মঙ্গলবার, ২৭ আগস্ট, ২০১৯ ০০:০০ টা

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় গ্রেফতারের ৮ ঘণ্টা পর আসামির মৃত্যু

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে গ্রেফতারের ৮ ঘণ্টা পর আসামির মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। তার নাম বাবুল মিয়া (৫৫)। তার ভাতিজা ছত্তর মিয়া অভিযোগ করে বলেন, ‘আমার চাচাকে গ্রেফতারের সময় পুলিশ কোনো পরোয়ানা দেখাতে পারেনি। তাকে ছাড়ার জন্য পুলিশ ৫০ হাজার টাকা উৎকোচ চেয়েছিল।’ তবে পুলিশের দাবি, তার বিরুদ্ধে একটি মামলার গ্রেফতারি পরোয়ানা রয়েছে।

স্থানীয় ও নিহতের পরিবারসূত্রে জানা গেছে, নাসিরনগর থানার এসআই শামীম রবিবার ১১টার দিকে উপজেলার কৈয়ারপুর গ্রামের বাজারের একটি কাঠের দোকান থেকে বাবুল মিয়াকে আটক করে একটি চায়ের দোকানে নিয়ে যান। এ সময় স্থানীয় লোকজন জানতে চান তার বিরুদ্ধে কোনো মামলা আছে কিনা। এসআই শামীম বলেন, ‘কোনো অভিযোগ নেই। নতুন মামলা দিমু। ৫০ হাজার টাকা লইয়া আয়। ছাইড়া দিমু।’ আপসরফা না হওয়ায় পরে তাকে থানায় নিয়ে যায়। পরে স্থানীয় কয়েকজন থানায় গিয়ে এসআই শামীমকে ৫ হাজার টাকা দেন। তবে শামীম আরও টাকা দাবি করতে থাকেন। এ সময় স্থানীয় লোকজন বাকি টাকা আনতে বাড়ি আসেন। থানায় নেওয়ার পর সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে বাবুল মিয়া বুকে ব্যথা অনুভব করলে তাকে নাসিরনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তার মৃত্যু হয়। নাসিরনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আরএমও শাহরিয়ার সোহেব বলেন, ‘হাসপাতালে আনার পর বুকের বাঁ পাশে ব্যথা অনুভব করছেন বলে জানান বাবুল। অক্সিজেনও দেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদর হাসপাতালে নেওয়ার জন্য অ্যাম্বুলেন্সে তোলার সময় তার মৃত্যু হয়। হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা যেতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।’

নাসিরনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাজেদুর রহমান বলেন, ‘তার ইসিজি ও বুকের এক্স-রে করানো হয়েছে। থানায় আনার পর তার সঙ্গে কথা বলার সুযোগ হয়নি।’ এসআই শামীম আহমেদ বলেন, ‘বাবুলের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা ছিল। আর গ্রেফতারি পরোয়ানাভুক্ত আসামিকে ছাড়ার কোনো সুযোগ নেই।’ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার মোহাম্মাদ আনিসুর রহমান বলেন, ‘তার মৃত্যুর ঘটনা তদন্ত করা হচ্ছে। টাকা নেওয়ার অভিযোগ আমার কাছে আসেনি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর