বৃহস্পতিবার, ২৭ জুন, ২০১৯ ০০:০০ টা

ফেসবুক গুগল স্টার জলসা জি বাংলার মতো বিদেশি চ্যানেলের ওপর ভ্যাট

নিজস্ব প্রতিবেদক

বাংলাদেশি বিজ্ঞাপন প্রচার করতে হলে ফেসবুক, গুগল, ইউটিউব এবং স্টার জলসা, জি বাংলার মতো বিদেশি টেলিভিশন চ্যানেলকে ১৫ শতাংশ হারে ভ্যাট পরিশোধ করতে হবে। এ জন্য সংশ্লিষ্ট সেবাদানকারী কোম্পানিগুলোকে ভ্যাট নিবন্ধন গ্রহণ করতে হবে। আর এই কার্যক্রম পরিচালনার জন্য বাংলাদেশে ভ্যাট বা মূসক এজেন্ট নিয়োগ দিতে হবে বিদেশি কোম্পানিগুলোকে। গতকাল এ বিষয়ে একটি সার্কুলার জারি করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। ‘ফেসবুক, গুগল দুই হাজার কোটি টাকা নিয়ে যাচ্ছে অবৈধ চ্যানেলে’ শিরোনামে সোমবার একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয় বাংলাদেশ প্রতিদিনে। এর দুই দিনের মাথায় জাতীয় রাজস্ব বোর্ড থেকে এ ধরনের প্রজ্ঞাপন জারি করা হলো। সার্কুলারে বলা হয়েছে, অনাবাসী ব্যক্তি কর্তৃক বাংলাদেশে প্রদত্ত বেতার ও টেলিভিশন এবং ইলেকট্রনিকস সেবা (যেমন ফেসবুক, গুগল, ইউটিউব, ভাইবার, মেসেঞ্জার, হোয়াটসঅ্যাপ ইত্যাদির মাধ্যম ব্যবহার করে প্রদত্ত মেসেজ, ভয়েস, বিজ্ঞাপন ও অনুরূপ যে কোনো সেবা) সরবরাহকারী সব প্রতিষ্ঠানকে মূসক নিবন্ধন নিতে হবে। সেবা প্রদানের জন্য সংশ্লিষ্ট কোম্পানিগুলোকে বাংলাদেশে মূসক এজেন্ট নিয়োগ করতে হবে। এনবিআর জানায়, ওই মূসক এজেন্টরাই সংশ্লিষ্ট কোম্পানিগুলোর বাংলাদেশ থেকে বিজ্ঞাপন বাবদ পাওয়া আয়ের ওপর ১৫ শতাংশ হারে ভ্যাট পরিশোধ করবে। এর আগে গত বছর জারি করা প্রজ্ঞাপন অনুসারে ফেসবুক, গুগলে বিজ্ঞাপন প্রচারের জন্য বাংলাদেশি কোম্পানিগুলোর ওপর ১৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপ করা হয়েছিল। যেহেতু সংশ্লিষ্ট কোম্পানিগুলোর বাংলাদেশে কোনো লিয়াজোঁ অফিস ছিল না, সে কারণে তাদের ওপর কর আরোপের কোনো সুযোগ ছিল না বলে ওই সময় জানিয়েছিল এনবিআর। গত বছর ৪ এপ্রিল এনবিআরের সম্মেলন কক্ষে সংবাদপত্রশিল্প মালিকদের সংগঠন নিউজপেপার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (নোয়াব) এবং অ্যাসোসিয়েশন অব টেলিভিশন চ্যানেল ওনার্স (অ্যাটকো) নেতারা বিদেশি টেলিভিশন চ্যানেল এবং ইন্টারনেটে সেবাদানকারী ডিজিটাল প্লাটফর্ম ফেসবুক, ইউটিউব ও সার্চ ইঞ্জিন গুগলকে করের আওতায় আনার সুপারিশ করে। এর পরিপ্রেক্ষিতে ওই বছরের মে মাসে ফেসবুক, গুগলের মতো ডিজিটাল প্লাটফর্মে বাংলাদেশের বিজ্ঞাপন প্রচারের ওপর ১৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপ করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। তবে আগের ওই প্রজ্ঞাপনে যেহেতু বাংলাদেশি বিজ্ঞাপনদাতার কাছ থেকে ভ্যাট আদায়ের কথা বলা হয়েছিল, সে কারণে ব্যাংকিং চ্যানেলে অর্থ পরিশোধ না করে অবৈধভাবে হুন্ডির মাধ্যমে বিজ্ঞাপন আয় থেকে প্রায় দুই হাজার কোটি টাকা নিয়ে যাচ্ছিল ফেসবুক, গুগল ও বিদেশি টেলিভিশন চ্যানেল কোম্পানিগুলো। আর নন-ব্যাংকিং চ্যানেলে অর্থ পরিশোধ হওয়ায় এ থেকে সরকার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছিল।

সর্বশেষ খবর