বুধবার, ২৬ জুন, ২০১৯ ০০:০০ টা

দ্রুত বিচার আইনের মেয়াদ পাঁচ বছর বৃদ্ধির বিল সংসদে

নিজস্ব প্রতিবেদক

দ্রুত বিচার আইনের মেয়াদ আরেক দফা বাড়ানোর জন্য সংসদে ‘আইনশৃঙ্খলা বিঘ্নকারী অপরাধ (দ্রুত বিচার) (সংশোধন) আইন, ২০১৯’ বিল উত্থাপন করা হয়েছে। বিদ্যমান আইনে অপরাধ প্রমাণিত হলে দুই থেকে পাঁচ বছর পর্যন্ত সশ্রম কারাদ- ও অর্থদ- হতে পারে। এ আইনে ১২০ দিনের মধ্যে বিচারকাজ নিষ্পত্তি করার বিধান আছে। এই সময়ের মধ্যে নিষ্পত্তি করা না গেলে আরও ৬০ দিন সময় পাওয়া যাবে। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের বাজেট অধিবেশনে গতকাল বিলটি উত্থাপন করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। পরে বিলটি অধিকতর যাচাই-বাছাই করে সাত দিনের মধ্যে সংসদে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়। এর আগে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল সংসদে বলেন, এ আইনটির অধীনে ১ হাজার ৭০৩টি মামলা নিষ্পত্তির লক্ষ্যে আইনটির মেয়াদ বাড়ানো প্রয়োজন। এজন্য আইনটির মেয়াদ আরও পাঁচ বছর বাড়িয়ে ২০২৪ সাল পর্যন্ত বহাল রাখার প্রস্তাব করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

২০০২ সালে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার আমলে ‘আইনশৃঙ্খলা বিঘ্নকারী অপরাধ (দ্রুত বিচার) আইন, ২০০২’ সংসদে পাস হয় এবং দুই বছরের জন্য তা কার্যকর হয়। এরপর বিভিন্ন সময়ে ছয়বারে এ আইনের মেয়াদ দুই বছর করে ১৫ বছর বাড়ানো হয়। সর্বশেষ ২০১৪ সালে আইনটির মেয়াদ বাড়ানো হয়। ৯ এপ্রিল এর মেয়াদ শেষ হয়েছে। বিলের উদ্দেশ্য ও কারণসংবলিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়নে দ্রুত ও কার্যকর ভূমিকা পালনের উদ্দেশ্যে চাঁদাবাজি, যানবাহন চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি, যানবাহনের ক্ষতিসাধন, স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি বিনষ্ট, ছিনতাই, দস্যুতা, ত্রাস ও অরাজকতা সৃষ্টি, দরপত্র কেনা, বিক্রি, গ্রহণ বা দাখিলে বাধা দেওয়া বা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি, ভয়ভীতি দেখানো ইত্যাদি গুরুতর অপরাধের দ্রুত বিচার নিশ্চিত করার মাধ্যমে দেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অধিকতর উন্নতির জন্য আইনশৃঙ্খলা বিঘ্নকারী অপরাধ (দ্রুত বিচার) আইন, ২০০২ প্রণয়ন করা হয়েছিল।

সর্বশেষ খবর