বৃহস্পতিবার, ১১ জুলাই, ২০১৯ ০০:০০ টা

ডিজিটালাইজড হওয়ায় দুর্নীতি কম

নিজস্ব প্রতিবেদক

ডিজিটালাইজড হওয়ায় দুর্নীতি কম

প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় বলেছেন, এত দ্রুত সময়ে একটি দেশকে ডিজিটালাইজড করার কার্যক্রম বাংলাদেশ ছাড়া খুব কম দেশই পেরেছে। দেশ ডিজিটালাইজড হওয়ায় দুর্নীতি কমে এসেছে। সরকারের সব পর্যায়ের কার্যক্রম যখন ডিজিটালাইজড হয়ে যাবে তখন দুর্নীতি থাকবে না। গতকাল বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে সংসদ সচিবালয় আয়োজিত ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ : সমৃদ্ধির অগ্রযাত্রায় তথ্য ও প্রযুক্তি’ শীর্ষক কর্মশালায় তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। সজীব ওয়াজেদ জয় বলেন, ৩০০ সরকারি সেবা ইতিমধ্যে ডিজিটাল প্লাটফর্মে আনা হয়েছে এবং অল্প সময়ের মধ্যে বাকি এক হাজার সেবাকে ডিজিটাইজ করা হবে। ইতিমধ্যে কাগজের ব্যবহার কমে গেছে। অনেক সেবা পাওয়ার ক্ষেত্রে আর আগের মতো কাগজপত্র লাগছে না। আঙ্গুলের একটি ছাপই যথেষ্ট। এতে করে মানুষের সময় বাঁচানো এবং সেবা পাওয়ার ক্ষেত্রে খরচের অন্তত ৬০ শতাংশ কমানো গেছে। প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা বলেন, বিদেশি বিনিয়োগকারীদের প্রতিযোগী হিসেবে না দেখে তাদের সঙ্গে পার্টনারশিপ করে এগিয়ে যেতে হবে। তারা কিন্তু দেশে এসে শুধু প্রফিট নিয়ে চলে যায়নি। তারা কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেছে। তারা ট্যাক্স দিচ্ছে। আজকের যুগ বিশ্বায়নের। নিজেদের আলাদা করে রাখতে পারি না। অর্থনীতি আরও ওপেন করতে হবে। আমাদের মানসিকতার পরিবর্তন করতে হবে। সজীব ওয়াজেদ জয় বলেন, দশ বছর আগে আইসিটি মন্ত্রণালয় বলতে কিছু ছিল না। বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ বিভিন্ন আইন করে এই মন্ত্রণালয় আজকে বাস্তবায়ন হয়েছে। সেগুলো আমরা নতুন করে করার সুযোগ পেয়েছি। কিন্তু আমাদের টেলি কমিউনিকেশন এখনো সেই ২০ বছর আগের। এটাকে আমাদের নতুন করে মডেল পদ্ধতিতে আনার প্রয়োজন। আমি উদ্যোগ নিয়েছি। আমরা সম্পূর্ণ নতুন একটা টেলি কমিউনিকেশন পলিসি করব। সংসদ সদস্যদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রীর এই উপদেষ্টা বলেন, আমরা বর্তমান প্রক্রিয়া শুধু ডিজিটাইজ করছি না। আমরা প্রক্রিয়াটা সরল করে ডিজিটাইজ করছি। সংসদ সদস্যদের অনুরোধ করব, এই পয়েন্টটা মাথায় রাখবেন। আপনারা যখন বিভিন্ন প্রকল্প নেবেন, একটু মনে রাখবেন আগে কীভাবে এসেছে, কী ফাইল, ডকুমেন্ট প্রয়োজন সেভাবেই যে করতে হবে তা কিন্তু নয়।

যেসব কাগজপত্র আর প্রয়োজন নেই আপনারা নতুন পদ্ধতিতে প্রকল্প যাতে হয় সেটা নজর রাখবেন। 

প্রধান অতিথির বক্তৃতায় জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশের জাতীয় সংসদকে ডিজিটালাইজ করা প্রয়োজন। ডিজিটালাইজেশন প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত করা একান্ত আবশ্যক ও সময়ের দাবি। সেই লক্ষ্য বাস্তবায়নে বাংলাদেশ পার্লামেন্ট ডিজিটালাইজড প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে, যা আইসিটি বিভাগের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করার কার্যক্রম চলমান রয়েছে। তিনি বলেন, তথ্যপ্রযুক্তির উন্নতির মধ্য দিয়ে দ্রুত এগিয়ে চলেছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশ অনেক দেশের চেয়ে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাতে উন্নয়নে অভাবনীয় সাফল্য অর্জন করেছে। জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব ড. জাফর আহমেদ খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বি মিয়া, চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।

সর্বশেষ খবর