বৃহস্পতিবার, ২৯ আগস্ট, ২০১৯ ০০:০০ টা

খেলাপিদের প্রতিনিধিরা নীতিনির্ধারক

-খোন্দকার ইব্রাহীম খালেদ

খেলাপিদের প্রতিনিধিরা নীতিনির্ধারক

দেশে ঋণখেলাপিদের প্রতিনিধিরা আর্থিক খাতের নীতিনির্ধারণ করছে বলে মনে করেন খ্যাতনামা অর্থনীতিবিদ খোন্দকার ইব্রাহীম খালেদ। তিনি বলেছেন- নীতিনির্ধারণের সঙ্গে জড়িতরা খেলাপি ঋণকে উৎসাহ দিচ্ছেন। তারাই আর্থিক খাতের সার্কুলার রচনা করছেন। দেশের আর্থিক খাতে আস্থাহীনতা ও চলমান সংকট উত্তরণে সরকারের করণীয় প্রসঙ্গে জানতে চাইলে এসব কথা বলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর খোন্দকার ইব্রাহীম খালেদ। তিনি বলেছেন, আর্থিক খাতের সংকট এখন শেষ প্রান্তে উপনীত হয়েছে। খুবই খারাপ অবস্থা বিরাজ করছে। এখানে পরামর্শ দেওয়ার কিছু নেই। পরামর্শ দেওয়ার প্রসঙ্গ তখনই আসবে, যখন সরকার পরিচালনার সঙ্গে জড়িতরা সুচিন্তা করবেন। তিনি বলেন, প্রকৃত অর্থে ঋণ নেওয়া কোনো খারাপ কাজ না। ঋণ নেওয়া তখনই খারাপ হয়ে দাঁড়ায়, যখন ঋণের অর্থ লুট হয়। যখন ব্যাংকের টাকা ব্যাংককে ফেরত দেওয়া হয় না। আর্থিক খাতের আস্থাহীনতা ও সংকট উত্তরণে দেশের সর্বোচ্চ পর্যায়ের রাজনৈতিক সদিচ্ছা লাগবে। শীর্ষ রাজনৈতিক নেতৃত্বের কার্যকর সদিচ্ছা গ্রহণ করা হলে আর্থিক খাতে শৃঙ্খলা ফিরবে। খোন্দকার ইব্রাহীম খালেদ বলেন, ব্যাংকগুলোতে জনগণের আমানতের টাকা ঋণের আড়ালে ডাকাতি হয়েছে। আর্থিক খাতের বড় বড় ডাকাতগুলোকে আইনি প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে শাস্তি দিতে হবে। খারাপ কাজে শাস্তি না হলে দেশ ও আর্থিক খাতের উন্নতি হয় না। এই অর্থনীতিবিদ মনে করেন, দেশে এখনো খেলাপি ঋণ বাড়ছে। আসলে ঋণখেলাপিদের সুযোগ-সুবিধা দিয়ে খেলাপি কমানো যায় না। এটা প্রমাণিত সত্য। আদালত নির্দেশনা দিয়েছে- খেলাপি ঋণের ২ শতাংশ টাকা পরিশোধ করেই নতুন ঋণ নেওয়া যাবে। আদালতের এই নির্দেশনা মেনে খুব কম লোকই ২ শতাংশ টাকা পরিশোধ করে ঋণ নিতে এসেছে। আমি আদালতের এই নির্দেশনা সঠিক বলেই মনে করছি।

সর্বশেষ খবর