বৃহস্পতিবার, ৪ জুলাই, ২০১৯ ০০:০০ টা

বন্দুকযুদ্ধে ঢাকায় খুনের আসামি, কক্সবাজারে মাদক ব্যবসায়ী নিহত

নিজস্ব প্রতিবেদক

ঢাকা ও কক্সবাজারে পুলিশ ও র‌্যাবের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে দুজন নিহত হয়েছেন। তারা হলেন- ঢাকায় রমজান আলী (৩৭) ও কক্সবাজারে সলিম উল্লাহ (৩৬)। পুলিশ ও র‌্যাব বলছে, বাড্ডায় বহুল আলোচিত চার হত্যা মামলা ও আওয়ামী লীগ নেতা ফরহাদ হোসেন হত্যা মামলার প্রধান আসামি ছিলেন রমজান এবং টেকনাফে চাঞ্চল্যকর দুই লাখ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট মামলার পলাতক প্রধান আসামি ছিলেন সলিম। গতকাল ভোরে ঢাকার বাড্ডা থানার পূর্ব সাতারকুল এলাকার ইস্ট-ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি ক্যাম্পাসের পাশে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে রমজান নিহত হন। বন্দুকযুদ্ধের ঘটনায় ডিবির দুজন সদস্যও আহত হয়েছেন। রমজানের বাবার নাম ইজ্জত আলী। গ্রামের বাড়ি কুমিল্লার চান্দিনা থানার বিজয়নগরে। আগারগাঁও তালতলা এলাকায় থাকতেন রমজান। ডিবির ডিসি (উত্তর) মশিউর রহমান জানান, গতকাল ভোরে ডিবি পুলিশ খবর পেয়ে পূর্ব সাতারকুল এলাকায় অভিযান চালায়। এ সময় ডিবির সঙ্গে রমজানের সহযোগীদের বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। এতে রমজান নিহত হয়। ঘটনাস্থল থেকে অস্ত্র-গুলি ও গুলির খোসা উদ্ধার করা হয়েছে। নিহত রমজান আফতাবনগর পশুরহাট, টেম্পো স্ট্যান্ড ও বাড্ডার ডিশ ব্যবসার চাঁদাবাজি নিয়ন্ত্রণ করত। আমেরিকায় আত্মগোপন করা শীর্ষ সন্ত্রাসী মেহেদীর সঙ্গে তার যোগাযোগ ছিল। এ ছাড়া ভারতে আত্মগোপন করা কারওয়ান বাজারের শীর্ষ সন্ত্রাসী আশিকের চাঁদাবাজির টাকা রমজান নিয়ন্ত্রণ করত। এদিকে গতকাল ভোরে কক্সবাজারের টেকনাফ থানার বাহারছড়া ইউপির উত্তর শীলখালি মেরিন ড্রাইভ রোডের পাশে ঝাউবাগান এলাকায় র‌্যাবের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে সলিম উল্লাহ নিহত হন। বন্দুকযুদ্ধের ঘটনায় র‌্যাবের দুজন সদস্যও আহত হয়েছেন। নিহতের বাবার নাম নজির আহম্মেদ। গ্রামের বাড়ি টেকনাফ সদর ইউপির নতুন পল্লান পাড়ায়। র‌্যাব-১৫ এর টেকনাফ ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার সিনিয়র সহকারী পরিচালক মির্জা শাহেদ মাহতাব জানান, ভোরে টেকনাফ এলাকায় ইয়াবা উদ্ধার অভিযানে যায় র‌্যাব। এ সময় মাদক ব্যবসায়ীরা র‌্যাবকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। আত্মরক্ষার্থে র‌্যাবও পাল্টা গুলি চালায়। এক পর্যায়ে মাদক ব্যবসায়ীরা পালিয়ে গেলে ঘটনাস্থালে ২টি এলজি, ১০ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট, ৩ রাউন্ড তাজা কার্তুজ, ৭টি খালি খোসাসহ সলিমের মৃতদেহ পাওয়া যায়।

সর্বশেষ খবর