শুক্রবার, ৩০ আগস্ট, ২০১৯ ০০:০০ টা

শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ১০ মিনিট অন্ধকারে

নিজস্ব প্রতিবেদক

হঠাৎ বিদ্যুৎ চলে গেল। মুহূর্তে নেমে এলো আঁধার। যে যেখানে ছিল সেখানেই দাঁড়িয়ে পড়েন। বন্ধ হয়ে যায় স্বাভাবিক কার্যক্রমের সবকিছু। এ সময় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে চারদিকে। অনেকে লিফটে আটকা। কেউ কেউ অন্ধকারেই ব্যাগ-লাগেজসহ মূল্যবান মাল সামলাতে হুমড়ি খেয়ে পড়েন। শুরু হয় হুলুস্থুল। এভাবেই অন্তত ১০ মিনিট চলে যায়। পুরো সময়ই অন্ধকারে ছিল ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। গুরুত্বপূর্ণ এই স্থানে বিদ্যুৎ না থাকায় ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রীরা। গতকাল বেলা ১২টায় হঠাৎ বিদ্যুৎ চলে গেলে দেশের সবচেয়ে বড় এই বিমানবন্দরে এ পরিস্থিতি দেখা দেয়। স্থবির হয়ে পড়ে বিমানবন্দরের কার্যক্রম। ১২টা ১০ মিনিটে সচল হয় বিদ্যুৎ সংযোগ। স্বস্তি ফেরে সবার মাঝে। তবে বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণ জানাতে পারেনি কেউই। বিমানবন্দর সূত্র জানায়, বৈদ্যুতিক গোলযোগে বিমানবন্দরে মুহূর্তে সব অন্ধকার হয়ে যায়। টার্মিনাল-২ ও অভ্যন্তরীণ টার্মিনালের বিকল্প ব্যবস্থাগুলোও তখন কাজ করছিল না। জেনারেটর ও পাওয়ার ব্যাকআপ দিয়ে সীমিত আকারে বাল্ব জ্বালানোর কথা থাকলেও সেগুলোও বন্ধ ছিল। বিদ্যুতের কারণে কম্পিউটার সচল না থাকায় সে সময় বোর্ডিং পাস কার্ডও ইস্যু করতে পারছিল না এয়ারলাইনসগুলো। থেমে থাকে লাগেজ স্ক্যানিং মেশিনগুলোও। বন্ধ হয়ে যায় স্ক্যানিংয়ের প্রতিটি মনিটর। এই কয়েক মিনিটে সেখানে এসি সচল না থাকায় গরমে দুর্ভোগে পড়েন যাত্রীরা।

বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) জনসংযোগ কর্মকর্তা রেজাউল করিম জানান, কী কারণে বিদ্যুৎ ছিল না তা তিনি জানেন না। তা ছাড়া বিদ্যুৎ না থাকলেও তাদের ৪৮ ঘণ্টা ব্যাকআপ রাখার ব্যবস্থা আছে।

সর্বশেষ খবর