মঙ্গলবার, ৯ জুলাই, ২০১৯ ০০:০০ টা

ধর্ষণরোধে পুরুষদের সোচ্চার হতে হবে

নিজস্ব প্রতিবেদক

ধর্ষণরোধে পুরুষদের সোচ্চার হতে হবে

ধর্ষণ প্রতিরোধে পুরুষদের সোচ্চার হতে বললেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, কেবল নারীরাই চিৎকার করে যাবে নাকি? এ ব্যাপারে পুরুষদেরও সোচ্চার হওয়া উচিত।

গতকাল বিকালে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে চীন সফর নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন।

লিখিত বক্তব্যের পর ঘণ্টাব্যাপী বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন প্রধানমন্ত্রী। সংবাদ সম্মেলনে তাঁর বাঁ পাশে দলের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, ডান পাশে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন উপস্থিত ছিলেন। সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ধর্ষণ প্রতিরোধে যা যা করা দরকার বা আরও কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার দরকার হলে সরকার তাই করবে। ধর্ষকদের শাস্তি দিতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তৎপর। তিনি বলেন, দুর্ভাগ্য হচ্ছে- ধর্ষণ সব সময় সব দেশে আছে। তবে এখন মেয়েরা সাহস করে কথাটা বলে। একটা সময় সামাজিক লজ্জার কারণে বলতে পারত না। সম্প্রতি রাজধানীর ওয়ারীতে ধর্ষণের পর হত্যার শিকার শিশু সায়মার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, অপরাধীকে পুলিশ সঙ্গে সঙ্গে গ্রেফতার করেছে এবং সে ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে। ধর্ষণ রোধে পুরুষসমাজকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘পুরুষসমাজকেও বলব, ধর্ষণটা তো পুরুষসমাজ করে যাচ্ছে, তাই পুরুষসমাজেরও একটা আওয়াজ তোলা উচিত।’ পুরুষদেরও কিছু করা উচিত জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘খালি নারীরাই চিৎকার করে যাবে নাকি? নির্যাতিত হয়ে সব চিৎকার করবে আর নির্যাতনকারীর স্বজাতি যারা আছে তাদেরও এ ব্যাপারে সোচ্চার হওয়া উচিত বলে মনে করি।’

আমরা রাখাইন চাই না : মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যকে বাংলাদেশের অন্তর্ভুক্ত করার ব্যাপারে মার্কিন কংগ্রেসম্যানের প্রস্তাব প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা ১ লাখ ৪৭ হাজার ৫৭০ বর্গকিলোমিটার নিয়েই খুশি। মিয়ানমার তার সার্বভৌমত্ব নিয়ে থাকবে। আমরা আমাদেরটা নিয়ে থাকব। অন্যের জমি নিয়ে আসা বা অন্যের কোনো প্রদেশ আমাদের সঙ্গে যুক্ত হওয়া- এটা আমরা সম্পূর্ণভাবে অস্বীকার করি। আমরা রাখাইনকে চাই না। প্রত্যেক দেশ তার সার্বভৌমত্ব নিয়ে থাকবে। রাখাইন রাজ্যকে বাংলাদেশের মানচিত্রের সঙ্গে জুড়ে দেওয়ার মার্কিন কংগ্রেসম্যানের প্রস্তাবের সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, প্রত্যেক দেশ তার সার্বভৌমত্ব নিয়ে থাকবে। সেখানে বাংলাদেশের সঙ্গে রাখাইন স্টেট জুড়ে দিতে চায় কেন? হতে পারে তারা খুব বড় দেশ। কিন্তু তারা কি তাদের অতীত ভুলে গেছে? তাদের যখন গৃহযুদ্ধ লেগেই থাকত, সেই অতীত তো তাদের ভুলে যাওয়া উচিত নয়। সেটা যে ভবিষ্যতেও আসবে না তা তারা কীভাবে ভাবে? তিনি বলেন, রাখাইন স্টেটে প্রতিনিয়ত যে সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে, তা আমরা জেনে-বুঝে ওই ধরনের একটা গোলমেলে জিনিস আমার দেশের সঙ্গে যুক্ত করব কেন? এটা আমরা কখনই করব না। এ প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা আরও বলেন, যেখানেই তারা হাত দিয়েছে সেখানেই তো আগুন জ্বলছে। কোথাও তো শান্তি আসেনি। বরং জঙ্গিবাদ সৃষ্টি হয়েছে। অশান্তি সৃষ্টি হয়েছে। আমাদের অঞ্চলটায় আমরা একটু শান্তিপূর্ণভাবে থাকার চেষ্টা করছি। এখানেও তাদের আগুন লাগানোর প্রচেষ্টা। এটা কখনই গ্রহণযোগ্য নয়।

