শনিবার, ৩১ আগস্ট, ২০১৯ ০০:০০ টা

‘সেইফ জোন’ নিশ্চিত ও আইন পরিবর্তন করতে হবে

জিন্নাতুন নূর

‘সেইফ জোন’ নিশ্চিত ও আইন পরিবর্তন করতে হবে

অধ্যাপক ইমতিয়াজ আহমেদ

রোহিঙ্গাদের স্বদেশে ফিরে যাওয়ার জন্য দুটি বিষয় গুরুত্বপূর্ণ। একটি হচ্ছে মিয়ানমারকে তাদের নাগরিকত্ব আইন পরিবর্তন করতে হবে। যে আইনের কারণে রোহিঙ্গাদের রাষ্ট্রচ্যুত করা হলো সে জায়গায় যদি পরিবর্তন করা না হয় তাহলে বুঝতে হবে, রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেওয়ার ব্যাপারে মিয়ানমার সিরিয়াস নয়। বরং রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেওয়ার নামে মিয়ানমার নাটক করছে। আর সেই নাটকও বারবার করা সম্ভব নয়। রোহিঙ্গাদের ফিরে যাওয়ার দ্বিতীয় উদ্যোগ হিসেবে মিয়ানমারে তাদের জন্য একটি ‘সেইফ জোন’ (নিরাপদ অঞ্চল) তৈরি করতে হবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক  ইমতিয়াজ আহমেদ গতকাল এক সাক্ষাৎকারে বাংলাদেশ প্রতিদিনকে এসব কথা বলেন। ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, রোহিঙ্গাদের জন্য মিয়ানমারে ‘সেফ জোন’ তৈরির কথা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতিসংঘে বলেছিলেন। যেহেতু মিয়ানমার সরকার মনে করছে, তাদের সঙ্গে চীন, জাপান ও ভারত সরকার আছে এবং এই দেশগুলোর নিরাপত্তা বাহিনী যদি মিয়ানমার সেনাবাহিনীর সঙ্গে থেকে পরিবর্তিত আইনে রোহিঙ্গাদের জন্য নির্ধারিত ‘সেফ জোনে’ তাদের পৌঁছে দেওয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করে তাহলে রোহিঙ্গারা স্বেচ্ছায় নিজ দেশে ফিরে যাবে। তখন তাদের আলাদা করে আর মিয়ানমারে ফিরে যাওয়ার জন্য ইন্টারভিউ নেওয়ার প্রয়োজন হবে না। কিন্তু যতদিন এই দ্ইু জায়গায় কিছু করা হবে না তখন বুঝে নিতে হবে, মিয়ানমার এই জায়গায় নাটক খেলছে। এই অধ্যাপক আরও বলেন, বাংলাদেশের পক্ষ থেকে রোহিঙ্গাদের ফিরে যাওয়ার ব্যাপারে আন্তর্জাতিকীকরণ প্রক্রিয়া আরও বৃদ্ধি করতে হবে। আর সরকারের বাইরেও যেহেতু অনেক স্টেকহোল্ডার, মিডিয়া ও এনজিও আছে তাদের এই ইস্যুতে দায়িত্ব পালন করা প্রয়োজন। তাদের এমন কোনো সংবাদ প্রচার বা প্রকাশ করা উচিত হবে না, যা মিয়ানমারের পক্ষে যায়। হতে পারে সেই সংবাদটি কোনো মন্ত্রী বলেছেন বা শুনেছেন। কিন্তু সেটি যদি ছাপানো হয় তাহলে কে তা ব্যবহার করবে কিংবা কার স্বার্থে যাবে তা চিন্তাভাবনা না করে ছাপিয়ে দেওয়া হয় ঠিক হবে না। কারণ এটি যদি মিয়ানমারের পক্ষে চলে যায় তাহলে বোঝাই যাবে যে, সেই পত্রিকা বা মিডিয়া বাংলাদেশের বিরুদ্ধে কাজ করছে। এ ক্ষেত্রে মনে করি গণতন্ত্র কাঠামোর মধ্যে দায়িত্ববোধের বড় একটি প্রশ্ন আছে, আর সংশ্লিষ্ট সবাই সেই দায়িত্ব পালন করবেন বলে আমি আশাবাদী।

সর্বশেষ খবর