বুধবার, ১৭ জুলাই, ২০১৯ ০০:০০ টা

এসব অর্থ বাজেয়াপ্ত করা উচিত

-মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম

এসব অর্থ বাজেয়াপ্ত করা উচিত

সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ড. এবি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম বলেছেন, যারা দেশে টাকা ঋণ নিয়ে পাচার করছে, খেলাপি হচ্ছে, তাদের অর্থ বাজেয়াপ্ত করা উচিত। অর্থ পাচার নানা উপায়ে হয়ে থাকে। পাচার কীভাবে হয়েছে, কোথায় হয়েছে এটা সবাই জানে। এমনকি কোন দেশে কোন ব্যাংকে জমা হচ্ছে এসব পাচারের অর্থ, সেটাও জানা। কিন্তু কেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া যাচ্ছে না। খেলাপি ঋণের ক্ষেত্রেও কারা ইচ্ছেকৃতভাবে খেলাপি হচ্ছে তাও জানা। এখন তাদের বিরুদ্ধে কঠোরভাবে দৃশ্যমান শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। সব খেলাপির জামানতসহ তাদের সম্পদ বাজেয়াপ্ত করা উচিত। একটি কঠোর বার্তা না দিয়ে খেলাপি ঋণ কমানো যাবে না। দুটি সংকট আর্থিক খাতে বিপর্যয় ডেকে আনছে। বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশের আর্থিক শৃঙ্খলার বড় সংকট অর্থ পাচার। কোথায় কোন দেশে এই টাকা আছে সেটা জানা। আন্তর্জাতিক বিভিন্ন আইন আছে। এসব আইন ব্যবহার করে সরকার পাচারকৃত অর্থ বাজেয়াপ্ত করতে পারে। সংশ্লিষ্ট দেশ এবং ব্যাংকের সঙ্গে আলোচনা করে কীভাবে টাকা ফেরত আনা যায় সে উদ্যোগ নেওয়া উচিত। যেসব পদ্ধতি ব্যবহার করে অর্থ পাচার করা হচ্ছে সেগুলো আটকানো দরকার। এত দিনেও কর্তৃপক্ষ জানে না যে কীভাবে এ পাচার হয়- বিষয়টি গ্রহণযোগ্য নয়। যারা এই পাচারের সঙ্গে জড়িত তাদের দৃশ্যমান শাস্তি দিতে হবে। তিনি বলেন, ঋণখেলাপিদের প্রচলিত আইনের আওতায় জেলা-জরিমানা করা যায়। দীর্ঘদিন ধরে এই খেলাপি নিয়ে কথা হচ্ছে। নানা সময়ে পদক্ষেপ নেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়েছে। কিন্তু বাস্তবে কিছু করা হয়নি। এখন দৃশ্যমান শাস্তি দিলে সব খেলাপির কাছে কড়া বার্তা যাবে। রাষ্ট্রীয় অর্থ লুণ্ঠনকারীদের কঠোর বিচার না হলে ব্যাংকিং খাতে কোনো উন্নতি হবে না। তিনি বলেন, শাস্তি নিশ্চিত করতে প্রচলিত যে আইন আছে, প্রয়োজন হলে তা সংস্কার করতে হবে। ব্যাংক থেকে অর্থ নিয়ে ফেরত দেবে না এটা হতে পারে না। সম্প্রতি ৩০০ জনের নাম প্রকাশিত হয়েছে। আমরা দেখছি প্রতিবছর খেলাপি ঋণের সঙ্গে ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের সংখ্যাও বাড়ছে। খেলাপিদের প্রতি নমনীয় হওয়ার ফল এটা। বোর্ড আত্মীয়স্বজনকে ঋণ দিয়ে খেলাপির পরিমাণ বাড়িয়েছে। এসব বোর্ড সদস্যের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে। বাংলাদেশ ব্যাংককে সুশাসন প্রতিষ্ঠায় আরও কঠোর নজরদারি বাড়াতে হবে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সরাসরি হস্তক্ষেপ ছাড়া খেলাপি ঋণের পরিস্থিতি উন্নতি হবে না।

সর্বশেষ খবর