নরসিংদী শহরের বীরপুরে কলেজছাত্রী ফুলন রানী বর্মণের (২২) গায়ে আগুন দেওয়ার ঘটনায় পুলিশ সজীব নামে একজনকে আটক করেছে। গতকাল ভোর রাতে রায়পুরা উপজেলার পূর্বপাড়া থেকে তাকে আটক করা হয়।
গত বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে ফুলনদের বাড়ির আঙ্গিনায় আগুন দেওয়ার এ ঘটনা ঘটে। আগুনে ফুলনের শরীরের ২০ ভাগ পুড়ে গেছে। গুরুতর অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। দগ্ধ ফুলন বীরপুরের যুগেন্দ্র বর্মণের মেয়ে। তিনি নরসিংদীর উদয়ন কলেজ থেকে গত বছর এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। পুলিশ ও দগ্ধ কলেজছাত্রীর পরিবারের সদস্যরা জানান, রাত সাড়ে ৮টার দিকে ফুলন মামার সঙ্গে দোকানে কেক আনতে যান। মামা কেক কিনে দিয়ে তাকে বাড়িতে পাঠিয়ে দেন। ফুলন কেক নিয়ে বাড়ির আঙ্গিনায় পৌঁছলে দুই দুর্বৃত্ত তার হাত-মুখ চেপে ধরে পাশের একটি নির্জন স্থানে নিয়ে যায়। পরে কেরোসিন ঢেলে তার শরীরে আগুন ধরিয়ে দিয়ে পালিয়ে যায়। একটি সূত্রে জানা গেছে, দগ্ধ ফুলনের কাকাতো ভাই সুমনের শ্যালক সজীব ফুলনকে পছন্দ করত। গত দুই বছর যাবৎ ফুলনকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে আসছিল। কিন্তু ফুলন এতে রাজি হয়নি। ফলে ক্ষিপ্ত হয়ে প্রেমিক সজীব এ আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটাতে পারে বলে অনেকেই মনে করছেন।
