বুধবার, ২৮ আগস্ট, ২০১৯ ০০:০০ টা

প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীরা নীতি-নৈতিকতা মেনে চলতে বাধ্য

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীরা নীতি-নৈতিকতা মেনে চলতে বাধ্য

আলী ইমাম মজুমদার

সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব আলী ইমাম মজুমদার বলেছেন, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা নীতি-নৈতিকতা মেনে চলতে বাধ্য। তারা অনৈতিকতায় জড়িয়ে পড়লে প্রশাসন ও সরকার ভাবমূর্তি সংকটে পড়ে। এ কারণে তাদের জন্য আচরণবিধি করা আছে। তাতে আছে তারা কী করতে পারবে, কী পারবে না। আচরণবিধি ভঙ্গ করলে অপরাধ অনুযায়ী লঘুদ-ের পাশাপাশি ও চাকরিচ্যুতির মতো গুরুদ-ের বিধান রয়েছে। অপরাধ করলে শাস্তি তাকে পেতেই হবে। গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনকে মোবাইলফোনে এসব কথা বলেন তিনি। কোনো সরকারি দফতরের সর্বোচ্চ কর্তাব্যক্তির নিজ অফিসে অধস্তন সহকর্মীর সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন কত বড় অপরাধÑ এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, এটা অনেক বড় অপরাধ। এমন অপরাধের শাস্তি চাকরিচ্যুতি। তবে নিয়মানুযায়ী অভিযুক্তকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দিতে হবে। জামালপুরের ডিসির কর্মকা- প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কারও নাম ধরে বলতে চাই না। তবে এ ধরনের অপরাধের শাস্তি চাকরিচ্যুতি। তিনি বলেন, সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালায় বিভিন্ন অপরাধের জন্য শাস্তির ব্যবস্থা করা আছে। শাস্তিটা অবস্থাভেদে ভিন্ন ভিন্ন হয়। তিরস্কার থেকে শুরু করে বদলি, নিচের পদে নামিয়ে দেওয়া, বাধ্যতামূলক অবসর, চাকরি থেকে অপসারণ, বরখাস্তকরণসহ নানা শাস্তি রয়েছে। বরখাস্ত করা হলে তিনি সরকারের অধীন আর কোনো সংস্থায় চাকরি করতে পারবেন না। কোনো সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী অভদ্র আচরণ করলে হয়তো তাকে তিরস্কার করা হবে। তবে সরকারকে ভাবমূর্তি সংকটে ফেলে এমন গুরুতর অপরাধের ক্ষেত্রে তাকে গুরুদ- দেওয়ার বিধান রয়েছে। সাবেক এ আমলা বলেন, মাঠ থেকে শীর্ষ পর্যায় পর্যন্ত সবার জন্য একই আচরণবিধি। সবাই এটা মানতে বাধ্য। শীর্ষ পর্যায়ের কোনো কর্মকর্তা অনৈতিক কর্মকা-ে জড়িয়ে পড়লে অধস্তনদের মধ্যে এর অনেক খারাপ প্রভাব পড়ে। এটা শুধু ভাবমূর্তি সংকটই তৈরি করে না, এ ধরনের ঘটনা অন্যদেরও প্রভাবিত করে। জামালপুরের ডিসির ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠিত হয়েছে। ঘটনার ভিডিও আছে। এটা প্রাথমিক প্রমাণ। দোষী সাব্যস্ত হলে শাস্তি হবে। ভিডিও থাকার পরও দোষী প্রমাণিত হতে আর কী কী তথ্য-উপাত্ত প্রয়োজন- এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, এ ব্যাপারে তদন্ত কমিটি বলতে পারবে। তবে অভিযুক্তকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দিতে হবে। তদন্ত কমিটি সেখানে গিয়ে হয়তো খোঁজ নিয়ে দেখবে যে, সেখানে ওই ধরনের কোনো কক্ষ আছে কিনা, যে মেয়েটাকে জড়িয়ে কথা উঠেছে তার সঙ্গে অভিযুক্তের সম্পর্ক কেমন, কতদিনের মেলামেশা, মেয়েটির অন্যদের সঙ্গেও এমন সম্পর্ক আছে কিনা, এই ঘটনার পেছনে অন্য কোনো বিষয় জড়িত আছে কিনা ইত্যাদি। একটা অপরাধের অনেক দিক থাকে। সেগুলো খতিয়ে দেখে সংশ্লিষ্টরা সিদ্ধান্ত নেবেন।

সর্বশেষ খবর