রবিবার, ৭ জুলাই, ২০১৯ ০০:০০ টা

অর্থ পাচার পরিস্থিতি পর্যালোচনায় আসছে এপিজি প্রতিনিধি দল

নিজস্ব প্রতিবেদক

দেশ থেকে অর্থ পাচার ও মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ পরিস্থিতি পর্যালোচনায় এশিয়া প্যাসিফিক গ্রুপের (এপিজি) দুই সদস্যের প্রতিনিধি দল ঢাকা আসছে আজ। দলটি মূলত সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের অর্থ পাচার ও মানি লন্ডারিং প্রতিরোধের বিষয়ে হালনাগাদ তথ্য জানতে চাইবে তারা। এ জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক ও অর্থ মন্ত্রণালয় একটি অ্যাকশন প্ল্যান তৈরি করেছে। পাশাপাশি অর্থ পাচার ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধে সরকার তিন বছর (২০১৮-২০২০) মেয়াদি একটি জাতীয় কৌশলপত্র তৈরি করেছে। সেটিও এপিজি প্রতিনিধি দলের কাছে তুলে ধরা হবে। দুই দিনের সফরে এপিজির পরিচালক ডেভিট শ্যানন ও মোস্তফা আকবরের আজ সকালে ঢাকায় পৌঁছার কথা রয়েছে। আজই তারা সচিবালয়ে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে বৈঠক করবেন বলে জানা গেছে। সূত্র জানায়, সাম্প্রতিক সময়ে সুইস ব্যাংকে বাংলাদেশিদের গচ্ছিত অর্থের পরিমাণ বেড়ে যাওয়ায় বাংলাদেশকে এপিজির প্রশ্নের মুখে পড়তে হতে পারে। সবশেষ গত মাসের শেষ দিকে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংস্থা গ্লোবাল ফিন্যানশিয়াল ইন্টিগ্রিটির (জিএফআই) প্রতিবেদনের তথ্যমতে, বাংলাদেশ থেকে অস্বাভাবিক হারে টাকা পাচার বেড়েছে। সংস্থাটির তথ্যমতে, অর্থ পাচারকারী বিশ্বের শীর্ষ ৩০ দেশের তালিকায় উঠে এসেছে বাংলাদেশের নাম। শুধু তা-ই নয়, এক বছরে দেশটি থেকে আগের বছরের তুলনায় ১ হাজার ২০০ কোটি টাকা বেড়েছে সুইস ব্যাংকগুলোতে। আর প্রতিবছর গড়ে দেশ থেকে পাচার হয়ে যাচ্ছে ৫৫ হাজার কোটি টাকা। ঢাকা সফরের সময় এপিজির প্রতিনিধি দলটি বাংলাদেশ সরকারের গঠিত মানি লন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধ-সংক্রান্ত জাতীয় সমন্বয় কমিটির সঙ্গে বৈঠক করবে। এ কমিটির প্রধান অর্থমন্ত্রী। এ ছাড়া তারা অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, লেজিসলেটিভ ও সংসদবিষয়ক বিভাগ, আইন মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, দুদক, বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক গোয়েন্দা ইউনিটসহ বিভিন্ন আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সঙ্গে বৈঠক করবে। অর্থমন্ত্রী দেশে না থাকায় ওই বৈঠকে সভাপতিত্ব করবেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। জানা গেছে, প্রতি তিন বছর পর পর এপিজি তাদের সদস্যভুক্ত দেশগুলোর অর্থ পাচার ও মানি লন্ডারিং পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে দেশগুলোকে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে ভাগ করে। এর আগে ২০১৬ সালে তাদের বিবেচনায় বাংলাদেশ মোটামুটি নিরাপদ অবস্থানে ছিল। সংস্থাটির রেটিংয়ের ওপর দেশগুলোর বৈদেশিক ঋণ প্রাপ্তি, আর্থিক খাতের অবস্থা ও বৈদেশিক বাণিজ্য-বিনিয়োগের পরিবেশের উপযুক্ততা প্রকাশ পেয়ে থাকে।

সর্বশেষ খবর