বৃহস্পতিবার, ২০ জুন, ২০১৯ ০০:০০ টা

ভাগ্নের ফোন সচলের তথ্য জানিয়ে ফেসবুক লাইভে সোহেল তাজ

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

অপহরণের ১১ দিন পরও সন্ধান মেলেনি সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সোহেল তাজের ভাগ্নে সৈয়দ ইফতেখার আলম সৌরভের। দেশে আলোচিত এ অপহরণ বিষয়ে পুলিশ কোনো সুখবর দিতে না পারলেও মঙ্গলবার রাতে সৌরভের হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর থেকে একাধিকবার কল এসেছে তার বাবা-মায়ের নম্বরে। এখন হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরের সূত্র ধরেই তদন্ত করছে পুলিশ।

চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের (সিএমপি) উপকমিশনার (উত্তর) বিজয় বসাক বলেন, ‘সৌরভকে উদ্ধারের জন্য পুলিশ সর্বশক্তি প্রয়োগ করেছে। আশা করছি দ্রুততম সময়ের মধ্যে তাকে উদ্ধার করতে সক্ষম হবে পুলিশ।’ এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘সকালে সৌরভের পরিবারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয় তার হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর খোলা রয়েছে। পরে পুলিশও এর সত্যতা পায়। নম্বরের সূত্র ধরে পুলিশও তাকে উদ্ধারের চেষ্টা করছে।’ গতকাল দুই দফায় ফেসবুক লাইভে আসেন সৈয়দ ইফতেখার আলম সৌরভের মামা সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী তানজিম আহমদ সোহেল তাজ ও তার বাবা-মা। ওই ফেসবুকে দাবি করা হয়, মঙ্গলবার গভীর রাতে সৌরভের হোয়াটসআপ নম্বর থেকে কয়েক দফা ফোন আসে বাবা-মার মোবাইল নম্বরে। এ সময় কল রিসিভ করা হলেও কেউ কথা বলেননি। গতকাল সন্ধ্যায় ফের ফেসবুক লাইভে আসেন সোহেল তাজ। এ সময় তিনি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ প্রশাসনের শীর্ষ কর্তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলেন। তিনি বলেন, এর আগে সৌরভকে তুলে নিয়ে গিয়ে নির্যাতন করা হয়। লাইভে তিনি সৌরভকে জীবিত ও অক্ষত ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি জানান। মামলাসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে এ অপহরণ নিয়ে বেশকিছু তথ্য পাওয়া গেছে। কিন্তু সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা এ ঘটনার সন্দেহভাজনদের বিষয়ে প্রকাশ্যে মুখ খুলছেন না।

তাদের দাবি, যে পাজেরো গাড়িটি ব্যবহার করে সৌরভকে অপহরণ করা হয়েছে, সে গাড়ির নম্বর উদ্ধার, মোবাইল ফোনের কললিস্ট পর্যালোচনা, মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীর পরিচয়, ভুয়া ঠিকানায় নিবন্ধন করা মোবাইল ফোনের নম্বর চিহ্নিতকরণসহ নানা তথ্য এখন পুলিশের হাতে। এসব তথ্য প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানানো হয়েছে। প্রসঙ্গত, ৯ জুন পাঁচলাইশ থানার আফমি প্লাজার পাশের সড়ক থেকে সৌরভকে চাকরি দেওয়ার কথা বলে পাজেরো জিপে কে বা কারা তুলে নিয়ে যায়। এর পর থেকেই তিনি নিখোঁজ। সৌরভকে অপহরণ করা হয়েছে দাবি করে ১০ জুন পাঁচলাইশ থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন তার বাবা ইদ্রিস আলম।

সর্বশেষ খবর