বৃহস্পতিবার, ১ আগস্ট, ২০১৯ ০০:০০ টা

ডেঙ্গু ছড়িয়েছে ৬৪ জেলায়ই

জুলাই মাসে আক্রান্ত ১৫ হাজার, মৃত ৪৮

জয়শ্রী ভাদুড়ী

ডেঙ্গু ছড়িয়েছে ৬৪ জেলায়ই

দেশের ৬৪ জেলায়ই ছড়িয়ে পড়েছে ডেঙ্গুজ্বর। গতকাল শেষ জেলা নেত্রকোনাতেও ডেঙ্গু শনাক্ত হয়েছে। অন্য জেলাগুলোতে আগেই শনাক্ত হয়েছে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী। শুধু জুলাইয়ে আক্রান্ত হয়েছেন ১৪ হাজার ৯৯৬ জন। সারা দেশে মারা গেছেন ৪৮ জন। গতকালও ঢাকার বাইরে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ৪৬৫ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছেন।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের হেলথ ইমারজেন্সি অপারেশন্স সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের দেওয়া তথ্যানুযায়ী, সব মিলিয়ে ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১ হাজার ৪৭৭ জন। এ বছর ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়েছেন ১৭ হাজার ১৮৩ জন। সরকারি হিসাবে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা ১৪ জন বলা হলেও বাংলাদেশ প্রতিদিনের হিসাবে ৪৮ জনের ডেঙ্গুজ্বরে মৃত্যুর বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া গেছে। এর মধ্যে শুধু ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন ১১ জন। গতকাল ঢাকা মেডিকেলে কলেজ হাসপাতালে রবিউল ইসলাম রাব্বি নামে আরেক ডেঙ্গু রোগী মারা গেছেন। বেলা ১২টার দিকে হাসপাতালে নিয়ে এলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। রাব্বি মিরপুর শেওড়াপাড়ায় থাকতেন। তার বাবা আমিরুল ইসলাম জানান, দুই সন্তানের মধ্যে বড় রাব্বি। নয় দিন আগে তার জ্বর হয়। এরপর তিন দিন বাসায় ছিলেন। পরে তাকে কুর্মিটোলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কুর্মিটোলা হাসপাতালের আইসিইউতে তার অবস্থার অবনতি হলে গতকাল সকালে চিকিৎসকরা তাকে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে পাঠান। সেখান থেকে পরে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে এলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

গত মঙ্গলবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে ঢামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম নাসির উদ্দিন বলেন, ‘এ হাসপাতালে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন নয়জন।’ পরে আরও দুজন মারা গেছেন। কিন্তু স্বাস্থ্য অধিদফতরের কন্ট্রোল রুমের দেওয়া তথ্যে ঢাকা মেডিকেলে কোনো ডেঙ্গু আক্রান্তের মৃত্যুর তথ্য নেই। রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর) এ তথ্য কন্ট্রোল রুমকে সরবরাহ করেছে।

সরকারি-বেসরকারি হিসাবের এই পার্থক্যের ব্যাপারে অধ্যাপক আইইডিসিআর ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, ‘হাসপাতাল যে টেস্ট করে এই ফলাফল দেয় সেটাকে স্ক্রিনিং টেস্ট কিংবা র‌্যাপিড টেস্ট বলা হয়। এতে ৫ শতাংশ ফলস পজিটিভ ফলস নেগেটিভ হতে পারে। কিন্তু আমরা অত্যাধুনিক প্রযুক্তিতে সবকিছু যাচাই-বাছাই করে তারপর তথ্য দিই। যেমন হবিগঞ্জের সিভিল সার্জন যিনি মারা গেলেন তার রক্তের নমুনা কোথাও পাওয়া যাচ্ছে না। তিনি কোনো হাসপাতালে ভর্তি হননি কিংবা আগে কোথাও টেস্টও করাননি। এ রকম অনেকের মৃত্যু ডেঙ্গুতেই কিনা তা শনাক্ত করতে সমস্যায় পড়তে হয়।’ তিনি আরও বলেন, ‘২০টি কেস রিভিউ করে আমরা ১৪টিতে মৃত্যুর কারণ হিসাবে পেয়েছি।’

জুন-জুলাইয়ে ডেঙ্গুর মৌসুম শুরু হয়ে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত থাকে। জুলাই থেকে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে থাকে। বেশি থাকে আগস্ট থেকে সেপ্টেম্বরে। এ বছর জুলাইয়েই আক্রান্তের ক্ষেত্রে আগের রেকর্ড ছাড়িয়েছে ডেঙ্গু। এর মধ্যে প্রাক-মৌসুমের চেয়ে ৬ গুণ বেশি এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গেছে স্বাস্থ্য অধিদফতরের সাম্প্রতিক জরিপে। তাই আগস্ট-সেপ্টেম্বরে আরও বাড়তে পারে আক্রান্তের সংখ্যা। এর মধ্যেই আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় ডেঙ্গু শনাক্তকরণ এনএস১ টেস্টে প্রয়োজনীয় কীটের সংকট তৈরি হয়েছে।