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে চীনের সহযোগিতার আশ্বাস : রোহিঙ্গাসংক্রান্ত অন্য এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, তারা (চীন) বলেছে, বিষয়টা তারা বিবেচনা করবে, দেখবে। এটা কি সুখবর মনে হচ্ছে না? এটা ঠিক যে, চীন মিয়ানমারের সঙ্গে সব সময় আছে। এই যে রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আছে, এটা যে বাংলাদেশের জন্য বিরাট সমস্যা- এ কথাটা তারা নিজেরাও উপলব্ধি করতে পারছে। সেজন্যই চীনও মনে করছে এ বিষয়টার দ্রুত সমাধান হওয়া উচিত। এজন্য তারা যতটুকু করার প্রয়োজন ততটুকু করবে বলে আশ্বাস দিয়েছে। এ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ থেকে মিয়ানমারের নাগরিকদের ফিরিয়ে নিতে মিয়ানমার সরকারকে সম্মত করতে চেষ্টা করবেন বলে চীনের প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রী আমাকে আশ্বস্ত করেছেন। চীনের প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, রোহিঙ্গা সমস্যা বাংলাদেশের জন্য একটি বড় সমস্যা। তিনি উল্লেখ করেন, চীন তার পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে দুবার মিয়ানমারে পাঠিয়েছে। আলোচনার মাধ্যমে এ সমস্যা সমাধানে প্রয়োজনে তারা আবারও মন্ত্রীকে মিয়ানমারে পাঠাবে। তিনি বলেন, আমি উন্নয়নের কাক্সিক্ষত লক্ষ্য অর্জনে এ অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতার ওপর গুরুত্বারোপ করি। রোহিঙ্গা সংকটের কারণে এই শান্তি ও স্থিতিশীলতা বিঘিœত হতে পারে বলে আমি উল্লেখ করি।

উন্নয়ন চাইলে গ্যাসের বর্ধিত দাম মানতে হবে : দেশের অর্থনীতির উন্নতি চাইলে গ্যাসের যে মূল্য বৃদ্ধি করা হয়েছে তা মেনে নিতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গ্যাসের দাম বৃদ্ধি ও হরতাল প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দাম যেটুকু বাড়ানো হয়েছে, সেটুকু যদি বাড়ানো না হয় তাহলে আমাদের সামনে দুটি পথ আছে- হয় আমাদের জিডিপি প্রবৃদ্ধি না বাড়ে, সেজন্য এলএনজি আমদানি কমিয়ে দিয়ে এনার্জির ক্ষেত্র সংকুচিত করে ফেলব। অর্থনীতির উন্নতি হবে না। যদি উন্নতি চান এটাকে মেনে নিতে হবে। শুধু আমরা নই, গ্যাস আমদানিকারক দেশও এটা মেনে নেয়। তিনি বলেন, আমরা এখন জিডিপি (মোট দেশজ উৎপাদন) প্রবৃদ্ধি ৮ দশমিক ১ শতাংশ অর্জন করতে সক্ষম হয়েছি। এর কারণ আমরা এনার্জি ক্ষেত্রে যথেষ্ট মনোযোগ দিয়েছি। বিদ্যুৎ উৎপাদন বৃদ্ধি করতে পেরেছি এবং গ্যাস আমাদের আমদানি করতে হচ্ছে। এলএনজি গ্যাস আমদানির জন্য খরচ যথেষ্ট বেশি পড়ে। এতে কোনো সন্দেহ নেই। তিনি বলেন, ৬১ টাকা ১২ পয়সা করে এলএনজি আমদানি করে ৯ দশমিক ৮০ টাকায় দিচ্ছি। এখন যে দাম বাড়ানো হয়েছে, এ দাম বাড়ানোর পরও আমাদের বছরে ১০ হাজার কোটি টাকার ওপরে ভর্তুকি দিতে হচ্ছে। তাহলে আমদানি যখন করেছি আমরা একটা কাজ করি, যে দামে কিনব সেই দামে বিক্রি করব। আমরা ৬১ টাকা করে নেব। সমস্ত ট্যাক্স মাফ করে দেওয়া হয়েছে। সবকিছু করে দিলাম যাতে মানুষের কাছে সহজলভ্য হয়। তার পরও তারা হরতাল ডাকেন, আন্দোলন করেন।

