সোমবার, ২৬ আগস্ট, ২০১৯ ০০:০০ টা
উৎকণ্ঠা রোহিঙ্গা তৎপরতায়

দীর্ঘসূত্রতার কারণে হতাশা

-হুমায়ুন কবির

নিজস্ব প্রতিবেদক

দীর্ঘসূত্রতার কারণে হতাশা

‘রোহিঙ্গা নেতাদের দেওয়া সাম্প্রতিক বক্তব্যকে হতাশামূলক বিবেচনা করা যাবে না। বরং একে তাদের প্রত্যাবাসনে আন্তর্জাতিক মহলের ওপর রোহিঙ্গাদের চাপ সৃষ্টি করার উপায় হিসেবে দেখতে হবে।’ বাংলাদেশে আসার দুই বছর পূর্তি উপলক্ষে গতকাল কক্সবাজারে রোহিঙ্গাদের আয়োজনে অনুষ্ঠিত সমাবেশে তাদের নেতাদের বক্তব্যে হতাশার প্রতিফলন ঘটেছে। এ প্রসঙ্গে গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সাবেক রাষ্ট্রদূত হুমায়ুন কবির এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে আন্তর্জাতিক মহলের হেঁয়ালিপনায় রোহিঙ্গা নেতাদের বক্তব্যে হতাশা ফুটে উঠেছে। এই বক্তব্যকে বরং রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানের ধাপ হিসেবে দেখতে হবে। বলা যায়, রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানের দীর্ঘসূত্রতার কারণে ওই গোষ্ঠীর নেতাদের হতাশা তাদের বক্তব্যে উঠে এসেছে। হুমায়ুন কবির বলেন, রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠাতে দুই বছর ধরে বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। আর সে উদ্যোগ গ্রহণের প্রক্রিয়া দ্বিপক্ষীয় ও আন্তর্জাতিক উভয়ভাবেই হয়েছে। কয়েক দিন আগে রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে পাঠানোর জন্য যে আয়োজন করা হয়েছিল, তাতে রোহিঙ্গারা যথেষ্ট আস্থা ও স্বস্তি পায়নি বলেই তারা ফিরে যায়নি। কাজেই রোহিঙ্গাদের আস্থা, স্বস্তি ও নিরাপত্তা তৈরির দায়িত্ব মিয়ানমারের। এ কাজটা মিয়ানমারকেই করতে হবে। বাংলাদেশের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক মিডিয়া রোহিঙ্গাদের চাওয়া-পাওয়ার বিষয়টি যত শক্তিশালীভাবে উপস্থাপন করতে পারবে, মিয়ানমারের ওপর রোহিঙ্গা সমাধান ইস্যুতে তত বেশি চাপ বাড়বে। বাংলাদেশ ও বিশ্ব যদি রোহিঙ্গাদের ভুলে যায়, তাহলে মিয়ানমার আরও খুশি হবে। কাজেই গতকালের মহাসমাবেশ এবং এর আগে রোহিঙ্গাদের মুখ থেকে তাদের প্রয়োজনের কথাই উঠে এসেছে। একে আমি নেতিবাচক মনে করি না। বরং আমি মনে করি, রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের ব্যাপারে পৃথিবীকে আরও সজাগ করা এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দৃষ্টি তাদের ওপর ফেরানোর জন্য এ বক্তব্য ভূমিকা রাখতে পারে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর