আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ১৫ আগস্টের হত্যাকা- ও ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার পর দেশের রাজনীতিতে অভেদ্য দেয়াল গড়ে উঠেছে। এ দুটি ঘটনায় রাজনীতিতে পারস্পরিক সম্পর্কের অবনতি হয়েছে। এখন একদল আরেকদলের সামাজিক অনুষ্ঠানে পর্যন্ত যেতে বাধা পায়। জন্ম-মৃত্যুতেও যেতে পারে না। গতকাল নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় আয়োজিত জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। ওবায়দুল কাদের বলেন, হত্যাকারীদের যে সহযোগিতা করেছে আর যে পৃষ্ঠপোষকতা করছে- উভয়ই সমান অপরাধী। তাদের রক্ষা করার জন্য সংবিধানে পর্যন্ত আইন করা হয়েছে। সেই ইতিহাস আমরা কী করে ভুলে যাব? তিনি বলেন, ১৫ আগস্টের খুনিরা যদি পুরস্কৃত না হতো তাহলে জেনারেল জিয়াকেও আর একটি খুনি চক্র খুন করার দুঃসাহস পেত বলে আমার মনে হয় না। খুনিদের পুরস্কৃত করলেন, পুনর্বাসিত করলেন, বিচারের পথ রুদ্ধ করার জন্য আইন প্রণয়ন করলেন। হত্যা হত্যাকে ডেকে আনে। যে বুলেট শেখ হাসিনা শেখ রেহানাকে এতিম করেছে, সেই একই বুলেট খালেদা জিয়াকে বিধবা করেছে। পরিণতি কারও জন্য ভালো নয়। এই হত্যাকান্ডের রাজনীতির পরিণতি সবার জন্য খারাপ। শোক দিবসের আলোচনায় বক্তব্য রাখেন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতির চেয়ারম্যান শেখ কবির হোসেন, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান বেনজীর আহমেদসহ অনেকে।