বৃহস্পতিবার, ২০ জুন, ২০১৯ ০০:০০ টা

ছাত্র বিক্ষোভে বুয়েটে অচলাবস্থা

১৬ দফা দাবিতে উত্তাল ক্যাম্পাস

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক

ছাত্র বিক্ষোভে বুয়েটে অচলাবস্থা

বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা খাতে বরাদ্দ বৃদ্ধি, ছাত্রকল্যাণ পরিচালকের নিয়োগ বাতিল, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশমুখে তোরণ নির্মাণসহ ১৬ দফা দাবিতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের আন্দোলন চলছে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট)। গতকাল পঞ্চম দিনের মতো ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে চলে এ আন্দোলন। শিক্ষার্থীদের টানা এ আন্দোলনে অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়েছে দেশের এই শীর্ষস্থানীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে। বেলা ১১টা থেকে আড়াইটা পর্যন্ত চলে শিক্ষার্থীদের অবরোধ, মিছিল আর বিক্ষোভ। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনে তালা লাগানো আর ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনে অচলাবস্থার সৃষ্টি হয় বুয়েটে। এদিকে দাবি না মানা পর্যন্ত ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। বেলা ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে জড় হতে থাকেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এরপর তারা শহীদ মিনার থেকে মিছিল নিয়ে ভিসির কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেন। এ সময় তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসানিক ভবনে তালা লাগিয়ে দেন। বেলা আড়াইটা পর্যন্ত  তাদের এ আন্দোলন চলে। সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তারা দীর্ঘদিন ধরে প্রশাসনের কাছে এই ১৬টি দাবি জানিয়ে আসছিলেন কিন্তু কোনো সময়ই প্রশাসন তাদের দাবি বাস্তবায়নে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। যদিও সাধারণ শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে একাত্মতা ঘোষণা করে বিবৃতি দিয়েছে বুয়েট শিক্ষক সমিতি। এর আগে মঙ্গলবার আন্দোলনকারীরা দাবি পূরণের জন্য তাদের বেঁধে দেওয়া তিন দিনের আলটিমেটাম শেষ হওয়ায় ভিসির কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে দেন। এদিন তারা তোরণ নির্মাণ ও ক্যাম্পাসে বহিরাগত যানবাহন প্রবেশ বন্ধ করার দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশমুখ পলাশী ও বকশীবাজার মোড়ে বাঁশ দিয়ে ব্যারিকেড দিয়ে যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেন। আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী অনির্বাণ বলেন, ‘আন্দোলনের তৃতীয় দিন শিক্ষকরা ও ডিন স্যার আশ্বাস দিয়েছিলেন যে আমাদের দাবিগুলো মানা হবে, এ বিষয়ে তারা ভিসি স্যারের সঙ্গে কথা বলেছেন। কিন্তু হাস্যকর বিষয় হচ্ছে, তারা আমাদের দাবিগুলোর বিপরীতে যুক্তিহীন কিছু কথা বলেছেন। তারা বলেছেন, গাছের ডাল পড়ে নাকি গাড়ি ভেঙে যায় এবং গাছে থাকা পাখিদের মল-মূত্রে নাকি ক্যাম্পাসের পরিবেশ নষ্ট হয়। তাই তারা গাছ কেটে ফেলেছেন।’ আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের মুখপাত্র বিশ্ববিদ্যায়ের মেকানিক্যাল বিভাগের সমাপনী বর্ষের ছাত্র হাসান সরওয়ার সৈকত বলেন, ‘আমরা এখনো শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছি। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যদি আমাদের দাবি মেনে না নেয়, তাহলে আমরা আরও কঠোর আন্দোলনে যেতে বাধ্য হব।’ সার্বিক বিষয়ে জানার জন্য বুয়েটের ভিসি প্রফেসর ড. শফিউল আলমকে মুঠোফোনে একাধিকবার কল দেওয়া হলেও তিনি তা রিসিভ করেননি।

সর্বশেষ খবর