বুধবার, ৩১ জুলাই, ২০১৯ ০০:০০ টা

ভিআইপি প্রথা অসাংবিধানিক

নিজস্ব প্রতিবেদক

ভিআইপি প্রথা অসাংবিধানিক

ইফতেখারুজ্জামান

ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেছেন, বাংলাদেশে ভিআইপি প্রথা সম্পূর্ণ অসাংবিধানিক। বিবিসি বাংলাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, মাওয়া ফেরিঘাটে ছাত্র মারা যাওয়ার ঘটনা ভিআইপি হিসেবে তাদের বিশেষ সুবিধা অর্জনের নামে অসাংবিধানিক, সম্পূর্ণভাবে অবৈধ, বৈষম্যমূলক এবং একই সঙ্গে অনৈতিক ও অমানবিক দৃষ্টান্ত। আমাদের সংবিধানে পরিষ্কারভাবে সব নাগরিকের সমান অধিকারের কথা বলা হয়েছে। এ ধরনের চর্চা সুস্পষ্টভাবে ক্ষমতার অপব্যবহার। ইফতেখারুজ্জামান বলেন, সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের তথাকথিত ভিআইপি সুবিধা রয়েছে। তবে সেই সুবিধার একটা সীমারেখা থাকতে হবে। তিনি বলেন, বাংলাদেশে যে ভিআইপি তার জন্য সুবিধার সীমারেখা রয়েছে। যারা ভিআইপি তাদের কার্যালয় নির্ধারিত, তাদেও চেয়ারটা নির্ধারিত, তাদের গাড়িটা নির্ধারিত, তাদের বাড়িটা নির্ধারিত। এ ধরনের সুযোগ-সুবিধা থাকবে। তবে জনগণের ব্যবহারযোগ্য যে সুযোগ-সুবিধা যেমন রাস্তাঘাট, তা তারা [ভিআইপি ব্যক্তিরা] দখল করে নেবেন বা বন্ধ কওে দেবেনথ- তা ভিআইপি আচরণ হতে পারে না। তিনি আরও বলেন, ভিআইপি হতে গেলে ভিআইপির সত্তাটা অর্জন করতে হয়। সেটা জোর করে আদায় করা যায় না। মানুষকে বিপদে ফেলে, জিম্মি করে ভিআইপি সুবিধা ভোগ করা কোনো অবস্থায় গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। তিনি বলেন, ভিআইপি সংস্কৃতির কারণে সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ সীমাহীন পর্যায়ে চলে গেছে।

কিছু দিন আগে, ভিআইপিরা দাবি তোলেন, রাস্তার একটা নির্ধারিত অংশ তাদের জন্য রাখতে হবে এবং বিমানবন্দরে তাদের নিরাপত্তা তল্লাশি করা যাবে না। ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ক্ষমতার এ ধরনের সীমাহীন অপব্যবহার কোনোভাবেই একটা গণতান্ত্রিক দেশে হতে পারে না। ভিআইপিদের সুনির্দিষ্টভাবে সীমারেখা চিহ্নিত থাকতে হবে যে, কোন কোন সুযোগ-সুবিধা তারা পাবেন আর কোন কোনটা পাবেন না। ভিআইপিদের বিশেষ সুবিধার বোঝাটা যেহেতু জনগণকেই শেষমেশ নিতে হয়, সেটা অর্থমূল্যে হোক কিংবা মানসিক জীবনের মূল্যে হোক, তাই তাদের মতামত নিতে হবে, তারা এই বোঝাটা নিতে চান কিনা।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর