শনিবার, ২২ জুন, ২০১৯ ০০:০০ টা

নিয়ম না মেনে নির্মাণ হলে ভবন ভেঙে ফেলা হবে : পূর্তমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

নিয়ম না মেনে নির্মাণ হলে ভবন ভেঙে ফেলা হবে : পূর্তমন্ত্রী

গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেছেন, ‘রাজধানীতে নিয়ম না মেনে নির্মাণ করা সব বিল্ডিং ভেঙে  ফেলা হবে। এ বিষয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। ভবন যদি কোনো ব্যক্তির আয়ের উৎস হয়Ñ তা কোনোভাবেই মানুষের জীবনের চেয়ে বড় হতে পারে না।’

গতকাল ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির মিট দ্য রিপোর্টার্স অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।  মন্ত্রী বলেন, ‘নতুন ঢাকায় যারা নিয়ম না মেনে বিল্ডিং নির্মাণ করেছেন তাদেরকে  অনিয়মের বিল্ডিংগুলো ভেঙে ফেলতে হবে। যেসব ভবনে কিছু অনিয়ম হয়েছে এবং আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে আলাদা পিলার বা আলাদা ভিত্তি দিয়ে টিকিয়ে রাখা সম্ভব- সেগুলোকে ছাড়  দেওয়া হলেও ঝুঁকি সৃষ্টি করে এমন ভবন ছাড় পাবে না।’ তিনি আরও বলেন, ‘যে ভবনকে কোনোভাবেই রাখা যাবে না, সেটা যদি মালিক ভাঙতে না চান সেসব বিল্ডিং আমরা সম্পূর্ণরূপে বেআইনি ও ব্যবহার অনুপযোগী বলে সিলগালা করে দেব। ওই বিল্ডিং ব্যবহারও করতে দেব না। কারণ মানুষের জীবনের মূল্যেও চেয়ে কোনো ব্যক্তির বিল্ডিংয়ের আয়ের উৎসের জায়গাটা আমাদের কাছে কোনোভাবে বড় না।’  বনানীর এফ আর টাওয়ারে অগ্নিকান্ড নিয়ে তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করার কথা তুলে ধওে রেজাউল করিম বলেন, ‘সেখানে ৬২ জন কর্মকর্তাকে চিহ্নিত করা হয়েছে। আমি শুধু বাড়িওয়ালাকে ধরব, আমার লোককে ধরব না, তাহলে তো জিরো টলারেন্স হলো না। জিরো টলারেন্সের প্রশ্নে এই ৬২ জনের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য গত সপ্তাহে রাজউককে নির্দেশ দিয়েছি। এফ আর টাওয়ারে অগ্নিকা-ের পর রাজউকের ২৪টি দলে কাজ করে এক হাজার ৮১৮টি বাড়িতে (বহুতল ভবন) অনিয়ম পেয়েছে।’ পূর্তমন্ত্রী বলেন, ‘এসব বাড়ির অনেক মালিক অনেক প্রভাবশালী, তাদের সম্পর্কে রিপোর্ট করা হবে অনেকেই ভাবেননি। কারণ তারা এতই পাওয়ারফুল! এসব বিল্ডিংয়ের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে যাচ্ছি, আপনারা আমাদের সাহায্য করুন। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য রাজউককে নির্দেশ দিয়েছি এবং বলেছি, একটা বাড়িও ড্রপ হবে না। যদি কোনো মন্ত্রী-এমপির বাড়িও হয়, আমার নিজের কোনো আত্মীয়-স্বজনও হয়Ñ ড্রপ হবে না। আইনকে তার নিজস্ব গতিতে চলতে দিতে হবে।’ অনিয়মের খবর কোনো গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলে তার তদন্ত করা হয় জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘নিউজের ওপর ভর করেই ১২টি তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। গণপূর্তের একজন ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার, সে নাকি এত প্রভাবশালী যে তাকে ছোঁয়া কারও পক্ষে সম্ভব না। শুনলাম সে নাকি সমিতি করে, আমার দল করে, সাংঘাতিক পাওয়ারফুল অ্যাসোসিয়েশনের নেতা। অপরাধের খতিয়ান খুঁজলাম, দেখলাম সে সাংঘাতিক বেপরোয়া। তাকে বদলির জন্য একটা মানসিক আগ্রহ নিলাম। সে তদবির কারাল বড় বড় জায়গা থেকে। ভাবলাম এত তদবির যখন, তখন তার বিরুদ্ধে আন্তরিক হওয়া উচিত। তাকে আমি পার্বত্য চট্টগ্রামে পোস্টিং দিয়েছি। কোনো তদবির তাকে ঠেকাতে পারেনি। আমরা চাই সবাই মিলে ভালো কিছু করতে। আমি নিজে একটা ওয়াদা করেছি, উপরে আল্লাহ, নিচে শেখ হাসিনা, মাঝখানে আমার কোনো তদবির নেই।’ ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক কবির আহমেদ খানের সঞ্চালনায় সংগঠনটির সভাপতি ইলিয়াস হোসেন অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন।

সর্বশেষ খবর