বৃহস্পতিবার, ২৭ জুন, ২০১৯ ০০:০০ টা

মাহমুদুল্লাহকে নিয়ে শঙ্কা

সামনে এখন ভারত-পাকিস্তান

হায়াত রেজেন্সি বার্মিংহাম। বাংলাদেশ দলের টিম হোটেলের নাম। ৩ জুলাই পর্যন্ত বার্মিংহামের এই হোটেলেই থাকবেন ক্রিকেটাররা। অবশ্য এখন হোটেলে আছেন মাত্র কয়েকজন ক্রিকেটার। অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা, লিটন কুমার দাস, মেহেদী মিরাজ ও মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ! মুশফিকুর রহিমও সাউদাম্পটন থেকে বার্মিংহামে হায়াত রেজেন্সিতেই উঠেছিলেন। কিন্তু লম্বা ছুটি তাই গতকাল এক আত্মীয়র বাসায় গেছেন। বার্মিংহামের এজবাস্টনে ভারতের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের খেলা ২ জুলাই। সপ্তাহ খানেকের গ্যাপ থাকলেও অনুশীলনের জন্য কোনো মাঠও দেয়নি আইসিসি। ৩০ জুনের আগে অনুশীলনের সুযোগ নেই। অনেকটা বাধ্য হয়েই ক্রিকেটারদের লম্বা ছুটি দিয়েছে ক্রিকেট বোর্ড। হোটেলে যে কজন ক্রিকেটার এবং টিম স্টাফ উঠেছেন তাদের যেন সময়ই কাটছিল না। সকালে ছেলে সাহিলকে নিয়ে হোটেলের নিচে নামেন অধিনায়ক মাশরাফি। প্রচ  বাতাসের মধ্যেও ছেলে সাহিল ছোটাছুটি করছিল, এ সময় মিডিয়া কর্মীদের আড্ডা জমিয়ে ফেলেন টাইগার ক্যাপ্টেন! আড্ডায় অঘোষিত শর্ত- ‘ক্রিকেট আলোচনা’ চলবে না! কিন্তু তাই কী আর হয়। ঘুরে ফিরে যে ক্রিকেটই আসছে? কোন কোন ক্রিকেটার বার্মিংহাম হোটেলে আছেন এখন? এমন প্রশ্নে রসিকতা করে ম্যাশ বলেন, ‘যাদের শরীরে ব্যথা আছে তারা এখন হোটেলে। বাকিরা সবাই ঘুরছে!’

মাশরাফি যে সব সময় ব্যথা নিয়েই খেলেন সেটা তো নতুন কিছু নয়! কিছুটা সমস্যা আছে মুশফিকেরও। তবে আশঙ্কা আছে মাহমুদুল্লাহ রিয়াদকে নিয়ে। আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে ম্যাচে ব্যাটিংয়ের সময় দৌড়াতেই পারছিলেন না। ফিল্ডিংয়ে তো নামতেই পারেননি। কাপ মাসলের ইনজুরিতে ভুগছেন। সাউদাম্পটনের হোটেল ছেড়েছেন ক্র্যাচে ভর দিয়ে। মাহমুদুল্লাহ ক্র্যাচসহ ছবি ভাইরাল হয়ে যায় সামাজিক মাধ্যমে! তবে ভারতের বিরুদ্ধে ম্যাচের আগে সপ্তাহ খানেক সময় পাওয়ায় সুবিধা হয়েছে। এ সময়ের মধ্যে মাহমুদুল্লাহ সুস্থ হয়ে উঠতে পারেন বলে আশা করছেন মাশরাফি।

বাংলাদেশ দলের ফিজিও থিলান চন্দ্রমোহন মাহমুদুল্লাহকে চোখে চোখে রেখেছেন। গতকাল মিডিয়া ম্যানেজার রাবীদ ইমাম বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ‘সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণে আছেন মাহমুদুল্লাহ। তাকে দুই-তিন দিন পর আবার পরীক্ষা করা হবে। ক্রিকেটাররা ছুটিতে। যে যার মতো ঘুরে বেড়াচ্ছেন। ইনজুরির কারণে বাইরে যেতে পারছেন না মাহমুদুল্লাহ।’

তবে সামনের ম্যাচের আগে মাহমুদুল্লাহ যদি সুস্থ না হতে পারেন তবে দেশ থেকে অন্য কাউকে আনা হবে বলে জানা গেছে বিসিবি সূত্রে! এই অল্প সময়ের মধ্যে নতুন কেউ এসে নতুন কারও পক্ষে এই রহস্যময় ইংলিশ কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়াও কঠিন। প্রস্তুত রাখা হচ্ছে মোহাম্মদ মিথুন ও সাব্বির রহমানকে।

কালকের আড্ডায় ঘুরে ফিরে সেমিফাইনালেই বিষয়টি সামনে চলে আসছিল বার বার! এখনো যে বাংলাদেশের সামনে দারুণ সুযোগ। আগের দিন অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ইংল্যান্ড হেরে যাওয়ায় টাইগারদের জন্য আরও সহজ হয়ে গেছে। এখন পরের দুই ম্যাচের মধ্যে স্বাগতিকরা যদি একটি হারে এবং বাংলাদেশ পরের দুই ম্যাচে ভারত-পাকিস্তানকে হারাতে পারলেই হয়ে যাবে স্বপ্ন পূরণ!

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর