রবিবার, ২৮ জুলাই, ২০১৯ ০০:০০ টা

ডেঙ্গু আক্রান্তের রেকর্ড ভঙ্গ

জয়শ্রী ভাদুড়ী

ডেঙ্গু আক্রান্তের রেকর্ড ভঙ্গ

রাজধানীর মুগদা হাসপাতালে বেড ছাড়িয়ে রোগীদের স্থান দিতে হয়েছে করিডোরে। গতকাল তোলা ছবি -রোহেত রাজীব

ডেঙ্গু আক্রান্তের গত ১৯ বছরের রেকর্ড ভেঙেছে। গতকাল পর্যন্ত সরকারি হিসাবে আক্রান্তের সংখ্যা ১০ হাজার ৫২৮। এর আগে গত বছর সর্বোচ্চ রোগী ছিল ১০ হাজার ১৪৮ জন। তবে বেসরকারি হিসাবে সারা দেশে লাখ ছাড়িয়েছে। সরকারি হিসাবে মৃতের সংখ্যা আট বলা হলেও বিভিন্ন হাসপাতালে ৩৩ জনের মৃত্যুসনদে কারণ হিসেবে ডেঙ্গুজ্বর উল্লেখ করা হয়েছে। গতকালও ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের ছাত্রী উ খেংনু রাখাইন মারা গেছেন। কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতাল ঘুরে দেখা যায়, গত তিন সপ্তাহ ধরে হাসপাতালগুলোয় ভর্তি রোগীর ৯০ ভাগই ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত। তাদের জন্য হাসপাতালে খোলা হয়েছে আলাদা ইউনিট। কিন্তু এবার আক্রান্ত এত বেশি যে, ডেঙ্গু ইউনিটে স্থানসংকুলান হচ্ছে না। হাসপাতালের সাধারণ ওয়ার্ড থেকে শুরু করে মেঝেতে রেখেও চলছে চিকিৎসা। বেসরকারি হাসপাতালে শয্যা ফাঁকা না থাকায় আর ডেঙ্গু রোগী ভর্তি না করার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, ডেঙ্গু রোগীদের সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসক, নার্সসহ স্বাস্থ্যকর্মীরা। একের পর এক ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী ভর্তি হচ্ছে। চিকিৎসাধীন অনেকের অবস্থাই আশঙ্কাজনক। তিন দিন ধরে জ্বরে আক্রান্ত যাত্রাবাড়ীর শিশু সীমান্ত (১৪)। গতকাল সকালে হঠাৎ তার রক্তচাপ একেবারে কমে যাওয়ায় দুপুরে ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি করা হয়। ভর্তির পর থেকে স্যালাইন দেওয়া হচ্ছে তাকে। সীমান্তর অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।

গত বুধবার থেকে জ্বর ওয়ারীর বাসিন্দা নাসিমের (২০)। জ্বরের মাত্রা ১০০ হলেও গতকাল সকালে নাক-মুখ দিয়ে রক্ত বের হয়েছে তার। তাই ডেঙ্গু পরীক্ষার জন্য ঢাকা মেডিকেলের মেডিসিন বিভাগে আসেন তিনি। চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে জানিয়েছেন, নাসিমের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তখনই হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। সীমান্ত ও নাসিমের মতো ঢাকা মেডিকেল কলেজে প্রতি ঘণ্টায় ১০ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।

ঢাকা মেডিকেল কলেজের মেডিসিন ওয়ার্ডে ভর্তির দায়িত্বরত একাধিক চিকিৎসক জানান, গত কয়েকদিন ধরে হাসপাতালে ভর্তি হতে আসা রোগীর মধ্যে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বেশি। একেবারে খারাপ অবস্থায় আসছে অনেক রোগী। গত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ২৩৩ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত ভর্তি হয়েছে। এ পর্যন্ত এ হাসপাতালে ১ হাজার ৬৯০ জন চিকিৎসা নিয়েছে। এর মধ্যে মারা গেছে চারজন। রাজধানীর মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, ডেঙ্গু রোগীদের জন্য বরাদ্দ কর্নারে স্থানসংকুলান না হওয়ায় মেঝেতে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। রোগীর চাপ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

