তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, জিয়াউর রহমান হত্যার পর সবচেয়ে বেশি বেনিফিশিয়ারি, সবচেয়ে বেশি লাভবান হয়েছেন তার স্ত্রী খালেদা জিয়া। জিয়াউর রহমান হত্যাকান্ডের সঙ্গে বিএনপির ঊর্ধ্বতন নেতারা জড়িত কিনা সেটা দেখা দরকার। জিয়াউর রহমান হত্যার পর খালেদা জিয়া দুবার প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন। বিএনপির মতো একটি দলের চেয়ারপারসন হয়েছেন। তিনি কেন জিয়া হত্যাকান্ডের বিচার করলেন না। গতকাল বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কারাবন্দী দিবস উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সহ-সভাপতি শিল্পী রফিকুল আলমের সভাপতিত্বে সভায় সাবেক খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট শামসুল হক টুকু, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কামাল চৌধুরী, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক অরুণ সরকার রানা প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। হাছান মাহমুদ বলেন, জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় এসে  সেনাবাহিনীর হাজার হাজার অফিসারকে ধরে এনে বিনা বিচারে হত্যা করেছেন। সেই হত্যাকান্ডের বিচার হওয়া দরকার। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমানের সমালোচনা করে তিনি বলেন, রাজনীতিবিদ হতে হলে জেলের ভয় পেলে হয় না। সাত সমুদ্র ১৩ নদীর ওপার থেকে নানা কথা বললে হয় না। সাহস দেখাতে হয়,  গ্রেফতার হওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকতে হয়। ভয় পেলে রাজনীতিবিদ হওয়া যায় না। ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের ষড়যন্ত্রের সঙ্গে যারা জড়িত ছিল, তদন্ত কমিশন করে জিয়াসহ তাদের বিচার হওয়া দরকার। গত ৩৮ বছরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সব প্রতিবন্ধকতা, দুর্বিপাক উপেক্ষা করে বাঙালি জাতির পাশে ছিলেন, আছেন। আজ তিনি শুধু আওয়ামী লীগের নেতা নন, বাংলাদেশের নেতা নন, বিশ্বনেতায় পরিণত হয়েছেন।