শনিবার, ১৫ জুন, ২০১৯ ০০:০০ টা
কেমন হলো বাজেট : বিশেষজ্ঞদের মূল্যায়ন

রাজস্ব আদায় হবে চ্যালেঞ্জিং

আবদুল মজিদ

নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজস্ব আদায় হবে চ্যালেঞ্জিং

বাজেটে ঘোষিত রাজস্ব আয়ের টার্গেট পূরণ করা চ্যালেঞ্জিং হবে বলে মন্তব্য করেছেন এনবিআর-এর সাবেক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবদুল মজিদ। তিনি বলেছেন, বাজেটে ঘোষিত রাজস্ব আয় বাড়ানোর জন্য যে ধরনের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা দরকার, বর্তমানে সেটি অনুপস্থিত। বাজেট বিশ্লেষণ করতে গিয়ে বাংলাদেশ প্রতিদিনকে তিনি বলেন, এখন যে অর্থনৈতিক চিত্র দেখা যাচ্ছে, আমরা দেখছি ব্যাংকগুলোর অবস্থা ভালো নয়। খেলাপি ঋণ বেড়ে গেছে। তারল্য পরিস্থিতি জটিল আকার ধারণ করেছে। এ ধরণের ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে নতুন বিনিয়োগে ঋণ দেওয়া যাবে না। বিনিয়োগ না হলে কর্মচাঞ্চল্য হবে না। আর বিনিয়োগ-কর্মসংস্থান না বাড়লে কাক্সিক্ষত রাজস্ব আদায়ও বাধাগ্রস্ত হবে। তখন এটি একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াবে। মোহাম্মদ আবদুল মজিদ বলেন, প্রতি বছরই বাজেট বাড়ে। সেই সঙ্গে জ্যামিতিক হারে বাড়ে রাজস্ব আদায়ের টার্গেট। প্রস্তাবিত বাজেটেও সেভাবেই রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করা হয়েছে। প্রায় ৩ লাখ ৭৭ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব আয় করতে হবে নতুন অর্থবছরে। রাজস্ব আয়ের যে নতুন টার্গেট দেওয়া হয়েছে, তা কতটা আদায়যোগ্য সেটি বুঝতে হলে আমাদের আগের অর্থবছর অর্থাৎ ২০১৭-১৮ অর্থবছরে যে প্রকৃত রাজস্ব আয় হয়েছে, তার সঙ্গে তুলনা করতে হবে। কারণ সেটি দিয়েই এনবিআর-এর সক্ষমতা বিবেচনা করতে হবে। আমরা দেখতে পাচ্ছি আগের অর্থবছরের প্রকৃত রাজস্ব আয়ের চেয়ে প্রস্তাবিত বাজেটে ঘোষিত রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা অনেক বেশি। এনবিআর-এর সাবেক চেয়ারম্যান বলেন, রাজস্ব আয়ে বিভিন্ন ধরনের সংস্কারের কথা বলা হয়েছে, এগুলো ভালো। তবে আমি বলতে চাই, এসব সংস্কার নতুন নয়। আগের বাজেটেও বিভিন্ন ধরনের সংস্কারের কথা বলা হয়েছিল। সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া। বাস্তবায়নে দীর্ঘ সময় লাগবে। সে জন্য রাজস্ব আয়ের লক্ষ্য পূরণে দেখতে হবে আমাদের সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় আছে কি না। কারণ নতুন বিনিয়োগ, কর্মসংস্থান  না হলে, পণ্যের উৎপাদন না বাড়লে, আপনার আয় বাড়বে না। আয় না বাড়লে বাড়তি ট্যাক্স আপনি দিতে পারবেন না। এ কারণে রাজস্ব টার্গেট পূরণে অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা জরুরি।  

সর্বশেষ খবর