মঙ্গলবার, ২ জুলাই, ২০১৯ ০০:০০ টা

চট্টগ্রামে মা-মেয়ের লাশ উদ্ধার নিয়ে ধাঁধায় পুলিশ

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রামের পাঁচলাইশে লক্ষ্মী রানী সরকার ও তার দুই বছর বয়সী মেয়ে অনন্যা সরকারের লাশ উদ্ধারের ঘটনায় এখনো ধাঁধায় রয়েছে পুলিশ। দুজনের ফাঁস লাগানো মৃতদেহ উদ্ধার করা হলেও ঘটনার পারিপার্শ্বিকতা দেখে পুলিশ এটি প্রাথমিকভাবে হত্যাই মনে করছে। পাঁচলাইশ থানার ওসি আবুল কাসেম ভুইয়া বলেন, ‘লাশ উদ্ধারের পর প্রতিবেশী এবং স্বামী শ্রীরঞ্জন সরকার নন্দনের সঙ্গে কথা বলেছে পুলিশ। তদন্তে পারিবারিক কলহের কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। এ ছাড়া ঘটনাস্থলের সার্বিক পরিস্থিতি সন্দেহজনক মনে হচ্ছে। তাই ময়নাতদন্ত রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত এটিকে হত্যা কিংবা আত্মহত্যা কোনোটাই বলতে চাই না।’ ঘটনাস্থল লিচুবাগান এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, যে কলোনি থেকে লাশ উদ্ধার করা হয় তাতে তিন সারির টিনের ঘরে ১২টি পরিবার বসবাস করে। পরিবারগুলোর জন্য একটি রান্নাঘর ও গোসলখানা ছিল। প্রতিবেশী মো. জামাল বলেন, ‘ছয় মাস ধরে পাশের বাসায় থাকছি। কখনো তাদের ঝগড়া কিংবা তর্কাতর্কি শুনিনি। পরিবারটি হাসিখুশির মধ্যেই থাকত।’ সুমন নামে আরেক প্রতিবেশী বলেন, ‘পরিবারটি খুবই ধার্মিক। তারা নিয়মিত ধর্মচর্চা করতেন। শুক্রবারও নন্দন ও তার পরিবার মন্দিরে গিয়ে পুজো দিয়ে এসেছেন।’ পুলিশ জানায়, শ্রীরঞ্জন সরকার নন্দন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভ্রাম্যমাণ বিক্রেতা হিসেবে চা পরোটা বিক্রি করতেন। প্রতিদিনই এগুলো তৈরি করে দিতেন লক্ষ্মী। কিন্তু রবিবার নন্দন পতেঙ্গা সৈকতে যান। হঠাৎ লক্ষ্মীর ফোন পেয়ে বাসায় এসে দুজনের লাশ দেখতে পান। নন্দন পুলিশকে জানান, পতেঙ্গা সৈকতে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে লক্ষ্মী ফোনে নন্দনকে বাসায় আসতে বলে ফোন কেটে দেন। এরপর লক্ষ্মীকে একাধিকবার ফোন করলেও তা রিসিভ না করায় সিএনজি নিয়ে দ্রুত বাসায় ফিরে আসেন নন্দন। পরে একই দড়িতে ঝোলানো দুজনের লাশ উদ্ধার করা হয়। প্রসঙ্গত, রবিবার সন্ধ্যায় নগরীর পাঁচলাইশ থানাধীন মসজিদ গলির লিচুবাগান এলাকা থেকে মা-মেয়ের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

সর্বশেষ খবর