সোমবার, ৫ আগস্ট, ২০১৯ ০০:০০ টা

মুক্তিযুদ্ধের সময়ও এত অসহায় ছিলাম না : ফখরুল

নিজস্ব প্রতিবেদক

মুক্তিযুদ্ধের সময়ও এত অসহায় ছিলাম না : ফখরুল

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ডেঙ্গুতে কতজন মারা গেছেন আমাদের স্বাস্থ্যমন্ত্রী তা বলতে পারবেন না। ডেঙ্গু যখন চরম আকার ধারণ করেছে তখন তিনি বললেন, এডিস মশা রোহিঙ্গাদের মতো। কত বড় অমানবিক হলে, কত বড় অমানুষ হলে এ ধরনের কথা আমরা একজন মন্ত্রীর মুখে শুনতে পাই।

গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবে ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব)-এর ৩০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপি মহাসচিব বলেন, স্বাস্থ্যমন্ত্রী যখন মালয়েশিয়া গেলেন, পত্র-পত্রিকায় দেখলাম তিনি ব্যক্তিগত কারণে গেছেন। ফিরে আসার পর বলেছেন, তিনি জানেন না ডেঙ্গুতে কতজন মারা গেছেন। বলছেন, ১৬০০ থেকে ১৭০০ আক্রান্ত হয়েছেন। ডেঙ্গু প্রতিরোধে অকার্যকর ওষুধ আমদানি করা হচ্ছে অভিযোগ করে মির্জা ফখরুল বলেন, মশা মারার ওষুধ কার্যকর হচ্ছে না। হবে কোথা থেকে, যে দুর্নীতি তারা করে তাতে তো কার্যকর হওয়ার কথা নয়। এখন নতুন ওষুধ আনবে, সেখানে আরও দুর্নীতি হবে। দুটি ওষুধ নিষিদ্ধ করা হয়েছে, থাইল্যান্ড থেকে সে দুটি ওষুধ নাকি আনা হচ্ছে। কলকাতার ডেপুটি মেয়রকে তাদের কনসালটেন্সির জন্য আমদানি করছে। এখন এ অবস্থা যে হীরক রাজার দেশের চেয়েও অধম হয়ে গেছে। সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, সময় শেষ হওয়ার আগেই এ পার্লামেন্ট বাতিল করুন। এ নির্বাচন বাতিল করুন এবং নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে একটি নিরপেক্ষ নির্বাচনের ব্যবস্থা করুন। অন্যথায় এ দেশের জনগণ জানে কীভাবে এ ধরনের সরকারকে পরাজিত করতে হয়। মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা অত্যন্ত কঠিন সময়ে বাস করছি। এত বড় কঠিন সময় বাংলাদেশে আর কখনো আসেনি। ১৯৭১ সালে যখন মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয় এর আগের মুহূর্তেও এত অসহায় বোধ করিনি। তখন জনগণের সামনে একটি শক্তি ছিল, জনগণের মধ্যে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐক্য ছিল। এখন মনে হয়, সব কিছু ভেঙে তছনছ করে দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, আজকে ভিন্ন আঙ্গিকে গণতন্ত্রের একটা লেবাস পরিয়ে আবার একদলীয় শাসন ব্যবস্থা চালু করেছে। এ অবস্থায় যখন আমাদের সব অর্জন ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে, যখন আমাদের সব পথ বন্ধ হয়ে যাচ্ছে, তখন আমরা কী করতে পারি? আমরা যেটা করতে পারি তা করতে চেষ্টা করছি। আমরা জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করার চেষ্টা করছি। একমাত্র জনগণই পারে দেশকে, রাষ্ট্রকে মুক্তি দিতে। আমরা যদি আজকে জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করতে পারি, জনগণের উত্তাল তরঙ্গ সৃষ্টি করতে পারি, তাহলে নিঃসন্দেহে সরকার পরাজিত হবে।

সর্বশেষ খবর