বৃহস্পতিবার, ২২ আগস্ট, ২০১৯ ০০:০০ টা

তারেকের সর্বোচ্চ শাস্তি হওয়া উচিত

নিজস্ব প্রতিবেদক

তারেকের সর্বোচ্চ শাস্তি হওয়া উচিত

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার মাস্টারমাইন্ড তারেক রহমানের সর্বোচ্চ শাস্তি হওয়া উচিত। এই ঘটনার মাস্টারমাইন্ডদের সর্বোচ্চ শাস্তির জন্য উচ্চ আদালতে যাওয়া হবে। গতকাল রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ের আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন। ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশে ইতিহাসের ভয়াবহ গ্রেনেড হামলার পঞ্চদশবার্ষিকীতে এই শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন দল ও সংগঠন এদিন দলীয় কার্যালয়ের সামনের স্থায়ী বেদিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণের মধ্য দিয়ে সেদিনের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। ওবায়দুল কাদের বলেন, এই গ্রেনেড হামলা মামলায় উচ্চ আদালতে যাওয়ার সুযোগ আছে। অবশ্যই উচ্চ আদালতে যাব। এই গ্রেনেড হামলার সঙ্গে জড়িত হরকাতুল জিহাদ নেতা মুফতি হান্নানের জবানবন্দিতেই আছে তারেক রহমানের নির্দেশ মেনেই তারা সেদিন অপারেশন চালিয়েছিল। এই হত্যাকান্ডের যেমন বিচার হয়েছে, এর মাস্টারমাইন্ডদেরও সর্বোচ্চ বিচার ও শাস্তি হতে হবে।

তিনি বলেন, সেদিন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী আজকের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ‘প্রাইম টার্গেট’ করে হামলা চালানো হয়েছিল। আল্লাহর রহমতে তিনি বেঁচে গেছেন। ১৫ আগস্ট হত্যাকান্ডের বিচার হয়েছে। শেখ হাসিনা যখন বেঁচে আছেন, তখন এই বাংলার মাটিতে ২১ আগস্ট হত্যাকান্ডেরও বিচার হবে। বাংলার মানুষ এর জন্য অপেক্ষা করে আছে। আজকের দিনে আমাদের শপথ- রাজনীতিতে সন্ত্রাস ও সাম্প্রদায়িকতা আমরা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মোকাবিলা করব। তিনি বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট আর ২০০৪ সালের ২১ আগস্টের হত্যাকা- একই সূত্রে গাঁথা। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে সরকারি ও বিরোধী দলের মধ্যে কর্ম সম্পর্ক থাকা দরকার। কিন্তু ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা চালিয়ে বিএনপি সেটা চিরদিনের জন্য শেষ করে দিয়েছে। এরপরও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়াকে গণভবনে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। খালেদা জিয়া সেদিন কী ব্যবহার করেছিলেন,  সেটা দেশের মানুষ জানে। খালেদা জিয়ার ছেলে মারা যাওয়ার পর শেখ হাসিনা পুত্রহারা মাকে সান্ত¡না দিতে তার বাড়িতে ছুটে গিয়েছিলেন। সেদিন প্রধানমন্ত্রীর মুখের ওপর দরজা বন্ধ করে দিয়ে এদেশের রাজনীতিতে সংলাপের দরজাও বন্ধ করে দিয়েছিল বিএনপি।

২১ আগস্টের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন : এর আগে সেখানে ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলায় শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়। প্রথমে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে স্থায়ী শহীদ বেদিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। এ সময় শহীদদের স্মরণে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। এরপর আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বে শ্রদ্ধা নিবেদনকালে আওয়ামী লীগ নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীর, মতিয়া চৌধুরী, অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন, মোহাম্মদ নাসিম, কাজী জাফরউল্লাহ, ড. আবদুর রাজ্জাক, মাহবুব-উল আলম হানিফ, অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক, আবদুর রহমান, আহমদ হোসেন, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, এ কে এম এনামুল হক শামীম, ড. হাছান মাহমুদ, অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন, সুজিত রায় নন্দী, ড. আবদুস সোবহান গোলাপ, ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, এস এম কামাল হোসেন প্রমুখ।

আওয়ামী লীগের পর ১৪ দলের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা জানান ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু, সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া প্রমুখ। একে একে আরও শ্রদ্ধা জানিয়েছে ওয়ার্কার্স পার্টি, জাসদ, সাম্যবাদী দল, ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ, জাতীয় শমিক লীগ, কৃষক লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, যুব মহিলা লীগ, ছাত্রলীগ, তাঁতী লীগ এবং স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদসহ আওয়ামী লীগের সহযোগী-ভ্রাতৃপ্রতিম ও বিভিন্ন সামাজিক-পেশাজীবী সংগঠন।

সর্বশেষ খবর