শনিবার, ১০ আগস্ট, ২০১৯ ০০:০০ টা

খালেদা জিয়া গুরুতর অসুস্থ : রিজভী

নিজস্ব প্রতিবেদক

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ বলেছেন, বিএসএমএমইউতে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার ডায়াবেটিসের মাত্রা নিয়ন্ত্রণহীন। অন্যান্য রোগ-ব্যাধিও মারাত্মকভাবে বেড়ে গেছে। তার সার্বিক শারীরিক অবস্থা উদ্বেগজনক। এ অবস্থায় উন্নত ও সুচিকিৎসার জন্য ঈদের আগেই তাকে মুক্তি দিন।

শুক্রবার বিকালে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি সরকারের প্রতি এই দাবি জানান। এ সময় দলের ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেন, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। সংবাদ সম্মেলনে প্রাণঘাতী ডেঙ্গুর বিস্তার নিয়ে স্থানীয় সরকার প্রতিমন্ত্রীর বক্তব্যকে ‘টক অব দ্য সেঞ্চুরি’ আখ্যা দিয়েছেন রুহুল কবির রিজভী আহমেদ। বিএনপির এই সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব বলেন, প্রতিমন্ত্রীর এহেন বক্তব্য শুনে একে ‘টক অব দ্য সেঞ্চুরি’ বলব নাকি ‘শক অব দ্য সেঞ্চুরি’ বলব- এ নিয়ে আমি এবং সমগ্র দেশের মানুষও দ্বিধায় পড়ে গেছেন। কী বলব? মধ্য রাতের নির্বাচনে গঠিত মন্ত্রিসভায় এডিস মশা বিস্তারের মতো গবুচন্দ্র মন্ত্রীদেরও বিস্তার ঘটেছে। তিনি বলেন, দেশব্যাপী যেমন এডিস মশার বিস্তারে কোনো বিরতি দেখা যাচ্ছে না, ঠিক তেমনি গবুচন্দ্র মন্ত্রীদেরও হাসি-তামাশা উদ্রেককারী কথা-বার্তার কমতি দেখা যাচ্ছে না। রিজভী আহমেদ প্রশ্ন রেখে বলেন, দেশ উন্নত হলে যদি প্রকোপ বৃদ্ধি পায় তাহলে লন্ডন, নিউইয়র্ক, প্যারিস, ডেনমার্ক- এসব বড় বড় উন্নত দেশে ডেঙ্গুজ্বরে অথবা ম্যালেরিয়ায় অথবা কলেরায় পাড়া-মহল্লায় মানুষ মরে সাফ হয়ে যেত। আমরা তো সেটা দেখিনি। ডেঙ্গু নিরসনে সরকারের ব্যর্থতার কঠোর সমালোচনা করে রিজভী আহমেদ বলেন, ডেঙ্গু রোগীতে ছেয়ে গেছে সব হাসপাতাল। ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থেকেও রক্ত পরীক্ষা করতে পারছে না রোগীরা। কেউ কেউ অনেক কষ্টে রক্ত পরীক্ষা করেও রিপোর্ট পেতে হয়রানির শিকার হচ্ছেন।  যেদিন রিপোর্ট দেওয়ার কথা, সেদিন রিপোর্ট পাচ্ছেন না। মানুষকে বাঁচাতে তাদের (সরকার) কোনো দায়-দায়িত্ব নেই। তারা যেটি করছে সেটি হলো লোক দেখানো, মশা নিধনের নামে ক্যামেরা শুটিং।

সর্বশেষ খবর