বৃহস্পতিবার, ১১ জুলাই, ২০১৯ ০০:০০ টা

তিনজনকে কুপিয়ে হত্যা

গণপিটুনিতে নিহত ঘাতক

কুমিল্লা প্রতিনিধি

কুমিল্লার দেবিদ্বারে নারী-শিশুসহ তিনজনকে দিনদুপুরে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। হত্যাকারী মোখলেছুর রহমানকে মসজিদের মাইকে মাইকিং করে গণপিটুনি দিয়ে হত্যা করা হয়। মোখলেছুর দেবিদ্বারের মর্তুজা আলীর ছেলে। পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ঘাতকের স্ত্রী রাবেয়া বেগমকে আটক করেছে। গতকাল বেলা ১১টার দিকে দেবিদ্বার উপজেলার রাধানগর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। মোখলেছুর রহমানের হাতে নিহতরা হলেন রাধানগর গ্রামের শাহ আলমের স্ত্রী আনোয়ারা বেগম, তার ছেলে হানিফ ও একই বাড়ির নুরুল ইসলামের স্ত্রী নাজমা বেগম। তার হাতে ওই এলাকার আরও পাঁচজন আহত হয়েছেন। ঘাতকের স্ত্রী রাবেয়া বেগম পুলিশকে জানিয়েছেন, মোখলেছুর রহমান প্রতিদিন সকাল ১০টার দিকে রিকশা নিয়ে বের হন। গতকালও সকাল সকাল বের হন। ফিরে আসেন ব্যাগের মধ্যে একটি দা নিয়ে। রাবেয়া দা আনার কারণ জানতে চাইলে বলেন, প্রয়োজন আছে। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে পারিবারিক বিষয় নিয়ে তার সঙ্গে মোখলেছের কথাকাটাকাটি হয়। তখন তাকে দা নিয়ে তাড়া করেন মোখলেছ। রাবেয়া পালিয়ে যান। রাবেয়া বলেন, ‘পরে শুনেছি মোখলেছ অন্যদের কুপিয়েছেন।’ রাবেয়া পুলিশকে আরও জানিয়েছেন, মোখলেছ তাকে মাঝে মাঝে বলতেন মাথায় প্রচ  ব্যথা হয়। তবে অন্য কোনো সমস্যার কথা তিনি জানেন না। এ ছাড়া কারও সঙ্গে তাদের কোনো বিরোধ ছিল না। স্থানীয় সূত্র জানান, মোখলেছ সব সময় হাসিখুশি ছিলেন। সবাই তার এমন ঘটনায় হতবাক। মোখলেছ সামনে যাকে পেয়েছেন তাকে কুপিয়েছেন। মানুষ ভয়ে চারদিকে পালাতে থাকে। নিজের বাড়ির লোকজনকে কুপিয়ে রক্তাক্ত দা হাতে পাশের ছেঁচড়া পুকুরিয়া গ্রামের দিকে চলে যান। পরে মসজিদের মাইকিং শুনে এসে লোকজন তাকে গণপিটুনি দেয়। ঘটনাস্থলে মোখলেছ নিহত হন। পরিদর্শনে যাওয়া পুলিশ সুপার সৈয়দ নুরুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, মোখলেছুর রহমানের দায়ের আঘাতে তিনজন নিহত হয়েছেন। পরে গণপিটুনিতে মোখলেছ মারা যান। তবে এ ঘটনার পেছনে কী কারণ রয়েছে তা তদন্ত করা হচ্ছে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর