শনিবার, ২৭ জুলাই, ২০১৯ ০০:০০ টা

অধিনায়ক তামিমের অভিষেকেই হার

জয় নিয়েই রাজকীয় বিদায় মালিঙ্গার

ক্রীড়া প্রতিবেদক

অধিনায়ক তামিমের অভিষেকেই হার

এর চেয়ে সুখকর বিদায় আর কী হতে পারে! জয়ের মধুর স্বাদ নিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানান শ্রীলঙ্কান ক্রিকেটের জীবন্ত কিংবদন্তি ল্যাসিথ মালিঙ্গা। অসাধারণ এক জয়ে প্রিয় ক্রিকেটারের বিদায়ী ম্যাচকে রংধনুর সাত রঙে রাঙালেন দ্বীপরাষ্ট্রের ১১ ক্রিকেটার। দেশটির সবচেয়ে জনপ্রিয় ক্রিকেটারের অন্তিম ম্যাচটির সাক্ষী হতে গতকাল ৪০ হাজার আসনের প্রেমাদাসা স্টেডিয়াম কানায় কানায় ভরেছিল। দেশসেরা ক্রিকেটারের বুট তুলে রাখার ম্যাচে ৯১ রানের জয় নিয়ে উৎসব করতে করতে বাড়ি ফিরেছেন লঙ্কান ক্রিকেটপ্রেমীরা। কিন্তু হতাশা ছড়িয়ে পড়েছে বাংলাদেশের ক্রিকেটপাড়ায়। তামিম ইকবালের অধিনায়কত্বের অভিষেক ম্যাচে ব্যাটিং, বোলিং ও ফিল্ডিং-তিন বিভাগেই পুরোপুরি ব্যর্থ টাইগাররা। সিরিজে ফিরতে এবং জিততে এখনো সুযোগ রয়েছে তামিম বাহিনীর। সিরিজে সমতা আনতে আগামীকাল জিততেই হবে বাংলাদেশকে। বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে খেলতে না পারার হতাশাকে পাথরচাপা দিতে টাইগাররা এখন কলম্বোয়। তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজ জিতে হতাশাকে ঝেড়ে নতুন করে শুরু করতে চেয়েছিল টাইগাররা। কিন্তু প্রথম ম্যাচেই পুরোপুরি ব্যর্থ। দিনের শুরুতে বোলিং ও ফিল্ডিং এবং শেষ বেলায় ব্যাটিং শুধু হতাশাই বাড়িয়েছে। টস হেরে ফিল্ডিংয়ে নেমে কুশল পেরেরা, কুশল মেন্ডিস, অ্যাঞ্জেলি ম্যাথিয়াস ও দিমুথ করুণারত্নের সাঁড়াশি আক্রমণে তাল-লয় হারিয়ে ফেলেন শফিউল ইসলাম, রুবেল হোসেন, মুস্তাফিজুর রহমান ও মেহেদি হাসান মিরাজ। কুশল পেরেরা ৯৬ ওয়ানডে ক্যারিয়ারের পাঁচ নম্বর সেঞ্চুরি তুলে সাজঘরে ফিরেন ব্যক্তিগত ১১১ রানে। তার সেঞ্চুরিতে স্বাগতিকদের সংগ্রহ ছিল ৫০ ওভারে ৮ উইকেটে ৩১৪ রান। তিন বছর খেলতে নেমে শফিউল সামর্থ্যরে প্রমাণ রাখেন ৬২ রানের খরচে ৩ উইকেট নিয়ে। বিশ্বকাপে ২০ উইকেট নিয়ে আলোড়ন তোলা মুস্তাফিজ ছিলেন পুরোপুরি ব্যর্থ। ২ উইকেট নিতে খরচ করেছেন ৭৫ রান। ব্যর্থ ছিলেন পেসার রুবেল হোসেন ও স্পিনার মেহেদি মিরাজ। ৩১৪ রানের পর্বতসমান টার্গেট। প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামের ইতিহাস বলে ৩০০ রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ড নেই। ২০১২ সালে সর্বোচ্চ ২৮৬ রান তাড়া করে এখানে জিতেছিল ভারত। দ্বীপরাষ্ট্রের বিপক্ষে সর্বোচ্চ ২১২ রান তাড়া করে ম্যাচ জয়ের রেকর্ড ২০০৬ সালে বগুড়ায়। ইতিহাসের সাক্ষ্যে ৩১৫ রান তাড়া করে জিততে রেকর্ড গড়তে হতো টাইগারদের। কিন্তু মালিঙ্গা ও নুয়ান প্রদীপের অবিশ্বাস্য বোলিংয়ে টাইগার ব্যাটসম্যানদের পারফরম্যন্স ছিল যাচ্ছেতাই। স্বাগতিক বোলারদের দুরন্ত বোলিংয়ের বিপক্ষে শুধু দৃঢ়তার পরিচয় দিয়েছেন মুশফিকুর রহিম ও সাব্বির রহমান। দুজনেই করেছেন হাফসেঞ্চুরি। ব্যর্থ হয়েছেন তামিম। অধিনায়কত্বের অভিষেক ম্যাচটিকে স্মরণীয় করে রাখার সুযোগ হারিয়েছেন বাঁহাতি ওপেনার মালিঙ্গার ইয়র্কারে শূন্য রানে সাজঘরে ফিরে। মুশফিক ও সাব্বির পঞ্চম উইকেট জুটিতে ১১১ রান যোগ করলে দলের স্কোর ভদ্রস্থ ঘরে পৌঁছায়। সাব্বির ৬০ রানের ইনিংস খেলেন ৫৬ বলে ৭ চারে এবং মুশফিক ৬৭ রানের ইনিংসটি খেলেন ৮৬ বলে ৫ চারে। প্রত্যয়ী ব্যাটিং করলেও মাত্র ৮ রানের আক্ষেপে পুড়ছেন মুশফিক।

৭৫ রান করলেই তামিম ও সাকিবের পর তৃতীয় ক্রিকেটার হিসেবে ৬ হাজার রানের ক্লাবে নাম লেখাতেন মুশফিক। তার রান এখন ৫৯৯২।

সর্বশেষ খবর