নেতৃত্ব সিদ্ধান্ত নিতে ভুল করলে জনগণকে খেসারত দিতে হয় : সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে নেতৃত্ব বা সরকার যদি ভুল করে তার খেসারত জনগণকে দিতে হয় মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০০৪-০৫ সালে মিয়ানমারের যে গ্যাস, সেই গ্যাসে ভারত, মিয়ানমার, জাপান, চীন বিনিয়োগ করেছিল। ভারত ওই গ্যাস নিতে চেয়েছিল বাংলাদেশের ভিতর দিয়ে পাইপলাইনে। একটি এমইউ স্বাক্ষরিত হয়েছিল। কিন্তু খালেদা জিয়ার সরকার ওই পাইপলাইনের গ্যাসটা নিতে দেয়নি। সেখানে যদি আমি থাকতাম তাহলে পাইপলাইনে গ্যাস নিতে দিতাম এবং আমার ভাগটাও রেখে দিতাম। আমি মিয়ানমার থেকে পাইপলাইনে গ্যাস আনতে পারতাম। সেই গ্যাস এনে যদি অর্থনীতির কাজে লাগাতে পারতাম তাহলে আমাকে এখন এলএনজি আমদানি না করলেও চলত। তিনি বলেন, আমাকে শিল্পায়ন করতে হবে। আমার বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়াতে হবে। আমার সার উৎপাদন করতে হবে। ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ দিতে হবে। কাজেই আমাদের এলএনজি আমদানি করতেই হবে। তিনি বলেন, ভারতে আবাসিকে গ্যাসের মূল্য ৩০ থেকে ৩৭ টাকা প্রতি ঘনমিটার। আর বাংলাদেশ দিচ্ছে মাত্র ১২ দশমিক ৬০ টাকায়। শিল্পে বাংলাদেশ দিচ্ছে ১০ দশমিক ৭০ টাকা, আর ভারতে ৪০-৪২ টাকা। সিএনজি আমাদের এখানে ৪৩ টাকা, ভারতে ৪৪ টাকা। বাণিজ্যিকে আমরা এখানে দিচ্ছি ২৩ টাকা আর ভারতে ৫৮ থেকে ৬৩ টাকা। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভারত প্রতি বছর দুবার দাম বাড়ায়। এটা তাদের নীতি। আর সেই নীতিতেই তারা চলে।

বৈদেশিক ঋণ গ্রহণেও আমরা সতর্ক : অন্য এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বৈদেশিক ঋণ গ্রহণের ক্ষেত্রে আমরা খুব সতর্ক ও সচেতন। আমাদের বাজেটে বৈদেশিক ঋণের পরিমাণ তত বেশি নয়। জিডিপির মাত্র ১৪ ভাগ বৈদেশিক ঋণ। আমরা ঋণ নিয়ে নিয়ে সময়মতো পরিশোধ করি। বাজেটের ৯৯ ভাগ নিজস্ব অর্থায়নে আমরা বাস্তবায়ন করছি। তিনি বলেন, বাংলাদেশের এবারের প্রবৃদ্ধি ৮ দশমিক ১ ভাগে উন্নীত হয়েছে; যা বিশ্বের মধ্যে অনেকটাই রেকর্ড।

চাকরির বয়স ৩৫ না করার পক্ষে অবস্থান : এ প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এখন নিয়মিত পড়াশোনা করলে ২৩-২৫ বছরের মধ্যেই সরকারি চাকরির পরীক্ষা দিতে পারে। এ ছাড়া তিনটি বিসিএসে দেখা গেছে, যারা বেশি বয়সী, তাদের পাসের হার খুবই কম। তিনি বলেন, এখন জন্মনিবন্ধন হয়। নিয়মিত পড়াশোনা করলে ১৬ বছরে এসএসসি পাস করে। এরপর দুই বছরে এইচএসসি। এরপর চার বছরে অনার্স এবং এক বছরে মাস্টার্স করলে ২৩ থেকে ২৫ বছরের মধ্যে সরকারি চাকরির পরীক্ষা দিতে পারে। তিনটি বিসিএসের প্রসঙ্গ টেনে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ৩৫তম বিসিএসে ২৩ থেকে ২৫ বছরের প্রার্থীদের মধ্যে ৪০ দশমিক ৭; ২৫ থেকে ২৭ বছরের প্রার্থীদের মধ্যে ৩০ দশমিক ২৯ এবং ২৭ থেকে ২৯ বছরের প্রার্থীদের মধ্যে ১৩ দশমিক ১৭ শতাংশ পাস করেছে। এ ছাড়া ২৯ বছরের বেশি বয়সের প্রার্থীদের পাসের হার মাত্র ৩ দশমিক ৪৫ শতাংশ। ৩৬তম বিসিএসে ২৩ থেকে ২৫ বছরের প্রার্থীদের ৩৭.৪৫; ২৫ থেকে ২৭ বছরের প্রার্থীদের মধ্যে ৩৪.৭৮; ২৭ থেকে ২৯ বছর বয়সের ১৯.৮৯ শতাংশ প্রার্থী পাস করেছে।