এ ব্যাপারে স্বাস্থ্য অধিদফতরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক সানিয়া তাহমিনা বলেন, ‘রোগীদের কথা মাথায় রেখে জরুরি ভিত্তিতে এক সপ্তাহের মধ্যে ৫০ হাজার কীট আমদানি করবে সরকার। এরপর আরও ১ লাখ কীট আমদানি করা হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘ডেঙ্গু প্রতিরোধের একমাত্র উপায় মশার উৎস ধ্বংস করা। উৎস বেশি থাকলে আক্রান্তের সংখ্যা আরও বাড়বে।’ ডেঙ্গুর মৌসুম সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। এরপর আক্রান্তের সংখ্যা কমতে থাকে। এর মধ্যেই অনেক অসাধু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কীট মজুদ করে কৃত্রিম সংকট তৈরির চেষ্টা করছে; যাতে সংকটে দাম বাড়িয়ে অতিরিক্ত মুনাফা তৈরি করা যায়। গতকাল রাজধানীর উত্তরায় বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, উত্তরা ও আশপাশ এলাকার অনেক মানুষ এসেছে গায়ে জ্বর নিয়ে। কাউন্টারে দায়িত্বরত ব্যক্তি সমস্যা শুনে ডেঙ্গুর লক্ষণ মনে হলে এই হাসপাতালে টেস্ট হবে না বলে জানাচ্ছেন। এই সঙ্গে বেসরকারি ডায়াগনস্টিক ল্যাবএইডে যাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন।

এ ব্যাপারে সানিয়া তাহমিনা বলেন, ‘ডেঙ্গুর এই পরিস্থিতি ঘিরে কেউ ব্যবসা করবে তা আমরা হতে দেব না। আমাদের মনিটরিং সেল সব সময় কাজ করছে। এর মধ্যে অনেক হাসপাতাল-ক্লিনিককে জরিমানা করা হয়েছে। বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালের বিষয়টি আমরা দেখব।’ ঢাকার চারটি বিশেষায়িত হাসপাতাল ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্তদের জন্য বিনামূল্যে রক্ত থেকে প্লাটিলেট আলাদা করে দেবে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। হাসপাতালগুলো হলো- বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্স ও জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট।

গত ২৪ ঘণ্টায় সরকারি হিসাবে রাজধানীতে ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়েছেন ৯২৮ জন। এর বাইরে ঢাকা বিভাগে আক্রান্ত হয়েছেন ১১২, ময়মনসিংহ বিভাগে ৮০, চট্টগ্রাম বিভাগে ১০৬, খুলনা বিভাগে ১০৮, রাজশাহী বিভাগে ৬১, রংপুর বিভাগে ৩১, বরিশাল বিভাগে ২২, সিলেট বিভাগে ২৯ জন।

আমাদের নিজস্ব প্রতিবেদক ও প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর-

নড়াইল : নড়াইলে ডেঙ্গুজ¦রে আক্রান্ত হয়ে আটজন নড়াইল সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) মশিউর রহমান বাবু বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, গতকাল পর্যন্ত এ হাসপাতালে তিন শিশুসহ আটজন ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছেন।

ময়মনসিংহ : ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছেন আরও ৬৩ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৪৩, মহিলা ১১ ও শিশু ৯ জন। এর আগের দিন ভর্তি হয়েছিলেন ৬৬ জন। সব মিলিয়ে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এখন পর্যন্ত চিকিৎসাধীন আছেন ১৫৩ জন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া : ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ২৮ জন ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে ১৯ জনকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ছাড়া বাঞ্ছারামপুরে অজ্ঞাত রোগে আক্রান্ত তিনজন ঢাকায় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।

বগুড়া : বগুড়ায় গতকাল সরকারিভাবে ৬৩ জন রোগীকে ভর্তি রেখে চিকিৎসার বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। এ ছাড়া সুস্থ হয়ে ছাড়পত্র নিয়েছেন আরও ৩৫ জন। এ নিয়ে মোট ৯৮ জন ডেঙ্গু রোগীর খবর পাওয়া গেছে।

দিনাজপুর : দিনাজপুর এম আবদুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। ২৪ ঘণ্টায় বেড়ে রোগীর সংখ্যা দ্বিগুণ হয়েছে। আরও ১৮ জন নতুন রোগী ভর্তি হয়েছেন। এ নিয়ে হাসপাতালে গতকাল শিশুসহ ৩৩ জন রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছেন বলে জানান জেলা সিভিল সার্জন ডা. আবদুল কুদ্দুস।

