শুক্রবার, ৫ জুলাই, ২০১৯ ০০:০০ টা

রিফাত হত্যার ছয় আসামি এখনো অধরা

বরগুনা প্রতিনিধি

বরগুনা পৌর শহরের কলেজ রোড এলাকায় প্রকাশ্য দিবালোকে রিফাত হত্যা মামলার পলাতক আসামিরা এখনো অধরাই রয়ে গেছে। এ মামলায় এজাহারভুক্ত ৬ আসামি পলাতক রয়েছে। তবে পুলিশ বলছে, আসামিরা তাদের নজরদারিতে আছে, শিগগিরই সব আসামিকে গ্রেফতার করা সম্ভব হবে। উল্লেখ্য, প্রধান আসামি নয়ন বন্ড পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছে। এ মামলায় এখন পর্যন্ত গ্রেফতার করা হয়েছে ১০ জন। এজাহারভুক্ত ১২ আসামির মধ্যে ৫ ও হত্যাকান্ডের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃত এজাহারভুক্ত আসামিরা হলেন- মামলার দুই নম্বর আসামি ধানসিঁড়ি রোড এলাকার দুলাল ফরাজীর ছেলে রিফাত ফরাজী, বরগুনা পৌর শহরের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের অরুণ চন্দ্র সরকারের ছেলে ৪ নম্বর আসামি চন্দন, কলেজ রোড এলাকার আয়নাল হকের ছেলে মামলার ৯ নম্বর আসামি হাসান, ১১ নম্বর আসামি ওলি, ১২ নম্বর আমামি টিকটক হৃদয়। এ ছাড়াও হত্যাকান্ডে জড়িত সন্দেহে বরগুনা সদর উপজেলার পোটকাখালি গ্রামের হাবিবুর রহমানের ছেলে মো. নাজমুল হাসান (১৮), বরগুনা পৌরসভার ধানসিঁড়ি সড়কের নয়া মিয়ার ছেলে তানভীর (২২), সদর উপজেলার নলী মাইঠা গ্রামের আ. লতিফ খানের ছেলে মো, সাগর (১৯) এবং হাজারবিঘা গ্রামের কায়সার মিয়ার ছেলে কামরুল হাসান সাইমুন (২১) ও শ্রাবণ নামের একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তবে তার পরিচয় নিশ্চিত করেনি পুলিশ। এখন পর্যন্ত তিন দফায়  ৬ জনকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। প্রথম দফায় ২৮ জুন ৭ দিন করে রিমান্ডে নেওয়া হয় মামলার এজাহারভুক্ত চার নম্বর আসামি  চন্দন, নয় নম্বর আসামি মো. হাসান ও  তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয় জড়িত সন্দেহে গ্রেফতার নাজমুল হাসানকে। দ্বিতীয় দফায় ১ জুলাই কামরুল ইসলাম সাইমুন ও মো. সাগরকে ৫ দিন করে রিমান্ডে নেয় পুলিশ। এ ছাড়াও প্রথম দফায় তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়া নাজমুল হাসানকে দ্বিতীয় ধাপে অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আবারও ৫ দিনের রিমান্ডে আনা হয়েছে। সবশেষ ৩ জুলাই মামলার অন্যতম আসামি রিফাত ফরাজীকে ৭ দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ। এ ঘটনায় এজাহারভুক্ত ১১ নম্বর আসামি অলি ও হত্যাকান্ডের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে তানভীর হত্যাকান্ডে জড়িত থাকার দায় স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধরায় জবানবন্দি দিয়েছেন। এদিকে পলাতক আসামিদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবিতে প্রতিবাদ সমাবেশ অব্যাহত রয়েছে। গতকাল বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ পলাতক আসামিদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবিতে স্মারকলিপি পেশ করে। বামনা উপজেলায় ছাত্রলীগের উদ্যোগে মানববন্ধন ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

উল্লেখ্য, নৃশংস ও নারকীয় এই হত্যাকান্ডে জড়িত অপরাধীদের দ্রুত গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন, সভা সমাবেশ, বিক্ষোভ মিছিল ও সড়ক অবরোধ কর্মসূচি পালন করা হয় বরগুনায়। শুধু বরগুনাতেই নয়, প্রতিবাদ কর্মসূচি ও দোষীদের গ্রেফতারের দাবি জানায় সারা বাংলাদেশের মানুষ। দেশের বিভিন্ন স্থানে, বিভিন্ন জেলায় প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। এর পরই নড়েচড়ে বসেন পুলিশ। আসামিদের গ্রেফতারে শুরু হয় তৎপরতা। সীমান্ত এলাকায় জারি করা হয় রেড অ্যালার্ট।

 

সর্বশেষ খবর