শনিবার, ১৫ জুন, ২০১৯ ০০:০০ টা

জয়ের আশায় বাংলাদেশ

উইন্ডিজকে হারিয়ে জেগে উঠতে চায় টাইগাররা

একটি জয় চাই! হ্যাঁ, একটি জয়ই চায় বাংলাদেশ। টনটনের ঐতিহাসিক কাউন্টি গ্রাউন্ডে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়ে আড়মোড়া ভেঙে নতুন করে জেগে উঠবে টাইগাররা! দক্ষিণ আফ্রিকাকে প্রথম ম্যাচে হারিয়ে যে উচ্ছ্বাসে শুরু করেছিলেন মাশরাফিরা, পরের দুই ম্যাচে নিউজিল্যান্ড ও ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে হেরে তা অনেকটাই ম্লান হয়ে গেছে। আর ব্রিস্টলে বৃষ্টিতে লঙ্কানদের বিরুদ্ধে পয়েন্ট হারিয়ে বাংলাদেশ দল এখন জয়ের জন্য ‘ক্ষুধার্ত’ হয়ে গেছে। গতকাল ছিল ঐচ্ছিক অনুশীলন। সমারসেটের কাউন্টি গ্রাউন্ডে মুশফিকরা এসে নেটে ঘণ্টাখানেক সময় কাটান কমিউনিটি কোচিং ক্লিনিকের শিশুদের সঙ্গে। গতকাল টনটনের আবহাওয়া ছিল এমন- কখনো মেঘ, কখনো বৃষ্টি, আবার হঠাৎ রোদ উঠছিল। টনটনের এই মাঠে জিতলে হলে প্রধান ভূমিকা রাখতে হবে পেসারদেরই। এখানে বিশ্বকাপের আরও দুটি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছে। দুই ম্যাচেই আধিপত্য বিস্তার করেছিলেন পেসাররা। প্রথম ম্যাচে আফগানিস্তানকে ধসিয়ে দিয়েছিল নিউজিল্যান্ডের পেসাররাই। দুই কিউই বোলার জেমস নিশাম ও ফার্গুসন মিলেই নিয়েছিলেন আফগানদের ৯ উইকেট। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে পাকিস্তানের মধ্যকার দ্বিতীয় ম্যাচটিও জমে উঠেছিল। সে ম্যাচেও প্রাধান্য ছিল পেসারদের। তাই ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারাতে হলে বাংলাদেশের পেসারদেরও যে বড় ভূমিকা রাখতে হবে তা তো বলার অপেক্ষা রাখে না। কিন্তু ক্রিস গেইল, আন্দ্রে রাসেলদের আটকাবে কে? সত্যিকারার্থে বাংলাদেশে তো ভীতি তৈরি করার মতো কোনো বোলার নেই। অলরাউন্ডার হওয়ার কারণে মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন কোচ স্টিভ রোডসের প্রথম পছন্দ। কিন্তু বোলিংয়ে তার আহামরি গতি নেই। মাশরাফির ভরসা লাইলেন্সে। মুস্তাফিজের পারফরম্যান্স তো ‘আধো আলো আধো ছায়া’! ইংল্যান্ডের এই আবহাওয়ার মতো। কোন দিন কাটার মাস্টার জ্বলে উঠবেন তা কে জানে! আর সবচেয়ে গতি যার বলে সেই রুবেল হোসেন তো টিম কম্বিনেশনের কারণে দলেই সুযোগ পান না। তবে সমারসেটের পেসবান্ধব ক্রিকেট গ্রাউন্ডের কথা চিন্তা করলে একাদশে চার পেসারও দেখা যেতে পারে। সে ক্ষেত্রে রুবেল নিশ্চিত। একে তো পেসারদের স্বর্গ, তার ওপর প্রতিপক্ষ উইন্ডিজ হওয়ায় বাংলাদেশ তাকিয়ে আছে বোলিং উপদেষ্টা কোর্টনি ওয়ালশের দিকেই। উইন্ডিজ কিংবদন্তিও আশ্বস্ত করছেন, ‘আমরা জয় ছাড়া অন্য কিছু ভাবছি না। প্রতিপক্ষ যেই হোক। তবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ভয়ঙ্কর কিছু ব্যাটসম্যান আছে। গেইল ও রাসেলের জন্য আমাদের আলাদা পরিকল্পনাও প্রস্তুত আছে।’ নিজের দেশের বিরুদ্ধে খেলা, ওয়ালশ কি সত্যি শতভাগ উজাড় করে দিয়ে কাজ করতে পারবেন? কাল এমন প্রশ্নও উঠেছিল। কিন্তু পেশাদার ওয়ালশ নিয়েই সে সংশয় দূর করে দেন, ‘আমি এখন বাংলাদেশের হয়ে কাজ করি।

আমার কাছে আমার দায়িত্বই আসল। এই ম্যাচে বাংলাদেশের জয় ছাড়া আমি আর কিছু ভাবছি না।’ তবে জয়ের জন্য সবার আগে চাই মানসিক দৃঢ়তা! প্রতিপক্ষ ৫০০ রান করলে মনে যাতে এমন বিশ্বাস থাকে আমাদের ৫০১ করতে হবে! আর কম রানে আউট হলেও তা নিয়ে লড়াই করার দৃঢ়তা দেখাতে হবে! শরীরী ভাষাতেও তার বহিঃপ্রকাশ থাকা জরুরি! শারীরিক ও মানসিকভাবে আত্মপ্রত্যয়ী হলে যত বড় দলই হোক তাদের হারানো অসম্ভব নয়!

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর