‘বরগুনায় আলোচিত রিফাত শরীফের খুনিরা ধরা পড়বে। আমরা কোনো রাজনৈতিক নেতাকে ছাড় দিই না। আমরা কাউকে রাজনৈতিক নেতা হিসেবে ধরি না, তাকে অপরাধী হিসেবেই ধরি।’ গতকাল সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এসব কথা বলেন। বুধবার বরগুনা শহরের কলেজ সড়কে দিনদুপুরে স্ত্রী আয়েশা আক্তারের সামনে রিফাতকে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। ধারালো অস্ত্র দিয়ে রিফাতকে এলোপাতাড়ি কোপানোর এবং স্ত্রী আয়েশার দুর্বৃত্তদের নিবৃত্ত করার চেষ্টার সেই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘এভাবে কুপিয়ে হত্যা করার দৃশ্য আমরা দেখেছিলাম বিশ্বজিৎ হত্যায়। বিশ্বজিৎ হত্যার বিচার প্রক্রিয়াধীন। সেদিনও বাংলাদেশের মানুষের মনে দাগ কেটেছিল।’ দীর্ঘ বিচার প্রক্রিয়ার কারণে এমন ঘটনা ঘটছে কি না- এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বিচার বিভাগ সম্পর্কে আমার কিছু বলার নেই। আমাদের কাজ যেটি আমরা সেটি করে দিচ্ছি।’ এমন খুনের মানসিকতা এক দিনে হয় না, মাদকের বিষয়টি আসছে-এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আপনি যত কিছু খুঁজতে থাকবেন, দেখবেন এর পেছনে মাদকের একটা শক্তি রয়েছে। মাদক যারা সেবন করে তাদের বিবেক-বুদ্ধি সব লোপ পায়।

এই ইয়াং ছেলেরা মাদকের সঙ্গে কতখানি জড়িত হয়েছে, পত্রপত্রিকায় আমরা শুনছি, আমরা সেটা দেখছি। তারা যদি জড়িত হয়ে থাকে কিংবা আরও কারা আছে সবাইকে আমরা ধরব।’

রিফাত হত্যার পরিকল্পনাকারী গ্রুপের সদস্য মো. সাগরকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পুলিশে তার কনস্টেবল হিসেবে চাকরি হওয়ার কথা রয়েছে- এ বিষয়ে আসাদুজ্জামান খান খানিকটা মজা করে বলেন, ‘একটা ভালো কাজই করেছে, পুলিশের চাকরি খুঁজছে, এখন আর হবে না। এ ধরনের অপরাধ করলে নিয়োগ হবে না।’