শনিবার, ১৭ আগস্ট, ২০১৯ ০০:০০ টা

৩৫৪০ রোহিঙ্গাকে ফিরিয়ে নিতে চায় মিয়ানমার

প্রতিদিন ডেস্ক

আগামী ২২ আগস্ট বাংলাদেশে অবস্থানরত ৩ হাজার ৫৪০ রোহিঙ্গাকে স্বদেশে ফিরিয়ে নিতে চাইছে মিয়ামনমার। বাংলাদেশ থেকে পাঠানো ২২ হাজারের বেশি রোহিঙ্গার তালিকা থেকে মিয়ানমার এই ৩৫৪০ জনকে ফিরিয়ে নেওয়ার জন্য বাছাই করেছে। আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা রয়টার্স এ তথ্য জানিয়েছে।

মিয়ানমারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মিয়ান্ট থো জানিয়েছেন, আগামী ২২ আগস্ট বাছাই করা রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে সম্মত হয়েছেন তারা। বাংলাদেশের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা জানান, ছোট পরিসরে নতুন করে প্রত্যাবাসনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তবে কাউকে জোর করে ফেরত পাঠানো হবে না। বাংলাদেশ একটি নিরাপদ, স্বেচ্ছামূলক, মর্যাদাপূর্ণ ও টেকসই প্রত্যাবাসন ছাড়া আর কিছুই চায় না। উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের ২৫ আগস্টের পর থেকে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয় প্রায় সাড়ে সাত লাখ রোহিঙ্গা। এর আগে বিভিন্ন সময়ে আরও প্রায় পাঁচ লাখের বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকায় আশ্রয় নিয়ে আছে। রোহিঙ্গাদের ফেরত নেওয়ার ব্যাপারে রয়টার্স তাদের প্রতিবেদনে বলেছে, এক বছর আগে সফল না হওয়ার পর রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরুতে আগামী সপ্তাহেই নতুন একটি দিন ঠিক করেছে বাংলাদেশ ও মিয়ানমার। আগামী ২২ আগস্ট সাড়ে ৩ হাজার রোহিঙ্গাকে ফেরত নেওয়ার দিনক্ষণ ঠিক হয়েছে। তবে মিয়ানমার সরকারের পক্ষ থেকে আদিবাসী জনগোষ্ঠী ও নাগরিকত্বের স্বীকৃতির নিশ্চয়তা না পেলে রোহিঙ্গারা যেতে না চায় না বলে এই দফার চেষ্টা ফলপ্রসূ হবে কি না, তা এখনো অনিশ্চিত। রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানোর বিষয়ে মিয়ানমারকে চাপ দিয়ে এলেও বাংলাদেশ এটাও বলেছে, ইচ্ছার বিরুদ্ধে কোনো রোহিঙ্গাকে ফেরত পাঠানো হবে না। প্রতিবেদন অনুযায়ী, তালিকা থেকে ৩ হাজার ৫৪০ জনকে নেওয়ার বিষয়ে মিয়ানমারের ছাড়পত্র মিলেছে। এখন এই রোহিঙ্গা রাজি হলেই তাদের ফেরত নেবে মিয়ানমার। মিয়ানমারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মিন্ট থু টেলিফোনে রয়টার্সকে বলেন, ‘আমরা ৩ হাজার ৫৪০ জনকে আগামী ২২ অগাস্ট ফেরত নিতে রাজি।’ এ বিষয়ে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেন, এটা প্রত্যাবাসনের ছোট আকারের একটি পরিকল্পনা। তবে রোহিঙ্গাদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে তাদের ফেরত পাঠানো হবে না বলে জানান নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই কর্মকর্তা। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ চায় রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া যেন স্বেচ্ছায়, নিরাপত্তা ও মর্যাদার সঙ্গে হয় এবং তা যেন টেকসই হয়।’

সর্বশেষ খবর