রবিবার, ৩০ জুন, ২০১৯ ০০:০০ টা

চায়না মালয়েশিয়া পারলে আমরাও পারব

নিজস্ব প্রতিবেদক

চায়না মালয়েশিয়া পারলে আমরাও পারব

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, চায়নায় এক সময় খাদ্য সংকট ছিল। তাদের অধিকাংশ মানুষের খাবার ছিল না। অথচ আজকে তারা বিশ্বের এক নম্বর দেশে পরিণত হতে যাচ্ছে। আগামীতে আমরাও চায়নার সমান হতে পারব। গতকাল জাতীয় সংসদে প্রস্তাবিত ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটে (অর্থবিলের ওপর) সমাপনী বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। অর্থমন্ত্রী বলেন, আমরা কী দেখতে পাই? আমরা যদি মালয়েশিয়ার দিকে তাকাই? ৩০ বছরের মধ্যে মালয়েশিয়া চলে গেছে তাদের কাক্সিক্ষত লক্ষ্যে, কাক্সিক্ষত জায়গায়। তিনি বলেন, যদি চায়না পারে, মালয়েশিয়া পারে, সাউথ কোরিয়া পারে তাহলে বাংলাদেশ অবশ্যই পারবে। গত দশ বছরে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে নিরলস পরিশ্রম করে আমরা সবাই মিলে বাংলাদেশকে উচ্চ জায়গায় নিয়ে এসেছি। ট্রেন একবার যখন ট্রাকের ওপর উঠে যায় তখন আর ট্রেন পেছনের দিকে যায় না। কোনো জাতি নাই আমাদেরকে এখান থেকে গতিচ্যুত করতে পারবে। আমরা এগোবই, এগোবই ইনশা আল্লাহ। তিনি বলেন, একটা দেশ এবং জাতির সঙ্গে অনেক মিল আছে। মানুষের জীবনে যেমনিভাবে সম্ভাবনা সৃষ্টি হয় ঠিক তেমনিভাবে দেশের ক্ষেত্রেও সেটা সম্ভব হয়। দেশের ক্ষেত্রে সম্ভব হয় বলেই আমরা আমাদের এই বাজেটে টাইটেল রেখেছি ‘সময় এবার আমাদের, সময় এখন বাংলাদেশের’। এটা ইচ্ছাকৃতভাবে লেখা হয়েছে। আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, ‘আমরা বেশি ঋণ করি কি না? আমাদের ঋণের পরিমাণ জিডিপির ৫ শতাংশ। মালয়েশিয়ার এর চেয়ে বেশি। ঋণের পরিমাণ হিসাব করা হয় জিডিপি দিয়ে। আমরা ঋণ নেই চায়নার কাছ থেকে। চায়নার ঋণের পরিমাণ জিডিপির ২৮৪ শতাংশ। ওরা আমাদের ঋণ দেয়। আমাদের ঋণের পরিমাণ জিডিপির ৩৪ শতাংশ। ২০৪১ সাল নাগাদ আমরা আর ঋণ নেব না। আমরা ঋণ দিব ইনশা আল্লাহ। সারা বিশ্বের মানুষকে ঋণ দেব আমরা।’তিনি আরও বলেন, এ বাজেটের সুফল ২০২৪ সাল পর্যন্ত পাওয়া যাবে। এই বাজেটটি শুধু একটি বছরের জন্য নয়। এই বাজেটটি ফাউন্ডেশন এই বছর কিন্তু এই বাজেটটি থেকে ২০৪১ সাল পযন্ত অর্জন করতে পারব। সেইভাবে আমরা বাজেটটি প্রণয়ন করেছি। আমি বিশ্বাস করি, ২০২৪ সালে আমরা ডাবল ডিজিট গ্রোথে পা রাখব। ২০২৪ সাল থেকে শুরু করে ২০৩০ সাল পর্যন্ত এই বাজেটের ফলাফল পাব।

সর্বশেষ খবর