খাগড়াছড়ি : মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত খাগড়াছড়ি সদর আধুনিক হাসপাতালে ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়ে নটর ডেম কলেজের শিক্ষার্থীসহ ছয়জন ভর্তি হয়েছেন। তবে চিকিৎসা নিয়ে তিনজন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন।

চুয়াডাঙ্গা : ২৪ ঘণ্টার মধ্যে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন চারজন নতুন ডেঙ্গু রোগী। চুয়াডাঙ্গা হাসপাতালে আসা সব ডেঙ্গু রোগীই ঢাকা থেকে এসে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি হন। এ নিয়ে গতকাল পর্যন্ত হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন ১৩ ডেঙ্গু রোগী।

রাজশাহী : রাজশাহীতে ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ১৯ জন ডেঙ্গু রোগী রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। মঙ্গলবার পর্যন্ত হাসপাতালে ৪২ জন রোগী চিকিৎসাধীন ছিলেন। তবে চিকিৎসা নিয়ে ফিরে গেছেন ২৩ জন। ফলে এখন চিকিৎসাধীন ৩৭ জন।

রংপুর : রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতালে ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত ৫৮ রোগী ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে রংপুরে স্থানীয়ভাবে আক্রান্তের শিকার ছয়জনও ভর্তি হয়েছেন। এদিকে প্রতিদিনই বাড়ছে রোগীর সংখ্যা। গত ১০ দিনে রংপুর বিভাগের আট জেলায় ৯৩ জন ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন বলে জানিয়েছে বিভাগীয় স্বাস্থ্য কর্মকর্তার কার্যালয়।

শেরপুর : শেরপুর জেলা হাসপাতালে গতকাল দুপুর ১২টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় আরও চার ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছেন। এ নিয়ে জেলায় ২১ ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছেন। এর মধ্যে বর্তমানে জেলা হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন ১১ জন।

সিরাজগঞ্জ : সরকারি হিসাবে সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতলে ১৯ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন। আর বেসরকারি হাসপাতালে আরও ১৪ জন রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন। এর মধ্যে একজন সিরাজগঞ্জে এডিস মশার কামড়ে ডেঙ্গু আক্রান্ত। বাকি সবাই ঢাকায় আক্রান্ত হয়েছেন।

নওগাঁ : নওগাঁ সদর হাসপাতালে গতকাল একজনসহ গত পাঁচ দিনে ১১ জন ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে তিনজনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। বাকি আটজন নওগাঁ সদর হাসপাতালে বর্তমানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

নরসিংদী : গত দুই দিনে শুধু সরকারি হাসপাতালেই ভর্তি হয়েছেন ২০ জন রোগী। ফলে ডেঙ্গু আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ছে জেলাজুড়ে।

নেত্রকোনা : ঢাকা থেকে আসা জ্বরে আক্রান্ত চার ডেঙ্গু রোগীর খোঁজ মিলেছে নেত্রকোনায়। তৎক্ষণাৎ তাদের ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তবে স্থানীয়ভাবে এ পর্যন্ত ডেঙ্গুজ্বরের রোগী এখনো পাওয়া যায়নি।

খুলনা : খুলনা জেলায় গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত ২৬ জন রোগী বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। বর্তমানে এখানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৬৩ জন। এর মধ্যে উন্নত চিকিৎসার জন্য দুজনকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। খুলনায় এ পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ১০৮। এর মধ্যে ৪৫ জন চিকিৎসার পর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। খুলনা সিভিল সার্জন অফিসসূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

বাগেরহাট : বাগেরহাটে আটজনের শরীরে ডেঙ্গু রোগের উপস্থিতি শনাক্ত করেছে স্বাস্থ্য বিভাগ। গতকাল সকাল পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে বাগেরহাট সদর হাসপাতালে আটজন চিকিৎসা নিতে আসেন। এর মধ্যে একজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকি সাতজনের মধ্যে চারজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাড়ি পাঠানো হয় এবং অন্য তিনজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ।

টাঙ্গাইল : ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চে কর্মরত এসআই কোহিনুরের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। গতকাল জোহরের নামাজের পর টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরের অর্জুনা গ্রামে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। এর আগে সকালে রাজারবাগ পুলিশ লাইনসে প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।

শরীয়তপুর : ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার জব্বার আকনকান্দি গ্রামের বর্ষা আক্তার (২৮) মঙ্গলবার রাতে ঢাকার একটি হাসপাতালে মারা গেছেন। তিনি স্থানীয় শাহেদ আলী মাদবরকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা ছিলেন। এ ছাড়া ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়ে নারায়ণগঞ্জের সিনিয়র পুলিশ সুপার আফসার উদ্দিন, বরগুনা হাসপাতালে ২৫ জন, গোপালগঞ্জ হাসপাতালে আটজন, নড়াইল হাসপাতালে আটজন ভর্তি হয়েছেন।

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর