তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, গণমাধ্যম ও জনগণের স্বার্থেই সম্প্রচারে ডিজিটালাইজেশন প্রয়োজন। গতকাল সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ে ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট সেন্টার-বিজেসির সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন। এ সময় তথ্যসচিব আবদুল মালেক ও অতিরিক্ত সচিব (সম্প্রচার) নূরুল করিম উপস্থিত ছিলেন। বিজেসির পক্ষে সংগঠনের আহ্বায়ক রেজওয়ান হক সূচনা বক্তব্য দেন। তথ্যমন্ত্রী বলেন, সম্প্রচার ডিজিটালাইজড হলে এ খাতে শৃঙ্খলা পুরোপুরি প্রতিষ্ঠিত হবে। এর ফলে বাংলাদেশের গণমাধ্যমের, গণমাধ্যমসংশ্লিষ্টদের ও জনগণের স্বার্থ সংরক্ষিত হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার গণমাধ্যমের সঙ্গে কাজ করছে, ভবিষ্যতেও আমরা একসঙ্গে কাজ করব। হাছান মাহমুদ বলেন, গণমাধ্যমকর্মী আইন চূড়ান্ত করতে আন্তমন্ত্রণালয় বৈঠক প্রয়োজন। কারণ, শ্রম আইনের সঙ্গে এর সমন্বয় আবশ্যক। সেটা সহসাই হবে, তারপর মন্ত্রিসভা হয়ে সংসদে যাবে। আমরা চেষ্টা করব সহসাই সব প্রক্রিয়া সমাধার জন্য।
তিনি বলেন, আইন তৈরি করা সহজ কাজ নয়। আর গণমাধ্যমসংশ্লিষ্ট আইন করা সহজ নয়, বরং আরও কঠিন। স্পর্শকাতর এ আইনের সঙ্গে একাধিক মন্ত্রণালয় যুক্ত বলে বিবেচনা করে দেখেশুনে তা প্রণয়নে কিছু সময় প্রয়োজন। তথ্যমন্ত্রী বলেন, সম্প্রচার কমিশন ও গণমাধ্যমকর্মী আইন প্রণীত হলে গণমাধ্যমের অনেক সমস্যা সমাধান হবে। সরকার সম্প্রচার নীতিমালা করেছে, সম্প্রচার আইনও আমরা খুব সহসাই পার্লামেন্টে নিয়ে যেতে পারব আশা করি। সম্প্রচার আইন হলে সম্প্রচার কমিশন হবে। সম্প্রচার কমিশন ও গণমাধ্যমকর্মী আইন প্রণীত হলে গণমাধ্যমের অনেক সমস্যা সমাধান হবে। তিনি বলেন, আজকের প্রধানমন্ত্রীর হাত ধরেই প্রাইভেট টেলিভিশন এসেছে এবং এর বিকাশ ঘটেছে। এই মাধ্যমের সঙ্গে যারা যুক্ত তাদের সমস্ত কল্যাণ করার জন্য সরকার সব সময় আপনাদের সঙ্গে আছে এবং থাকবে। অনুষ্ঠানে বিজেসি প্রতিনিধির মধ্যে সদস্যসচিব শাকিল আহমেদ, রাশেদ আহমেদ, মানস ঘোষ, নূর সাফা জুলহাজ, সাইফ ইসলাম দিলাল, আলমগীর স্বপন, মাহফুজ মিশু, শাহনাজ শারমিন, মামুনুর রহমান খান, পারভেজ রেজা, বায়জিত আহমেদ প্রমুখ আলোচনায় অংশ নেন।
