স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, ডেঙ্গুতে এ পর্যন্ত কতজন মারা গেছেন এর সঠিক কোনো তথ্য তার কাছে নেই। তিনি বলেন, ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে সারা দেশে এ পর্যন্ত মোট কতজন মারা গেছেন, এর সঠিক হিসাব এখন দেওয়া সম্ভব নয়। খোঁজখবর নিয়ে পরে জানানো হবে। গতকাল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) ডেঙ্গুতে আক্রান্তদের দেখতে গিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বিশ্বের কয়েকটি দেশের তুলনায় আমাদের দেশে মৃত্যুর সংখ্যা খুবই কম। সরকারি হিসাবে এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। তবে এটি আরেকটু বাড়তে পারে। আমরা আজ (শনিবার) পাঁচ-সাতটি হাসপাতাল পরিদর্শন করব। এ বিষয়ে সব শেষ যে তথ্য আসবে, তা আপনাদের জানাব। এ মুহূর্তে আমাদের হাতে সঠিক তথ্য নেই।’
তিনি বলেন, সারা দেশে এখন পর্যন্ত ১৬০০ থেকে ১৭০০ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছে। তিন-চার দিন ধরে একই হার রয়েছে। রোগীর সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে না। বিএসএমএমইউ পরিদর্শনকালে মন্ত্রী ছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া, স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ অন্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এদিকে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর বক্তব্যের বিষয়ে জানতে চাইলে মন্ত্রিপরিষদের সাবেক সচিব আলী ইমাম মজুমদার গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ‘সঠিক তথ্য নেই এটা তিনি বলতে পারেন না। তার কাছে সঠিক তথ্য থাকা উচিত।’ তিনি বলেন, ‘তার এমন বক্তব্য সরকারের জন্য বিব্রতকর।’
এর আগে ডেঙ্গু পরিস্থিতি যখন ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে তখন ২৭ জুলাই হঠাৎ করেই স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক মালয়েশিয়ায় যান। তার বিদেশ সফর নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তোলপাড় হলে মন্ত্রী ৩১ জুলাই রাতে দেশে ফিরে আসেন। পরদিন ১ আগস্ট ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে তার বক্তব্য রাখার কথা ছিল। কিন্তু ওই দিন দুপুরে পূর্বনির্ধারিত সেই সংবাদ সম্মেলন স্থগিত করা হয়। তবে ওই দিন দুপুরে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত ডেঙ্গুবিষয়ক আন্তমন্ত্রণালয় বৈঠকে মন্ত্রীর কাছে একজন সাংবাদিক তার বিদেশ সফর বিষয়ে প্রশ্ন করলে তিনি ধমকের সুরে ওই সাংবাদিককে থামিয়ে দেন। ওই অনুষ্ঠানেও সাংবাদিকরা ডেঙ্গুতে মৃত্যুর সংখ্যা জানতে চেয়েছিলেন। কিন্তু সেদিনও স্বাস্থ্যমন্ত্রী এ প্রশ্নের জবাব এড়িয়ে যান।