শিরোনাম
শুক্রবার, ৫ জুলাই, ২০১৯ ০০:০০ টা

১০ বছর ঊর্ধ্বদেরও তথ্য নেবে ইসি

দেওয়া হবে জাতীয় পরিচয়পত্র

গোলাম রাব্বানী

আগামীতে ১০ বছরের বেশি বয়সী নাগরিকদের তথ্য সংগ্রহে নতুন উদ্যোগ নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এক্ষেত্রে তাদের জাতীয় পরিচয়পত্র দেওয়ার চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে। বর্তমানে ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রমে ১৫ বছর পর্যন্ত নাগরিকদের তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। আর ১৮ বছর বা তার বেশি বয়সীদের ভোটার ও জাতীয় পরিচয়পত্র দেওয়া হচ্ছে। ইসি কর্মকর্তারা বলছেন, ১০ বছরের বেশি বয়সী সোয়া তিন কোটি নাগরিকের তথ্য সংগ্রহ হবে। প্রথম ধাপে ৬৪টি জেলার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং দ্বিতীয় ধাপে শহর এলাকার ওয়ার্ড পর্যায়ে ও গ্রামের ইউনিয়ন পর্যায় থেকে তথ্য সংগ্রহ করা হবে। ফলে দেশের প্রায় ৮৫ শতাংশ নাগরিকের তথ্য ইসির তথ্য ভান্ডারে সংরক্ষিত থাকবে। ইতিমধ্যে এ সংক্রান্ত খসড়া প্রস্তাব তৈরি করেছে নির্বাচন কমিশন। নির্বাচন কমিশনের এক কার্যপত্রে দেখা গেছে, ১০ বছরের বেশি বয়সী নাগরিকদের তথ্য সংগ্রহের জন্য “১০+ বছর বয়সী নাগরিকদের নিবন্ধন ও হালনাগাদ-২০১৯” শীর্ষক একটি কার্যক্রম হাতে নেওয়া হচ্ছে। এ জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিতে উপজেলা পর্যায়ের কর্মকর্তাদের নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে। এদিকে ১০ বছরের বেশি বয়সীদের পাশাপাশি ছয় বছরের বেশি নাগরিকদেরও তথ্য সংগ্রহের জন্য নতুন প্রস্তাবনা তৈরি করা হচ্ছে। ইসির কর্মকর্তারা বলছেন, যেসব নাগরিকের ১৮ বছর বা এর বেশি তাদের তথ্য আমাদের তথ্য ভান্ডারে রয়েছে। এবার ১৮ বছরের কম কিন্তু ১০ বছরের বেশি এমন নাগরিকদের তথ্য সংগ্রহের সিদ্ধান্ত হয়েছে। ছয় বছরের বেশি বয়সীদের বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি। ১৮ বছরের কম বয়সীদের তথ্য সংগ্রহ করা হলে এবং সরকার চাইলে তাদেরও জাতীয় পরিচয়পত্র দেওয়া হবে। এক্ষেত্রে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানভিত্তিক শিক্ষার্থীদের তথ্য সংগ্রহ করা হবে। এতে নাগরিকদের নাম, বাবা-মায়ের নাম ও অন্য তথ্যে ত্রুটি থাকবে না। আর যারা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যায় না তাদের তথ্য ভিন্নভাবে সংগ্রহ করবে ইসি। জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন (সংশোধন) আইন, ২০১৩ এর ৫(২) ধারা অনুযায়ী সব বয়সী নাগরিকের পরিচয় নিবন্ধন ও জাতীয় পরিচয়পত্র দেওয়া ইসির দায়িত্বের মধ্যে রয়েছে। নতুন এ কর্মসূচি বাস্তবায়ন হলে ১০ বছরের বেশি বয়সী নাগরিককে একটি ইউনিক নম্বর দেওয়া (জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর), বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানে নাগরিকসেবা প্রদান বা গ্রহণ এবং ব্যক্তি শনাক্তকরণে নতুন অধ্যায়ের সূচনা হবে।

 এক্ষেত্রে চারটি প্রস্তাবনা রয়েছে- এর মধ্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানভিত্তিক দশম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের তথ্য সংগ্রহ, দশ আঙ্গুলের ছাপ ও আইরিশ নেওয়া এবং ঝরে পড়াদের জন্য ইউনিয়ন ও ওয়ার্ডভিত্তিক কেন্দ্র স্থাপন করে নিবন্ধন করা। নিবন্ধিত সব নাগরিককে বায়োমেট্রিক (আঙ্গুলের ছাপ) ম্যাচিংসাপেক্ষে জরুরি ভিত্তিতে লেমিনেটেড জাতীয় পরিচয়পত্র দেওয়া হবে। তবে প্রথম পর্যায়ে পাইলট কার্যক্রম নেওয়া হবে। সেটি সফল হলে ৬৪টি জেলার ৬৪টি থানায় একযোগে নিবন্ধন কার্যক্রম চালানো হবে।

সর্বশেষ খবর