা ঋণ নিয়েছেন এবং তা শোধ করেছেন কিনা সেই খোঁজ নেওয়া উচিত। আপনারা দয়া করে ব্যাংকগুলো থেকে এ তথ্যটা আগে বের করুন। মিডিয়ার যারা এখানে আছেন তারা প্রত্যেকে ব্যাংকে গিয়ে জেনে নিন কোন মিডিয়া মালিক কোন ব্যাংকের কত টাকা ঋণ নিয়ে কত টাকা ফেরত দেননি বা খেলাপি হয়েও পুনরায় ঋণ নিচ্ছেন, এখানে তার একটা হিসাব বের করলে আমাকে আর প্রশ্ন করতে হবে না। আর মালিকদের বলেন তাদের ঋণখেলাপির টাকাগুলো পরিশোধ করতে, তাহলে আর খেলাপি থাকবে না। এক অঙ্কের সুদহারসংক্রান্ত আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যেহেতু আমাদের সুদের হার বেশি, চক্রবৃদ্ধি হারে সুদ হয়, আর যখন হিসাবটা করা হয় তখন চক্রবৃদ্ধি হারে যেটা বলা হলো সেটা ধরে সুদসহ হিসাব দেওয়া হয়। ফলে ঋণের পরিমাণটা দেখায় অনেক বড়। প্রকৃত ঋণটা যদি ধরা হয় তাহলে দেখা যাবে ঋণ তত বড় নয়। এর পেছনে নিশ্চয়ই বড় কোনো উদ্দেশ্য আছে। যার ফলে চক্রবৃদ্ধি সুদসহ খেলাপি ঋণের পরিমাণ ধরা হয়। তবে খেলাপির ঋণের পরিমাণ যেন নিয়ন্ত্রণে থাকে সেজন্য সরকার ব্যবস্থা নিচ্ছে। পাশাপাশি সুদহার এক অঙ্কে নামিয়ে আনারও উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। কৃষক ধানের ন্যায্যমূল্য পাচ্ছে না- এমন প্রশ্নের উত্তরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ধান উৎপাদনে প্রণোদনা দেওয়া হয় বলে কৃষকের খরচ কম। প্রায় সব খরচ সরকারই দেয়। কৃষকের দেখভাল আমরা করছি বলেই দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছে। এমপিওভুক্তির ব্যাপারে তিনি বলেন, দীর্ঘদিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তি করা সম্ভব হয়নি। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির জন্য পৃথকভাবে এবারের বাজেটে অর্থের সংস্থান রাখা হয়েছে। চিনি আমদানিতে অতিরিক্ত শুল্কারোপের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বেশি চিনি খেলে ডায়াবেটিস হয়, সেজন্য এ ব্যবস্থা করা হয়েছে। এ ছাড়া রাজস্ব বাড়াতে ও জবাবদিহি নিশ্চিত করতে দেশে যত পণ্য বিদেশ থেকে আমদানি হয়ে আসে, দেশ থেকে যত পণ্য রপ্তানি হয়ে বিদেশে যায় সেসব পণ্য স্ক্যানিংয়ের মাধ্যমে পরীক্ষা করার ব্যবস্থা নেওয়া হবে। শেখ হাসিনা বলেন, এ বছর করমুক্ত আয়সীমা ও করহার অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে। পাশের দেশের তুলনায় আমাদের করহার কম। বিদ্যমান হারে আমাদের জনগণ কর প্রদানে অভ্যস্ত। আমাদের সর্ববৃহৎ রপ্তানি খাত তৈরি পোশাকশিল্পে বিদ্যমান (করের) ব্যবহার খুবই সহনীয়, অর্থাৎ খুবই কম। গ্রিন ইন্ডাস্ট্রি বা সবুজ কারখানার ক্ষেত্রে ১০ ও অন্যান্য ক্ষেত্রে ১২ শতাংশ। টেক্সটাইল শিল্পে করহার ১৫ শতাংশ। উভয় শিল্পে প্রণোদনা দেওয়ার জন্য ২০১৯-২০ সালেও এ করহার অপরিবর্তিত থাকবে। প্রবৃদ্ধি ও ব্যবসায় সহায়তা, কৃষি শিল্প ও ভৌত অবকাঠামো খাতে প্রায় ৩৫টি আইটেমে কর অবকাশ সুবিধা আরও পাঁচ বছরের জন্য বাড়ানো হয়েছে। সেই সঙ্গে আরও নতুন কিছু উপখাত অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, সরকারের পরিকল্পনা রয়েছে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে দেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার ১০ শতাংশে উন্নীত করা। আগামী অর্থবছরে এ খাত সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার পাবে। ২০১৯-২০ অর্থবছরের জাতীয় বাজেটকে বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্ববৃহৎ বাজেট আখ্যায়িত করে শেখ হাসিনা বলেন, এ বাজেটের লক্ষ্য সরকারের নির্বাচনী ইশতেহার বাস্তবায়ন, ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ দেওয়া। বর্তমানে দেশের ৯৩ শতাংশ মানুষ বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় এসেছে। উৎপাদনক্ষমতা ২১ হাজার ১৬৯ মেগাওয়াট। শতভাগ মানুষ বিদ্যুৎ পাবে। গ্রামের উন্নয়নে সরকারের বিশেষ দৃষ্টি অব্যাহত থাকবে। গ্রাম হবে আধুনিক শহর। তথ্যপ্রযুক্তির উন্নয়ন আরও গতি পাবে। দ্রুততম সময়ে ফাইভ-জির ব্যবস্থা করা হবে। ঢাকা থেকে কক্সবাজার রুটে দ্রুতগামী বুলেট ট্রেন পরিচালনা করা যায় কিনা এ বিষয়ে একটা সমীক্ষা করা হবে। সরকার রেলওয়েকে একটি সাশ্রয়ী, নিরাপদ ও পরিবেশবান্ধব যোগাযোগমাধ্যম হিসেবে গড়ে তোলার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। সে লক্ষ্যে এ খাতের উন্নয়নকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে কাজ করা হচ্ছে। প্রারম্ভিক বক্তব্য শেষে শেখ হাসিনা বলেন, বাজেটের সংক্ষিপ্তসার আপনাদের সামনে উপস্থাপন করলাম। আমি জানি, এটা একটু ব্যতিক্রমী। প্রধানমন্ত্রী কখনো প্রশ্নের উত্তর দেন না। অর্থমন্ত্রী অসুস্থ থাকার কারণে এটা তার জন্যও একটু কষ্টকর। কারণ অর্থমন্ত্রী হিসেবে এটা তার প্রথম বাজেট। অনেক আকাক্সক্ষা ছিল, কিন্তু সেটা পারেননি। অর্থমন্ত্রীর আশু রোগমুক্তির জন্য দোয়া করার অনুরোধ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের সাবেক অর্থমন্ত্রী আমাদের সঙ্গে আছেন, শক্তি সঙ্গে আছে। এজন্য আমি আগে থেকে তাকে কাছে রেখে দিয়েছি। অনুষ্ঠানের শুরুতে প্রধানমন্ত্রী বাজেটের বিভিন্ন দিক তুলে ধরে ঘণ্টাব্যাপী বক্তব্য দেন। এ সময় তিনি জাতির জনক বঙ্গবন্ধুসহ তাঁর পরিবারের শহীদ সদস্য ও ১৫ আগস্টে অন্য শহীদদের স্মরণ করেন। এ সময় মঞ্চে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুন্শি, পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান, কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক, শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন, এনবিআর চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন ভুঁইয়া ও বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন অর্থসচিব আবদুর রউফ তালুকদার।

সর্বশেষ খবর