শনিবার, ২০ জুলাই, ২০১৯ ০০:০০ টা

নিরাপত্তা ব্যবস্থা ভেঙে পড়ছে

---- মির্জা ফখরুল

নিজস্ব প্রতিবেদক

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলগমীর অভিযোগ করে বলেন, ‘দেশে আজকে ক্রমাগত আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি, জনগণের নিরাপত্তা ও দেশের সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা ক্রমেই ভেঙে পড়ছে। এমন একটা অবস্থা তৈরি হয়েছে যেন মনে হচ্ছে দেশে একটা নৈরাজ্য চলছে। আদালতের ভিতরে গিয়ে হত্যা করা হচ্ছে, ছোট্ট শিশুর মাথা কেটে ফেলা হচ্ছে। প্রকাশ্য দিবালোকে হত্যা করা হচ্ছে। তার পরবর্তীতে যে ঘটনাগুলো ঘটছে যেমন, একজন প্রধান আসামি নয়নবন্ডকে ক্রসফায়ারে হত্যা করা হলো। দেখা গেল সেই মামলার বাদীকে (আয়শা সিদ্দিকা মিন্নি) আবার গ্রেফতার করে তাকে রিমান্ডে নেওয়া হচ্ছে। পুরো বিষয়গুলোতে দেখা যায় যে, সারা দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণহীন এবং বিচার বিভাগে একটা নৈরাজ্য সৃষ্টি হয়েছে। গতকাল বিকালে দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠকের পর বিএনপি মহাসচিব এই অভিযোগ করেন। গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে বিকাল ৪টা থেকে দুই ঘণ্টা স্থায়ী কমিটির এই বৈঠক হয়। বৈঠকে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি, সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থাসহ নানা বিষয়ে আলোচনা হয়। বৈঠকে বিএনপি মহাসচিব ছাড়াও স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকার, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, সেলিমা রহমান ও ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু উপস্থিত ছিলেন। লন্ডন থেকে স্কাইপে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান যুক্ত ছিলেন। তিনি বলেন, ‘অধ্যাপক আনু মুহাম্মদকে অজ্ঞাত সুব্রত বাইন পরিচয় দিয়ে গুম করার হুমকি পর্যন্ত দেওয়া হয়েছে। এই বিষয়গুলো কিন্তু অহরহ ঘটছে। অনেক মানুষই ভিকটিম হচ্ছেন বিশেষ করে তুলে নিয়ে যাওয়াÑ এটা তো ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। আপনারা দেখেছেন, কয়েক দিন আগে একজন র‌্যাব সদস্য তিনি তারই এক আত্মীয় তার সঙ্গে জমির সমস্যার কারণে তিনি তাকে তুলে নিয়ে গেছেন এবং তাকে হত্যা করেছেন। এই বিষয়গুলো যত ঘটছে তত প্রকাশ হয়ে পড়ছে যে, দেশে আজকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্বে যারা রয়েছেন তারাই এখন সবচাইতে বেশি আইনশৃঙ্খলা ভঙ্গ করছেন। বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকার চরমভাবে ‘উদাসীন’ বলে অভিযোগ করেন বিএনপি মহাসচিব। তিনি বলেন, ‘দেশের বন্যা পরিস্থিতি ক্রমেই অবনতির দিকে যাচ্ছে এবং একের পর এক  জেলা বন্যা কবলিত হচ্ছে। জনগণের দুর্ভোগ বেড়েই চলেছে। মির্জা ফখরুল বলেন, ‘সরকারের সাধারণ এ রকম পরিস্থিতিতে  যে রকম উদ্যোগ-সহায়তা নেওয়ার কথা সেটা দেখা যাচ্ছে না। এখন পর্যন্ত ত্রাণমন্ত্রী কোথাও ঘুরে আসেননি। সরকারের যে জনগণের প্রতি কোনো দায়বদ্ধতা নেই, সেটা বুঝা যায়। এখানে বিরোধী দলের তেমন কিছু করার নেই। তারা ত্রাণ কমিটি পাঠাতে পারে, সেখানে কিছু কিছু সাহায্য নিয়ে সাহায্য করতে পারে। কিন্তু সরকারের দায়িত্ব বন্যাকবলিত মানুষকে রক্ষা করা। যেটা সরকার করছে না।’ তিনি জানান, বৈঠকে দলের ২১ সদস্যের একটি ত্রাণ কমিটি গঠন করা হয়েছে। এর আহ্বায়ক করা হয়েছে স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু ও সদস্য সচিব ত্রাণবিষয়ক সম্পাদক হাজী আমিনুর রশীদ ইয়াসীন। কমিটিতে দলের ভাইস চেয়ারম্যান, যুগ্ম মহাসচিব, সাংগঠনিক সম্পাদক, সংশ্লিষ্ট জেলার নেতৃবৃন্দও থাকবেন। এই ত্রাণ কমিটি অবিলম্বে তাদের কর্মকা  শুরু করবে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর