বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ঈশ্বরদীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ট্রেনবহরে হামলার ঘটনার রায়ে জাতি বিস্মিত। আর বিএনপি বিক্ষুব্ধ। তিনি বলেন, ট্রেনে গুলি ছোড়ার ঘটনায় বিএনপি নেতাদের সাজা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু ওই দিন আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের গোলাগুলির ঘটনায় ট্রেনে এ গুলি লাগে। এ রায়ে আমরা শুধু হতাশই নই, বিক্ষুব্ধও। এ রায়ের মাধ্যমে প্রমাণিত হয়েছে, এ দেশে স্বাধীন বিচারব্যবস্থা নেই। গতকাল দুপুরে খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে জাতীয় প্রেস ক্লাবে ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব) এর প্রতিবাদ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ মন্তব্য করেন। ড্যাবের আহ্বায়ক প্রফেসর ডা. ফরহাদ হালিম ডোনারের সভাপতিত্বে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, ড্যাবের নবনির্বাচিত সভাপতি হারুন আল রশীদ, মহাসচিব ডা. আবদুস সালাম, আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সচিব ডা. ওবায়দুল কবির খান, নবনির্বাচিত কোষাধ্যক্ষ ডা. জহিরুল ইসলাম শাকিল, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব ডা. মেহেদী হাসান প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। আইনগতভাবে বেগম খালেদা জিয়াকে জামিন দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণেই বেগম জিয়াকে মিথ্যা মামলায় কারাগারে রাখা হয়েছে। বিচার বিভাগের ওপর জনগণ আস্থা হারিয়ে ফেলছে দাবি করে মির্জা ফখরুল বলেন, রাষ্ট্রীয় সব প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করা হয়েছে। পরিকল্পিতভাবে দেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করার চেষ্টা চলছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চীন সফর সম্পর্কে বিএনপি মহাসচিব বলেন, প্রধানমন্ত্রী একটা অর্থনীতি ফোরামের দাওয়াতে গেছেন, চীন সরকারের দাওয়াতে যাননি। আমরা খুব খুশি হতাম, তিনি যদি রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়ে চীনা প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সমাধানের কাজটি করতেন। তিনি চুক্তি করেছেন, মেগা প্রজেক্ট, মেগা দুর্নীতির চুক্তি। আমরা বিশ্বাস করি, বাংলাদেশের মানুষ তা মেনে নেবে না। দুই যুগ আগে তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা শেখ হাসিনাকে বহনকারী ট্রেনে গুলির ঘটনায় ৯ জনকে ফাঁসির আদেশে ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিএনপি মহাসচিব। তিনি বলেন, পাবনায় যে রায় দেওয়া হয়েছে, এতে গোটা জাতি বিস্মিত। ২৫ বছর আগে ট্রেনে দুটি গুলি ছোড়ার ঘটনা ঘটে। কে ছুড়েছে, কয়টি ছুড়েছে, তার কোনো প্রমাণ নেই। অথচ এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ৯ জনকে ফাঁসির আদেশ দেওয়া হয়েছে। বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, আওয়ামী লীগের নেতারা সব সময় বলেন, বিএনপির জন্ম ক্যান্টনমেন্টে। তারা ক্যান্টনমেন্টের দল। কিন্তু তারা একবারও বলে না, এরশাদের আমলে দীর্ঘ ৯ বছর আন্দোলনের মধ্য দিয়ে খালেদা জিয়া রাজনীতিতে এসেছেন।