সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও ১৪ দলের মুখপাত্র মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, ‘আমি মন্ত্রী থাকাকালীন ডেঙ্গুর বিষয়ে আগাম সতর্কতা নিতাম। সিটি করপোরেশনকে ব্যবস্থা নিতে আগেভাগে তাগিদ দিতাম। এবার আগাম সতর্কতার পরও ডেঙ্গু মোকাবিলায় কার্যকর পদক্ষেপ না নেওয়ায় উদ্বেগজনক পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। দিন দিন পরিস্থিতি আরও অবনতির দিকে যাচ্ছে। এখন যুদ্ধকালীন মনোভাব নিয়ে ডেঙ্গু মোকাবিলায় ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে। এটা নিয়ে রাজনীতি করে লাভ নেই। অন্য রাজনৈতিক দলেরও যদি কোনো পরামর্শ থাকে তা শুনতে হবে। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিতে হবে। দায়িত্বশীল ব্যক্তি হিসেবে ডেঙ্গু পরিস্থিতি মোকাবিলায় নেতৃত্ব দিতে হবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও জনপ্রশাসন মন্ত্রীকে।’ গতকাল মুঠোফোনে বাংলাদেশ প্রতিদিনকে তিনি এসব কথা বলেন। মোহাম্মদ নাসিম বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী বিদেশে বসেও সার্বক্ষণিক ডেঙ্গু পরিস্থিতির খোঁজ রাখছেন। আর যারা এর জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত, তাদের ছুটিছাটার কথা ভাবলে হবে না। স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও স্থানীয় সরকার মন্ত্রীকে নিজেদের অফিসকে কন্ট্রোল রুম বানিয়ে ডেঙ্গু পরিস্থিতি মোকাবিলায় সার্বক্ষণিক নজরদারি করতে হবে। স্থানীয় প্রশাসন ও স্বাস্থ্য খাতের সব কর্মকর্তা-কর্মচারীকে কাজে লাগাতে হবে। প্রয়োজনে সেনাবাহিনী ও বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দক্ষ জনবলকে কাজে লাগাতে হবে। কারণ তাদের সহযোগিতায় অতীতে আমরা অনেক বড় বড় দুর্যোগ মোকাবিলায় সক্ষম হয়েছি। সারা দেশে ডেঙ্গু যেভাবে ছড়িয়ে পড়েছে, তাতে এখনই সামাল দিতে না পারলে পরিস্থিতির ভয়াবহ অবনতি ঘটবে। কার্যকর ওষুধ ছিটাতে হবে। আমি স্বাস্থ্যমন্ত্রী থাকাকালীন সিটি করপোরেশনকে বলেছি, মশার ওষুধে কাজ হয় না। কেন তারা আজও এই ওষুধ বদলাল না তা বুঝতে পারছি না।’ সাবেক এই স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ডেঙ্গু মোকাবিলায় আরও আগে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও সিটি করপোরেশনের পদক্ষেপ নেওয়া দরকার ছিল। মানুষ ঈদে বাড়ি যাবে। ডেঙ্গু সারা দেশে ব্যাপক হারে ছড়িয়ে পড়ার শঙ্কা রয়েছে। কিন্তু স্থানীয় পর্যায়ের হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলো স্বয়ংসম্পূর্ণ নয়। এখনই জরুরি ভিত্তিতে সারা দেশের হাসপাতালগুলোয় ডেঙ্গু চিকিৎসার প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম সরবরাহ করতে হবে। সব শক্তি নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়লে এক-দুই সপ্তাহে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব। অন্যথায় পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে যাবে। শুধু লোক দেখানো পরিচ্ছন্নতা অভিযান চালালে হবে না, এডিস মশা নিধনে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।’