দলের জাতীয় কাউন্সিলের আগেই বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি চান বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও নাটোর জেলা সভাপতি অ্যাডভোকেট রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু। তিনি বলেন, ‘সরকার বাধা না হলে দ্রুতই কারাবন্দী বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া বাকি দুই মামলায় (জিয়া অরফানেজ ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট) জামিন পাবেন। দলের কাউন্সিলের চেয়েও আমরা নেত্রীর মুক্তির বিষয়টিকে প্রাধান্য দিচ্ছি। চেয়ারপারসনের উপস্থিতিতেই আমরা দলের কাউন্সিল করতে চাই। বিএনপির সপ্তম জাতীয় কাউন্সিলের আগে খালেদা জিয়ার মুক্তি চাই, দিতে হবে। আইনি প্রক্রিয়ায় বেগম জিয়ার মুক্তি না হলে রাজপথে আন্দোলনের কোনো বিকল্প নেই।’ গতকাল বিকালে নাটোর জেলা বিএনপির অস্থায়ী কার্যালয়ে বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের যৌথসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে সাবেক এই উপমন্ত্রী এসব কথা বলেন। জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আমিনুল হকের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন বাহাউদ্দীন বাহার, শহিদুল ইসলাম বাচ্চু, কাজী শাহ আলম, রহিম নেওয়াজ, শেখ এমদাদুল হক আল মামুন, ফরহাদ আলী দেওয়ান শাহীন, এ হাই তালুকদার ডালিম, সাজ্জাদ হোসেন সোহাগ, রাসেল আহম্মেদ রনি প্রমুখ। বিএনপি নেতা রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু বলেন, ‘বিশ্বজিৎ, রিফাত, সানাউল্লাহ নূর বাবুকে যেভাবে প্রকাশ্যে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে, একইভাবে বাংলাদেশের গণতন্ত্র ও ভোটাধিকারকেও বাকশালী সরকার হত্যা করেছে। সুশাসন ও ন্যায়বিচার না থাকায় দেশে প্রকাশ্যে হত্যার ঘটনা ঘটছে। যে কারণে বাড়ছে অন্যায়। বরগুনায় যেভাবে দিনেদুপুরে রিফাতকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে তা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। সরকার একদলীয় শাসন কায়েম করেছে। এ জন্য আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা ক্রমেই বেপরোয়া হয়ে উঠছে। এ থেকে মুক্তি পেতে রাজপথে আন্দোলনের বিকল্প নেই। খালেদা জিয়া ও গণতন্ত্রের মুক্তি এক সুতায় গাঁথা।’ সাবেক ভূমি উপমন্ত্রী দুলু আরও বলেন, ‘কাউন্সিলের মাধ্যমে নেতৃত্ব নির্বাচনে বিগত সময়ের আন্দোলন-সংগ্রামে ত্যাগীদের মূল্যায়ন করতে হবে। দলের গুরুত্বপূর্ণ পদে যোগ্য, ত্যাগী ও অপেক্ষাকৃত তরুণ নেতাদের মূল্যায়ন করা হবে। সংস্কারপন্থিদের মধ্যে যারা দলে সম্পৃক্ত হয়েছেন তাদেরও পদায়ন করা হবে। তবে এবার সব কমিটিই হবে তারুণ্যনির্ভর। বিগত আন্দোলন-সংগ্রামে পিছিয়ে থাকা নেতাদের কেন্দ্রীয় কমিটিতে রাখা হবে না। এ সরকারের আমলে যাদের গায়ে মামলা হয়নি, হামলার শিকার হননি, সরকারের সঙ্গে আঁতাত করে নিজের ব্যবসা-বাণিজ্য টিকিয়ে রেখেছেন তাদের প্রতিও কড়া দৃষ্টি রাখছে বিএনপি হাইকমান্ড।’