আমার ছেলেদের কেউ খারাপ বলতে পারবে না : বিশ্বকাপে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের পারফরম্যান্স প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিশ্বকাপে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল যথেষ্ট উন্নতি করেছে। বিশ্বকাপ পাওয়া একেকটা নামিদামি দলের সঙ্গে খেলা কম কথা নয়। কিন্তু সেখানে বাংলাদেশের পারফরম্যান্স অত্যন্ত চমৎকার ছিল। আমাদের যারা খেলোয়াড় যেমন সাকিব আল হাসান, সে তো বিশ্বে একটা স্থান করে নিয়েছে। মুস্তাফিজ একটা স্থান করে নিয়েছে। তিনি বলেন, খেলা এমন একটা জিনিস অনেক সময় ভাগ্যও কিন্তু লাগে। সব সময় যে একই রকম হবে তা নয়। খেলায় সাহসী মনোভাব নিয়ে মোকাবিলা করতে পারা, আমি এটা প্রশংসা করি। এতগুলো দল খেলল তার মধ্যে মাত্র চারটি দল সেমিফাইনালে উঠেছে। তার মানে কি বাকিরা সবাই খারাপ খেলেছে? একেকটা জাঁদরেল জাঁদরেল দল, দীর্ঘদিন ধরে যারা খেলে খেলে অভ্যস্ত তাদের সঙ্গে মোকাবিলা করে খেলায় আমাদের ছেলেদের কনফিডেন্সের কোনো অভাব দেখিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি আমার ছেলেদের কখনো নিরুৎসাহিত করি না। আমি বলি, তোমরা ভালো খেলেছো। ৩৮১ রানের টার্গেটে ৩৩৩ করেছে। এটাকে খারাপ বলবেন কি? বলব না। আমাদের ছেলেদের কেউ খারাপ বলতে পারবে না। আমি নিজে খেলা দেখেছি, যেখানে আমাদের ছেলেরা যথেষ্ট ভালো খেলেছে। খেলোয়াড়দের কনফিডেন্স, তাদের পারফরম্যান্স বাড়াতে আমরা কাজ করছি।

মমতার অভিযোগ প্রসঙ্গে : সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে হাস্যোজ্জ্বল কণ্ঠে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিস্তার পানি দেননি বলেই ইলিশ পাচ্ছেন না বলে মন্তব্য করেছেন মমতা ব্যানার্জি। আমরা বলেছিলাম, তিস্তায় পানি নেই তবে ইলিশ আসবে কীভাবে? মমতা ব্যানার্জির ‘জয় বাংলা’ স্লোগান প্রদান প্রসঙ্গে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে শেখ হাসিনা বলেন, ভারত আমাদের মুক্তিযুদ্ধে সহযোগিতা করেছে। শরণার্থীদের আশ্রয় দিয়েছে। একসঙ্গে যুদ্ধ করে তাদেরও অনেক সৈন্য প্রাণ দিয়েছেন। আর জয় বাংলা স্লোগান এসেছে কাজী নজরুল ইসলামের কবিতা থেকে। কেউ যদি জয় বাংলা স্লোগান দেয়, তার মুখ থেকে তো কেড়ে নিতে পারি না। মমতা ব্যানার্জি এ স্লোগান বলেছেন, ভালো লেগেছে।

শক্তিশালী পুঁজিবাজার গঠনে কাজ করছে সরকার : এদিকে বাসস জানায়, গতকাল সকালে সোনারগাঁও হোটেলে এক সেমিনারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, তাঁর সরকার দেশব্যাপী প্রয়োজনীয় বিনিয়োগ এবং বিনিয়োগকারীদের সম্ভাব্য সব ধরনের নিরাপত্তা প্রদানের মাধ্যমে একটি শক্তিশালী ও স্থিতিশীল পুঁজিবাজার গঠনে কাজ করে যাচ্ছে। এর ফলে দেশের অভ্যন্তরে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে দীর্ঘমেয়াদি অর্থের জোগান দেওয়া সম্ভব হবে।

‘রিজিওনাল সেমিনার অন ফিন্যানশিয়াল লিটারেসি অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট প্রোটেকশন’ শীর্ষক চার দিনের এক সেমিনারের উদ্বোধনী পর্বে প্রধান অতিথির ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী। বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন এবং এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) যৌথভাবে এর আয়োজন করে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের সরকার একটি শক্তিশালী পুঁজিবাজার গড়ে তোলার জন্য ধারাবাহিকভাবে পলিসি সাপোর্ট, আইনগত সংস্কার, অবকাঠামো নির্মাণসহ নানাবিধ সহযোগিতা দিয়ে আসছে। পুঁজিবাজারের বিভিন্ন পর্যায়ে অনিয়ম দূর করে জবাবদিহি ও সুশাসন নিশ্চিত করা হয়েছে।

সেমিনারে ভারত, জাপান, ফিলিপাইন, নেপাল, কম্বোডিয়া, থাইল্যান্ড, দক্ষিণ কোরিয়া, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া ও আইসল্যান্ডের প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন।

সর্বশেষ খবর