রবিবার, ২৮ জুলাই, ২০১৯ ০০:০০ টা

বন্যা-ডেঙ্গু মোকাবিলায় সরকার ব্যর্থ

লালমনিরহাট প্রতিনিধি

বন্যা-ডেঙ্গু মোকাবিলায় সরকার ব্যর্থ

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সরকার দেশের ভয়াবহ বন্যা আর ডেঙ্গু পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে পারেনি। দেশ আজ ডেঙ্গু ও বন্যায় কাঁপছে। আক্রান্ত এসব মানুষকে রক্ষায় সম্পূর্ণ ব্যর্থ শেখ হাসিনা সরকারের দ্রুত পদত্যাগ করে অবিলম্বে নতুন নির্বাচন দেওয়া উচিত। গতকাল লালমনিরহাটের হাতিবান্ধায় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মধ্যে ত্রাণ বিতরণের সময় তিনি এসব কথা বলেন। মির্জা ফখরুল বলেন, সরকার ডেঙ্গু দমনে ব্যর্থ হয়ে ছেলেধরা গুজবের মতো ডেঙ্গু রোগকেও গুজব বলছে। ডেঙ্গুতে মানুষ মরছে আর সরকারি দলের নেতারা বলছেন, এটা নাকি বিএনপির ষড়যন্ত্র। তিনি বলেন, ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত মানুষের জন্য কোনো পদক্ষেপ নেয়নি সরকার। এ পর্যন্ত দুজন চিকিৎসক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। তারা কোনো পদক্ষেপ না নিয়ে ডেঙ্গুকে বলছেন গুজব। এই দেশে কোনো আইনের শাসন নেই। এই সরকার রাষ্ট্রক্ষমতার লোভে সাধারণ মানুষের সব অধিকার হরণ করেছে। সময় থাকতে এই পার্লামেন্ট ভেঙে দিয়ে নতুন নির্বাচনের দাবি জানান তিনি। মির্জা ফখরুল বলেন, সারা দেশের বন্যার্ত মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে ত্রাণ বিতরণ করার কাজ সরকারের। কিন্তু সরকার সেখানেও ব্যর্থ। অসহায় মানুষের পাশে নেই সরকার। দেশের প্রধানমন্ত্রী আজ দেশের বাইরে। তিনি বলেন, দেশের আইনশৃঙ্খলা ভেঙে গেলে ছেলেধরা আতঙ্ক থাকবেই। প্রশাসন শুধু বিএনপি নিধনেই ব্যস্ত। সাধারণ মানুষকে নিরাপত্তা দিতে পারে না। তাই দেশে ছেলেধরা আতঙ্ক বিরাজ করছে। বিএনপি মহাসচিব বলেন, বন্যার্ত এলাকাগুলোতে ভয়াবহ ত্রাণ সংকট দেখা দিলেও সরকারের মন্ত্রী ও এমপিদের দেখা নেই। তারা ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে না দাঁড়িয়ে লুটপাটে ব্যস্ত। মির্জা ফখরুল বলেন, ‘শত কষ্টের মাঝে আজ ত্রাণ নিয়ে হাজির হয়েছি। আজ যদি দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া কারাগারে না থাকতেন, তাহলে তিনি আপনাদের মাঝে এসে ত্রাণ বিতরণ করতেন।’ তিনি বলেন, সম্পূর্ণ মিথ্যা মামলায় বেআইনিভাবে তাকে (খালেদা জিয়া) ১৮ মাস ধরে আটক রাখা হয়েছে।

 এখন তিনি অত্যন্ত অসুস্থ। তার ডায়াবেটিস। অসুস্থ অবস্থায় তিনি সঠিক চিকিৎসা পর্যন্ত পাচ্ছেন না। সরকারই তাকে জোর করে আটকে রাখছে।

দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে নেতা-কর্মীদের ভেদাভেদ ভুলে সংগঠিত হয়ে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বানও জানান ফখরুল।

ত্রাণ বিতরণে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল মাহমুদ টুকু, যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও জেলা বিএনপির সভাপতি অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলু, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হাফিজুর রহমান বাবলা, ব্যারিস্টার হাসান রাজীব প্রধান, রোকন উদ্দিন বাবুল প্রমুখ। পরে মির্জা ফখরুল লালমনিরহাট সদর উপজেলার খুনিয়াগাছ ইউনিয়নের বন্যার্ত পরিবারের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ করেন।

সর্বশেষ খবর