রাজধানীর হলি ফ্যামিলি হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, গায়ে জ্বর নিয়ে এসেছেন সুমন আহমেদ। এর আগে ২৫ জুন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে এ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন তিনি। চিকিৎসা শেষে ৬ জুলাই তাকে ছাড়পত্র দেয় হাসপাতাল। কিন্তু গত বৃহস্পতিবার রাতে আবার জ্বর আসে তার। শুক্রবার বেড়ে যায় জ্বরের প্রকোপ। হাসপাতালে পরীক্ষা করলে দেখা যায়, তিনি আবার ডেঙ্গু আক্রান্ত। এ রকম আরও দুজন রোগী ভর্তি হয়েছেন যারা এ বছরই ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছিলেন।

এ ব্যাপারে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিসন অনুষদের সাবেক ডিন ডা. এ বি এম আবদুল্লাহ বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ‘ডেঙ্গুর চার টাইপ আছে। কেউ যদি ডেঙ্গুর এক টাইপে আক্রান্ত হন তাহলে একই মৌসুমে তিনি অন্য টাইপে আক্রান্ত হতে পারেন। একাধিকবার ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ব্যক্তিরা বেশি ঝুঁকিতে থাকেন।’ স্বাস্থ্য অধিদফতরের ইমারজেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের তথ্যানুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ৬৮৩ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত। এর মধ্যে ঢাকার বাইরের আক্রান্ত ৪০ জন। এ পর্যন্ত রাজধানীর বাইরে দেশের বিভিন্ন জায়গায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছে ৩৭৩ জন। এর মধ্যে গাজীপুরে ৬১, নরায়ণগঞ্জে ১৩, চট্টগ্রামে ৪৯, কুমিল্লায় ৪৯, চাঁদপুরে ২৯, খুলনায় ৪৩, যশোরে ২০, বগুড়ায় ৪০, বরিশালে ৩৫, সিলেটে ১৩ জন আক্রান্ত হয়েছে ডেঙ্গুতে।

এ বছর সরকারি হিসাবে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছে ১০ হাজার ৫২৮ জন। এর মধ্যে মারা গেছে আটজন। তবে বেসরকারি হিসাবে আক্রান্তের সংখ্যা লাখ ছাড়িয়েছে। সারা দেশে এ পর্যন্ত মারা গেছে ৩৩ জন। গত বছর আক্রান্ত ছিল ১০ হাজার ১৪৮ জন। মারা গিয়েছিল ২৬ জন। ২০১৭ সালে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছে ২ হাজার ৭৬৯ জন। এর মধ্যে মারা গেছে আটজন। ২০১৬ সালে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছে ৬ হাজার ৬০ জন। মারা গেছে ১৪ জন। ২০১৫ সালে ৩ হাজার ১৬২ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছিল। এর আগে সারা দেশে ডেঙ্গুর আক্রমণ এত মারাত্মক ছিল না। ২০০০ সালে দেশে প্রথম বড় আকারে ডেঙ্গুর প্রকোপ দেখা দেয়। সরকারি হিসাবে ওই বছর ৫ হাজার ৫৫১ জন আক্রান্ত হয়েছিল। এর মধ্যে মারা গিয়েছিল ৯৩ জন। এর পর থেকে ডেঙ্গুতে মৃতের সংখ্যা কমতে থাকে। এ বছর আগের সব রেকর্ড ছাড়িয়েছে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা।

