গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধি নিয়ে ক্ষমতাসীন ১৪-দলীয় জোটের বৈঠকেও সমালোচনা হয়েছে। এতে গ্যাসের বর্ধিত মূল্য পুনর্বিবেচনা করার আহ্বান জানানো হয়। গতকাল রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউর আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ১৪ দলের বৈঠকে বর্ধিত মূল্য প্রত্যাহারের দাবি জানান জোটের শীর্ষ নেতারা। সভা শেষে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও ১৪ দলের মুখপাত্র মোহাম্মদ নাসিম গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধি সহনীয় পর্যায়ে রাখার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার জনগণের সরকার, জনবান্ধব সরকার। আমরা চেষ্টা করেছি শেখ হাসিনার নেতৃত্বে জনগণের যে কোনো ন্যায্য দাবি পূরণ করতে। আশা করি বাজেট পাসের পর গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করবে সরকার। সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, গ্যাসের দাম বাড়ানোর বিষয় নিয়ে একটি অশুভ শক্তি ঘোলাপানিতে মাছ শিকার করতে চাচ্ছে। তিনি এ বিষয়ে সজাগ থাকার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়ার সভাপতিত্বে ১৪ দলের সভায় উপস্থিত ছিলেন ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, কমিউনিস্ট কেন্দ্রের আহ্বায়ক ড. ওয়াজেদুল ইসলাম খান, গণ-আজাদী লীগের মহাসচিব আতাউল্লাহ খান, আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, আওয়ামী লীগের উপ-দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দিলীপ রায় প্রমুখ। বৈঠকে গ্যাসের দাম বৃদ্ধির সমালোচনা করে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বলেন, গ্যাসের সংকট জনগণের সংকট। রেগুলেটরি কমিশন গ্যাসের দাম বৃদ্ধি করে আইনের বরখেলাপ করেছে। ১৪ দল মনে করে গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি যৌক্তিক নয়। গ্যাসের বর্ধিত মূল্য প্রত্যাহার করতে হবে। গ্যাসের দাম বৃদ্ধির ওপর সংসদে আলোচনা করতে হবে। এ সময় সাবেক তথ্যমন্ত্রী ও জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) সভাপতি হাসানুল হক ইনু বলেন, গ্যাসের দাম বৃদ্ধি জনগণের ওপর বাড়তি চাপ। গ্যাসের দাম বৃদ্ধির বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করতে হবে। সামাজিক অস্থিরতা থেকে দেশকে রক্ষা করতে হলে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
সভাপতির বক্তৃতায় সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে চীন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশা প্রকাশ করেন। তিনি মনে করেন, গ্যাসের দাম বৃদ্ধি শিল্প খাতে বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে।
