সোমবার, ১৫ জুলাই, ২০১৯ ০০:০০ টা

সুপার ওভারে নিষ্পত্তি

সুপার ওভারে নিষ্পত্তি

ঐতিহাসিক ফাইনাল! স্বপ্নের ফাইনাল। মহানাটকীয় ফাইনাল। কোনো বিশেষণই যেন এমন ফাইনালের জন্য মানানসই হয় না! গতকাল ‘হোম অব ক্রিকেট’ লর্ডস ক্রিকেট গ্রাউন্ডে ইংল্যান্ড ও নিউজিল্যান্ডের যে ফাইনাল ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হলো নিঃসন্দেহে ক্রিকেটের ইতিহাসে  সেরা ম্যাচ! সেরা ফাইনাল তো বটেই! আর নাটকীয় এই ফাইনালে শেষ পর্যন্ত জিতল ইংল্যান্ড। সুপার ওভারে নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপের শিরোপা ঘরে তুলল ক্রিকেটের জনক! ১৯৬৬ সালে ফুটবল বিশ্বকাপের শিরোপা জয়ের পর অবশেষে ক্রিকেটেও বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হওয়ার অনন্য গৌরব অর্জন করল ইংলিশরা। লর্ডসে গতকাল নির্ধারিত ৫০ ওভারের ম্যাচ ‘টাই’ হয়। দুই দলের স্কোর লাইনই ২৪১। ম্যাচ গড়ায় সুপার ওভারে। প্রথমে ব্যাট করে ইংল্যান্ড ১৫ রান করে। কিন্তু নিউজিল্যান্ডও ১৫ রানের বেশি করতে পারেনি। এখানেও  শেষ বলে নিষ্পত্তি ম্যাচের ফল। রান সমান হলেও সুপার ওভারে বেশি বাউন্ডারি মারার সুবাদে ইংল্যান্ড শিরোপা জয়ের উৎসবে মেতে ওঠে। জয়ের নায়ক সেই বেন স্টোকস, যিনি ৯৮ বলে ৮৪ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে ইংল্যান্ডকে টেনে নিয়ে  গেছেন। সুপার ওভারেও ইংল্যান্ডকে পথ দেখিয়েছেন তিনি। তাই তো স্টোকসকে গতকাল ‘জাতীয় বীর’ হিসেবে  ঘোষণা দিয়েছে ইংলিশরা! নির্ধারিত ৫০ ওভারের শেষ ওভারে জয়ের জন্য ইংল্যান্ডের দরকার ছিল ১৫ রান। কিন্তু স্বাগতিকরা ১৪ রান করায় ম্যাচ টাই হয়ে যায়। তবে এই ফাইনালের পুরোটা সময় ছিল রোমাঞ্চে ভরপুর। নিউজিল্যান্ডের দেওয়া ২৪২ রানের টার্গেটে খেলতে নেমে মাত্র ৮৬ রানে চতুর্থ উইকেটের পতন হয় ইংল্যান্ডের। তারপর পঞ্চম উইকেটে বেন  স্টোকস ও জস বাটলারের ১১০ রানের জুটিই পাল্টে দেয় ফাইনালের রঙ। কিন্তু ৫৯ রানে বাটলারের বিদায়ে জমে ওঠে ম্যাচ। দ্রুত ওকসের উইকেট নিয়ে ম্যাচের লাগাম  টেনে ধরে নিউজিল্যান্ড। শেষ পর্যন্ত তারা সুযোগও  পেয়েছিল। এমনকি শেষ বল পর্যন্ত জয়ের সুযোগ ছিল। কিন্তু হলো না। গতকাল সকালে লর্ডসের আকাশ ছিল মেঘলা। বৃষ্টির কারণে খেলা শুরু হয়েছে ১৫ মিনিট পরে। উইকেটে ঘাসও ছিল। তারপরও টস জিতে কেন ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন কেন উইলিয়ামসন? স্কোর বোর্ডে মাত্র ২৪০ রান তুলে প্রমাণ করতেও পারলেন না যে তার সিদ্ধান্ত সঠিক ছিল! সর্বোচ্চ ৫৫ রান আসে ওপেনার হেনরি নিকলসের ব্যাট  থেকে। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪৭ রান করেছেন টম লাথাম। মাত্র একটি হাফ সেঞ্চুরির পরও কিউইদের স্কোর আড়াইশর কাছাকাছি গেছে আসলে দলীয় সমন্বয়ে। হয়তো কেউ আহামরি বড় স্কোর করতে পারেনি। তবে ব্যাটিং অর্ডারের প্রথম সাত ব্যাটসম্যানের সবাই দুই অঙ্কের কোটায়  পৌঁছেছিলেন। পাওয়ার প্লে-র প্রথম ১০ ওভারে তারা করেছিল মাত্র ৩৩ রান। শুরুতেই পিছিয়ে পড়ে শেষ পর্যন্ত আর ইংলিশ  বোলারদেরও ওপর প্রভাব বিস্তার করতে পারেনি। ৩টি করে উইকেট নিয়েছেন লিয়াম প্লাঙ্কেট ও ক্রিস ওকস। এই ম্যাচে ইংলিশরা বোলিং করেছেন একেবারে হিসাব কষে কষে। নিউজিল্যান্ডের বোলাররাও হিসাব কষে বোলিং করেছেন। ছোট্ট পুঁজি নিয়েও তারা সমান সমান লড়াই  করেছেন।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর