শনিবার, ১৭ আগস্ট, ২০১৯ ০০:০০ টা

খালেদা মুক্তির আন্দোলন করতে পারছে না বিএনপি : ফখরুল

নিজস্ব প্রতিবেদক

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, কারাবন্দী চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া মারাত্মক অসুস্থ। তাকে মুক্ত করার আন্দোলন বিএনপি করতে পারছে না। এটা আমাদের চরম দুর্ভাগ্য ও ব্যর্থতা। তার অভিযোগ, বিচার বিভাগকে করায়ত্ত করে বেগম খালেদা জিয়াকে আটকে রাখা হয়েছে।

শুক্রবার বেলা ১১টায় নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচতলায় দোয়া ও মিলাদ মাহফিলে বিএনপি মহাসচিব এসব কথা বলেন। বিএনপি চেয়ারপারসনের ৭৫তম জন্মদিন উপলক্ষে এবং তার কারামুক্তি, রোগমুক্তি ও দীর্ঘায়ু কামনা করে এ দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।

বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, আইন-আদালতের ভূমিকা কী তা আমরা জেনে গেছি। ইতিমধ্যেই গণতান্ত্রিক সব প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করা হয়েছে। তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করা হয়েছে বিচার বিভাগের। আজকে বিচার বিভাগের কোনো স্বাধীনতা নেই। এই অনির্বাচিত-জনবিচ্ছিন্ন সরকার বিচার বিভাগকে ব্যবহার করে এদেশের রাজনৈতিক কর্মীদের ওপর নিপীড়ন-নির্যাতন চালাচ্ছে। একইভাবে বেগম খালেদা জিয়াকে কারাগারে আটকে রেখেছে। দলীয় নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে মির্জা ফখরুল বলেন, আমাদের সুসংগঠিত হয়ে আন্দোলনের মাধ্যমে তাকে মুক্ত করতে হবে। এর কোনো বিকল্প নেই। আসুন এই দিনে তার দীর্ঘায়ু কামনা করে তার মুক্তির জন্য নিজেদের সংগঠিত ও আন্দোলন বেগবান করি। তার জন্মদিনে এটাই হোক আমাদের শপথ। তিনি আরও বলেন, সরকার পরিকল্পিতভাবে চামড়া শিল্পকে ধ্বংস করেছে। একসময় পাটশিল্পকে ধ্বংস করা হয়েছিল। আর আজকে চামড়া শিল্পকে ধ্বংস করা হয়েছে। বাংলাদেশকে পরনির্ভরশীল করার সুদূরপ্রসারী ষড়যন্ত্র ও চক্রান্তে এই সরকার বহুদূর এগিয়ে নিয়ে গেছে। অনুষ্ঠানে বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, নজরুল ইসলাম খান, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, সেলিমা রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান প্রফেসর ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, শওকত মাহমুদ, নিতাই রায় চৌধুরী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ, যুগ্ম-মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, হাবিব-উন নবী খান সোহেল, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ, যুবদল সভাপতি সাইফুল আলম নীরব, যুবদল উত্তরের সাধারণ সম্পাদক এস এম জাহাঙ্গীর, তাঁতী দল সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, শ্রমিক দল সভাপতি আনোয়ার হোসেইন, মহিলা দলের সাবেক সভাপতি নুরী আরা সাফা, সাবেক সাধারণ সম্পাদক শিরিন সুলতানা, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আবদুল কাদির ভূঁইয়া জুয়েল, ছাত্রদলের সাবেক দফতর সম্পাদক আবদুস সাত্তার পাটোয়ারী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন ওলামা দলের নেতা মাওলানা রফিকুল ইসলাম। মির্জা ফখরুল বলেন, কারাগারে যাওয়ার আগে খালেদা জিয়া বিদেশে ছিলেন। তিনি নাও আসতে পারতেন। কারণ তিনি জানতেন ফিরে এলেই মামলা চলবে এবং সরকার তাকে কারারুদ্ধ করবে। কিন্তু তিনি দেশে ফিরে এসেছেন, আদালতের সম্মুখে দাঁড়িয়েছেন। তিনি স্পষ্ট ভাষায় বলেছেন, আমি গণতন্ত্রের জন্য কাজ করছি এবং গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানের প্রতি সম্মান দেখিয়ে এখানে উপস্থিত হয়েছি। এ ছাড়া গতকাল সন্ধ্যায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয়েও তার রোগমুক্তি কামনা করে দোয়া ও মিলাদ-মাহফিলের আয়োজন করা হয়।

সর্বশেষ খবর