জাতীয় ম্যালেরিয়া নির্মূল ও এডিসবাহিত রোগ নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির ডেপুটি প্রোগ্রাম ম্যানেজার ডা. এম এম আক্তারুজ্জামান বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ‘আমরা ডেঙ্গু চিকিৎসায় ন্যাশনাল গাইডলাইন তৈরি করেছি। প্রতিটি হাসপাতালে ডেঙ্গু কর্নারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। আমরা চেষ্টা করছি ওয়ানস্টপ সার্ভিসের মাধ্যমে রোগীর চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে। সোসাইটি অব মেডিসিনের মাধ্যমে দেশব্যাপী ডেঙ্গু রোগীদের সেবা নিশ্চিতের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।’

বাড়ছে রক্তের চাহিদা : ডেঙ্গু আক্রান্তের পরিমাণের সঙ্গে বাড়ছে রক্তের চাহিদা। পরিচিত ডোনার না থাকায় অনেকেই ছুটছে ব্লাড ব্যাংকে। চিকিৎসকরা বলছেন, একজন স্বাভাবিক মানুষের রক্তে প্লাটিলেটের হার প্রতি ১০০ মিলিলিটারে দেড় লাখ থেকে চার লাখ। ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হলে রোগীর রক্তের প্লাটিলেট কাউন্ট এক লাখের নিচে চলে আসে। প্লাটিলেট ২০ হাজারের নিচে নেমে এলে কোনো আঘাত ছাড়াই রক্তক্ষরণ হতে পারে, যেমন নাক বা দাঁতের মাড়ি দিয়ে রক্তপাত, মলের সঙ্গে রক্ত আসা ইত্যাদি। ডেঙ্গু হলে অতিরিক্ত রক্ত ও প্লাটিলেটের প্রয়োজন হয়। এক ব্যাগ প্লাটিলেটের জন্য চার ব্যাগ রক্তের প্রয়োজন। তাই ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় বেড়েছে রক্তের চাহিদা। ব্লাড ব্যাংকগুলো বলছে, ডেঙ্গুর কারণে গত ৩০ দিনে রক্তের চাহিদা বেড়েছে প্রায় পাঁচ গুণ। বেশির ভাগ রোগীর স্বজন পজিটিভ গ্রুপের রক্তের জন্য ভিড় করছে। তবে নেগেটিভের চাহিদাও কম নয়।

সরকারি হাসপাতালের চেয়ে বেসরকারিতে মৃতের সংখ্যা বেশি : এ বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ৩৩ জনের মৃত্যুর বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া গেছে। এর মধ্যে সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সাতজন ও বেসরকারি হাসপাতালে ২৬ জন মারা গেছে।

ঝুঁকিতে শিশু, বয়স্ক, গর্ভবতী নারী : ডেঙ্গুতে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে শিশু, বয়স্ক ব্যক্তি ও গর্ভবর্তী নারীরা। এ পর্যন্ত ডেঙ্গুর কারণে মারা যাওয়া ৩২ জনের মধ্যে ১০ জনই শিশু। শিশু ও বয়স্ক মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকায় তারা বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে বলে জানান চিকিৎসকরা। ডেঙ্গু আক্রান্ত ব্যক্তির জন্য যে কোনো ধরনের সার্জারি রক্তক্ষরণের ঝুঁকি বাড়াতে পারে। তাই গর্ভবর্তী নারী ডেঙ্গু আক্রান্ত হলে ঝুঁকিও বাড়ে বলে জানান ডা. এ বি এম আবদুল্লাহ।

শুধু রাজধানী নয় সারা দেশেই এবার রেকর্ড সংখ্যক মানুষ ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়েছেন। বিভাগীয় ও জেলা সদর হাসপাতালে ডেঙ্গু আক্রান্তদের জন্য খোলা হয়েছে আলাদা ইউনিট। আমাদের প্রতিনিধিদের পাঠনো খবর :

খুলনা : গত দুই সপ্তাহে খুলনায় ৩৮ জন ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ২৩ জন, সিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নয়জন, গাজী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চারজন ও খুলনা জেনারেল হাসপাতালে দুজন রোগী চিকিৎসা নিয়েছেন। খুলনা ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. মো. আতিয়ার রহমান শেখ এ তথ্য জানিয়েছেন। ডেঙ্গু প্রতিরোধে খুলনা জেলায় ১১৬টি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। প্রত্যেক ইউনিয়নে একটি করে মেডিকেল টিম কাজ করছে। খুলনা সিটি করপোরেশনের মেয়র তালুকদার আবদুল খালেক বলেন, ডেঙ্গু আক্রান্তদের অধিকাংশই ঢাকা থেকে এসেছে। তারপরও ডেঙ্গু প্রতিরোধে সিটি করপোরেশন এলাকায় ময়লা-আবর্জনা পরিষ্কারের পাশাপাশি মশক নিধনের কার্যক্রম চলছে।

লক্ষ্মীপুর : গত দুই দিনে আটজন রোগী শনাক্ত করা হয়েছে। বর্তমানে সদর হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে চারজন রোগী, আরও দুজনের অবস্থার অবনতি দেখে তাদের পাঠানো হয়েছে ঢাকা।

কুষ্টিয়ায় : ২৪ ঘণ্টায় ১০ জন ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। সব মিলিয়ে সরকারি হিসাব মতে, গত ২০ দিনে জেলায় ২৭ জন ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত করা হয়েছে।

রংপুর : ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতালে ২১ জন ভর্তি হয়েছেন। তারা সবাই ঢাকা থেকে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে রংপুর এসেছেন। এ ব্যাপারে আরও জানতে হাসপাতালের পরিচালক ডা. মো. সুলতান আহমেদ ডেঙ্গু আক্রান্ত ২১ জনকে সর্তকতার সহিত চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তবে একজনের অবস্থা গুরুতর বলে তিনি জানান।

ময়মনসিংহ : ময়মনসিংহ ২২ জন এ পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন। তবে এদের মধ্যে কেউই আশঙ্কাজনক নন বলে জানিয়েছেন উপপরিচালক ডা. লক্ষ্মী নারায়ণ মজুমদার। এ ছাড়া জামালপুরে ৬ জন ও শেরপুরে দুজন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন।

বগুড়া : বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে ২৯ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছেন। বগুড়া শজিমেক হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. আরিফুর রহমান তালুকদার জানান, ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীদের জন্য ১২ বেডের আলাদা একটি ওয়ার্ড খোলা হয়েছে। এ ওয়ার্ডের রোগীদের সার্বক্ষণিক সেবা ও খোঁজখবর রাখতে একটি উচ্চপর্যায়ের উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন ডেঙ্গু প্রতিরোধ ব্যবস্থাপনায় ৭ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে।

কুমিল্লা : স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেন, ডেঙ্গু রোগ এবং বন্যায় আক্রান্ত মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে সরকার। এর মধ্যে এডিস মশা এবং ডেঙ্গু রোগ নিয়ন্ত্রণে সরকার চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছে। গতকাল কুমিল্লার কোটবাড়িতে বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন একাডেমির ৫২তম বার্ষিক পরিকল্পনা সম্মেলনের উদ্বোধন শেষে তিনি এসব কথা বলেন।

সুনামগঞ্জ : সুনামগঞ্জে ডেঙ্গেু জ্বরে আক্রান্ত দুজন রোগী শনাক্ত হয়েছেন। চিকিৎসকদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, দুজন ডেঙ্গু রোগীই ঢাকা থেকে আক্রান্ত হয়ে সুনামগঞ্জে এসেছেন।

বরিশাল : বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেলে ডেঙ্গু আক্রান্ত ২৬ জন রোগী ভর্তি হয়েছেন। এখন পর্যন্ত ১২ জন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ রোগের প্রাথমিক উপসর্গ দেখামাত্র চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন শেরেবাংলা মেডিকেলের পরিচালক ডা. বাকির হোসেন।

সর্বশেষ খবর