রবিবার, ২৮ জুলাই, ২০১৯ ০০:০০ টা

প্রিয়া সাহার বিষয়ে কঠোর না হওয়ার নীতিতে সরকার

কূটনৈতিক প্রতিবেদক

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে নালিশ জানিয়ে বিতর্কিত প্রিয়া সাহার বিষয়ে কঠোর না হওয়ার নীতি নিয়েছে সরকার। মূলত বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিপক্ষীয় সুসম্পর্ক বিবেচনায় নিয়েই এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি বাংলাদেশে অভ্যন্তরীণ গোষ্ঠীগত কোনো সংকট যেন তৈরি না হয় সেটাও চিন্তায় রেখেছে সরকার। ইতিমধ্যেই হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের বহিষ্কৃত নেত্রী প্রিয়া সাহার বিষয়ে কঠোর না হওয়ার সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়েছে মার্কিন প্রশাসনকে। কূটনৈতিক সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন গতকাল সিলেটে বলেছেন, প্রিয়া সাহার বক্তব্য ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। যার কারণে তার ব্যাপারে হুট করে সরকার কোনো সিদ্ধান্ত নেবে না। এ ক্ষেত্রে তার বক্তব্যের প্রেক্ষাপট বিবেচনা করা হবে। এর আগে বুধবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী যুক্তরাষ্ট্র থেকে ঢাকায় ফিরে বলেছেন, তার ধারণা, সরকার বিষয়টি উপেক্ষা করবে। কারণ, দেশে অনেকে অনেক কিছু বলে, কিন্তু এর জন্য তাদের হয়রানি করা হয় না। ঢাকার পররাষ্ট্র দফতরের এক কর্মকর্তা বলেছেন, আমরা যুক্তরাষ্ট্র সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি এবং আমাদের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে এই বিষয়টিতে আমরা জটিলতা সৃষ্টি করতে দেব না। আমাদের আরও অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজ আছে। তিনি বলেন, প্রান্তিক ও পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকে সহায়তা দেওয়ার জন্য ইতিবাচক নীতি অনুসরণ করছে বর্তমান সরকার। এ কারণে এখন আগের থেকে অনেক বেশি নারী বা সংখ্যালঘু ব্যক্তি সচিব হচ্ছেন এবং এই পদমর্যাদা তাদের সম্প্রদায়ের জন্য একটি নিরাপত্তা হিসেবেও কাজ করে। এ ছাড়া ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর জন্য বুয়েট বা মেডিকেল কলেজগুলোয় সংরক্ষিত আসন আছে এবং এর মাধ্যমে তারা দেশের সবচেয়ে ভালো প্রতিষ্ঠানগুলোয় পড়ার সুযোগ পায়। সংখ্যালঘু ও পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর জন্য এগুলো হচ্ছে সরকারের অ্যাফারমেটিভ অ্যাকশন এবং এই প্রেক্ষাপটে প্রিয়া সাহার বক্তব্য ঠিক নয়। যদিও প্রিয়া সাহার হোয়াইট হাউসে যাওয়াটা কোনো দুর্ঘটনা নয়। এটা আমরা বুঝি, কিন্তু বিষয়টি উপেক্ষা করব। প্রিয়া সাহা ১৯ জুলাই হোয়াইট হাউসে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে নিজেকে বাংলাদেশি পরিচয় দিয়ে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের রক্ষা করার জন্য ট্রাম্পের হস্তক্ষেপ কামনা করেন। তিনি দাবি করেন, বাংলাদেশ থেকে ৩ কোটি ৭০ লাখ সংখ্যালঘু নিখোঁজ হয়ে গেছে।

সর্বশেষ খবর