শিরোনাম
রবিবার, ২১ জুলাই, ২০১৯ ০০:০০ টা

চুনোপুঁটিও ধরব, বড় মাছও ধরব

নিজস্ব প্রতিবেদক

চুনোপুঁটিও ধরব, বড় মাছও ধরব

দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বলেছেন, অনেকে প্রশ্ন করেন আমরা কি শুধু চুনোপুঁটির বিরুদ্ধে অভিযোগ তদন্ত করছি? আসলে ছোট গাছ উপড়ে ফেলা যত সহজ বড় গাছ উপড়ানো তত কঠিন। তাই বলে যে আমরা বড় গাছ ধরছি না, তা নয়। চুনোপুঁটিও ধরব, বড় মাছও ধরব। গতকাল জাতীয়  প্রেস ক্লাবের মানিক মিয়া হলে মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ আয়োজিত ‘দুর্নীতি দমনে আইনজীবী ও বিচার বিভাগের ভূমিকা’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। দুদক চেয়ারম্যান বলেন, দেশের সাধারণ মানুষ যারা গ্রামে বাস করে তারাই দুর্নীতি, হয়রানি কিংবা অনিয়মের সবচেয়ে বড় শিকার। এসব দুর্নীতিতে অধিকাংশ ক্ষেত্রে চুনোপুঁটিরাই জড়িত থাকেন। ফলে দুর্নীতির শিকার দেশের এই ৮০ ভাগ মানুষের স্বার্থেই চুনোপুঁটিদের আইনের আওতায় আনা হচ্ছে। তবে চুনোপুঁটিদের পাশাপাশি রাঘব-বোয়ালদেরও আইনের আওতায় আনা হচ্ছে। প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতা, ব্যবসায়ী কিংবা অনেক আমলার বিষয়েও দুদকের অনুসন্ধান ও তদন্ত বলছে। তিনি বলেন, দুর্নীতি দমন ও প্রতিরোধের ক্ষেত্রে সমন্বিত উদ্যোগের পাশাাশি দুর্নীতিবিরোধী তীব্র সামাজিক আন্দোলনও প্রয়োজন। নৈতিক মূল্যবোধসম্পন্ন শিক্ষা ও মননে বিকশিত করে তরুণদের উন্নত মানসিকতাসম্পন্ন একটি প্রজন্ম সৃষ্টি করতে হবে। ইকবাল মাহমুদ বলেন, আমাদের সমস্যা আমরা যেটা বলি সেটা বিশ্বাস করি না, যেটা বিশাস করি সেটা বলি না, যেটা করি সেটা বিশ্বাস করি না। এ এক অদ্ভুত নিগড়ে আমরা বন্দী। এই নিগড় ভাঙতেই দেশের প্রায় ২৮ হাজার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে উত্তম চর্চার বিকাশে সততা সংঘ গঠন করা হয়েছে। দুদকের সমালোচনার প্রসঙ্গে চেয়ারম্যান বলেন, আমি সব সময়ই গঠনমূলক সমালোচনাকে সাধুবাদ জানাই।

 আলোচনা ও সমালোচনা বস্তুনিষ্ঠ হোক। ইচ্ছাকৃতভাবে কোনো রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের ইমেজ যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয়।

সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার আমীর-উল ইসলাম বলেন, সামাজিক মূল্যবোধ না থাকলে দুর্নীতি দমন করা সম্ভব নয়। আর শুধু দুদককে দিয়ে নয়, সম্মিলিত প্রয়াস ছাড়া সম্ভব নয়। দুদককে অনুরোধ করেছি, দুর্নীতিবিরোধী সচেতনতা শুরু করতে হবে স্কুল থেকে। সমাজে নৈতিকতা ফেরানো না গেলে, শুধু আইন করে দুর্নীতি দমন করা যাবে না। সংগঠনের প্রেসিডেন্ট অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন বিচারপতি নিজামুল হক, অ্যাডভোকেট আবদুল মতিন খসরু প্রমুখ। প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ব্যারিস্টার হাসান এম এস আজিম। এদিকে মাঠ পর্যায়ে দুদকের কার্যক্রম দেখভাল নয়, বরং দুদক চেয়ারম্যান দুর্নীতি প্রতিরোধে জেলা প্রশাসকদের সহযোগিতা চেয়েছেন বলে কমিশনের জনসংযোগ কার্যালয় জানিয়েছে। মাঠপর্যায়ে দুদকের কার্যক্রম দেখভালের বিষয়ে ডিসিদের দায়িত্ব দেওয়ার খবরে টিআইবির উদ্বেগের প্রেক্ষাপটে শুক্রবার কমিশনের জনসংযোগ কার্যালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর